ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

স্বামীকে মারধর করে স্ত্রী-সন্তানকে তুলে নিয়ে গেলেন সাবেক প্রেমিক

শরিফুল হাসান-সালথা (ফরিদপুর):
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ৫৯১ বার পঠিত

 

ফরিদপুরের সালথায় বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি যাওয়ার পথে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রী ইমা বেগম (১৮) ও তার সাত মাস বয়সি শিশু কন্যা রাইসা মনিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম তারিকুল মোল্যা। তিনি আলমপুর গ্রামের মো. কাঞ্চু মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় ইমা বেগমের স্বামী হাবিব শেখ বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাঙ্গার হীরালদি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হাবিব শেখ তার স্ত্রী ইমা বেগম ও সন্তান রাইসা মনিকে নিয়ে সালথার আলমপুর গ্রামে শশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন। পরদিন শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে শশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অটোভ্যানযোগে নিজ বাড়ি ফেরার পথে আলমপুর গ্রামের শেষ সীমান্তে পৌছালে অভিযুক্ত তারিকুল মোল্যাসহ ৮-১০ জন লোক এসে তাদের অটোভ্যানের গতিরোধ করে। এ সময় অভিযুক্তরা হাবিব শেখকে মারধর করে তার স্ত্রী-সন্তানকে অন্য আরেকটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায়।

ইমা বেগমের বাবা মো. লিটন খা বলেন, দেড়বছর আগে আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ে হয়। সাত মাস বয়সি তার একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। শুক্রবার সকালে আমার বাড়ি থেকে তার শশুর বাড়ি যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে তারিকুল আমার মেয়ে ও নাতনিকে তুলে নিয়ে গেছে। নগদ টাকাসহ স্বর্ণের জিনিসও নিয়ে গেছে। আমার মেয়েজামাইকেও ওরা মারধর করে। এখন পর্যন্ত আমার মেয়ে ও নাতনির কোনো খোজ-খবর পাইনি।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ের আগে তার সঙ্গে তারিকুলের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তবে ইমার সঙ্গে বিয়ে আগে থেকেই তারিকুলের প্রেম সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

এ বিষয় অভিযুক্ত তারিকুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তারিকুলের ভাবি ও তার পরিবার উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ইমা বেগম ও তার মেয়েকে তারিকুল তুলে নিয়ে যায়নি। তারিকুল একটা অবিবাহিত ছেলে। সে কেন এক সন্তানের জননীকে তুলে নিয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই তারিকুলের সঙ্গে ইমা বেগমের প্রেম সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরধরে তারা দুই জনই পালিয়ে গেছে।

সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, এই সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। আসল ঘটনা উৎঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্বামীকে মারধর করে স্ত্রী-সন্তানকে তুলে নিয়ে গেলেন সাবেক প্রেমিক

আপডেট সময় : ১০:৩২:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 

ফরিদপুরের সালথায় বাবার বাড়ি থেকে শশুর বাড়ি যাওয়ার পথে স্বামীকে মারধর করে স্ত্রী ইমা বেগম (১৮) ও তার সাত মাস বয়সি শিশু কন্যা রাইসা মনিকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে সাবেক প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নের আলমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত প্রেমিকের নাম তারিকুল মোল্যা। তিনি আলমপুর গ্রামের মো. কাঞ্চু মোল্যার ছেলে। এ ঘটনায় ইমা বেগমের স্বামী হাবিব শেখ বাদী হয়ে সালথা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ভাঙ্গার হীরালদি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে হাবিব শেখ তার স্ত্রী ইমা বেগম ও সন্তান রাইসা মনিকে নিয়ে সালথার আলমপুর গ্রামে শশুর বাড়ি বেড়াতে আসেন। পরদিন শুক্রবার সকাল ১১ টার দিকে শশুর বাড়ি থেকে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে অটোভ্যানযোগে নিজ বাড়ি ফেরার পথে আলমপুর গ্রামের শেষ সীমান্তে পৌছালে অভিযুক্ত তারিকুল মোল্যাসহ ৮-১০ জন লোক এসে তাদের অটোভ্যানের গতিরোধ করে। এ সময় অভিযুক্তরা হাবিব শেখকে মারধর করে তার স্ত্রী-সন্তানকে অন্য আরেকটি অটোরিক্সায় তুলে নিয়ে যায়।

ইমা বেগমের বাবা মো. লিটন খা বলেন, দেড়বছর আগে আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ে হয়। সাত মাস বয়সি তার একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে। শুক্রবার সকালে আমার বাড়ি থেকে তার শশুর বাড়ি যাওয়ার সময় পরিকল্পিতভাবে তারিকুল আমার মেয়ে ও নাতনিকে তুলে নিয়ে গেছে। নগদ টাকাসহ স্বর্ণের জিনিসও নিয়ে গেছে। আমার মেয়েজামাইকেও ওরা মারধর করে। এখন পর্যন্ত আমার মেয়ে ও নাতনির কোনো খোজ-খবর পাইনি।এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার মেয়ে ইমা বেগমের বিয়ের আগে তার সঙ্গে তারিকুলের কোনো সম্পর্ক ছিল না। তবে ইমার সঙ্গে বিয়ে আগে থেকেই তারিকুলের প্রেম সম্পর্ক ছিল বলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন।

এ বিষয় অভিযুক্ত তারিকুলের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তারিকুলের ভাবি ও তার পরিবার উল্টো অভিযোগ করে বলেন, ইমা বেগম ও তার মেয়েকে তারিকুল তুলে নিয়ে যায়নি। তারিকুল একটা অবিবাহিত ছেলে। সে কেন এক সন্তানের জননীকে তুলে নিয়ে যাবে। অনেক আগে থেকেই তারিকুলের সঙ্গে ইমা বেগমের প্রেম সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরধরে তারা দুই জনই পালিয়ে গেছে।

সালথা থানার সেকেন্ড অফিসার (এসআই) সৈয়দ আওলাদ হোসেন বলেন, এই সংক্রান্ত একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি তদন্ত করা হচ্ছে। আসল ঘটনা উৎঘাটন করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।