ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

সালথায় রাতের আঁধারে জমি দখলের চেষ্টা, আবাদি জমিতে ভরাট মাটি ফেলার পর অন্য জমির পাট কেটে নেওয়ার পায়তারা

শরিফুল হাসান-সালথা(ফরিদপুর):
  • আপডেট সময় : ০১:২২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ ৬৮ বার পঠিত

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সলিয়া গ্রামে রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে ভরাট মাটি ফেলে জোড়পূর্বক অন্যের জমি দখলের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রাম্য দলাদলী পাকানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, সলিয়া গ্রামের আতিকুর রহমান মোল্যা ও তার একমাত্র প্রবাসী ভাই মো. হাসিবুল হাসান হাবিবের নামে সলিয়া মৌজায় বিভিন্ন দাগে পৈত্রিক সূত্রে রেকর্ডিয় ও ক্রয়কৃত মালিকানাধীন জমি ছাড়াও ডিসিআরপ্রাপ্ত অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। প্রায় ৬০ বছরযাবত তারা এসব জমির খাজনা ও অন্যান্য সেলামী পরিশোধ করে ভোগদখল করছেন। কিন্তু ওই এলাকার জনৈক সনজিৎ দত্ত গং এলাকার কিছু প্রভাবশালী দুষ্কৃতিকারী ভূমিদস্যুকে হাত করে তাদের ফসলী জমিতে পাট বড় হওয়া অবস্থায় গভীর রাতে গাড়ী ভরে বালিমাটি এনে ফেলে ফসল নষ্ট করে। তারা একই জমি আজিজুল মুন্সি, আবজাল ও মেহেদী নামে তিনজনের নিকট তিনবার বিক্রি করেছে। তাদের জমি ছিল ৫ শতাংশ, অথচ বিক্রি করেছে ১৬ শতাংশ জমি।

আতিকুর রহমান মোল্যা বলেন, আমি অন্যত্র একটি মাদ্রাসায় চাকরী করি এবং আমার ভাই আমেরিকা প্রবাসী। বাড়িতে না থাকার সুযোগে তারা আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। গত ২ জুন প্রথম আমার জমিতে মাটি ফেলার পর গ্রামের গণ্যমান্যদের জানালে তারা ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে সালিস ডাকেন। সেখানে সনজিৎ দত্ত হাজির হয়ে কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। ফলে স্থানীয়রা তাকে জমিতে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন। এক সপ্তাহ পর সে আবার অন্য একটি জমিতে মাটি ফেললে গ্রামবাসী আবারো তাকে নিষেধ করে। তিন সপ্তাহ পর সে আবার আমার ফসলি জমিতে ভরাট মাটি ফেলা শুরু করে। এসময় আমার ছেলের সাথে বাকবিতন্ডা ও ঐ ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর সে থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশকে আমাদের ডেকে নেয়। আমরা জমির দেখাই। পরে তাকে কাগজপত্র নিয়ে দেখানোর জন্য দিন ঠিক করলেও সেদিন সে আর হাজির হয়নি।

আতিকুর রহমান মোল্যা বলেন, ১৯৬৫ সালে আমার পিতা মমিন মোল্যার কাছে সনজিৎ দত্তের দাদা উপেন্দ্রখান দত্ত নগদ ১৮শথ টাকা গ্রহণ করে ১ একর ৮২ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। তবে ওইসময় সরকারিভাবে দলিল সম্পাদন বন্ধ থাকায় তিনি দলিল করে দিতে পারেননি। এর একবছর পর উপেন্দ্রনাথ দত্ত তার চার সন্তান জ্ঞানেন্দ্রনাথ দত্ত, ভূপেন্দ্র নাথ দত্ত, সন্তোষ দত্ত ও রমেন্দ্রনাথ দত্তকে রেখে মারা যান। এরমধ্যে অপর ৩ সন্তান স্বাধীনতা যুদ্ধের আগেই স্বপরিবারে দেশ ত্যাগ করে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হন। আজ পর্যন্ত তারা বা তাদের পরিাবরের কেউ আর এদেশে আসেনি। তারা বাংলাদেশের নাগরিকও নন।

একমাত্র রমেন্দ্রনাথ দত্তই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বসবাস করছিলেন। পরবর্তীতে আমার পিতা রমেন্দ্রনাথ দত্তকে ওই জমির উত্তরাধিকার হিসেবে দলিল করে দিতে বললে তিনি পর্যায়ক্রমে তাদের প্রত্যেক দাগের দলিল করে দেন। অন্যদিকে উপেন দত্তের অন্য সন্তানদের জমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারী ‘কথ গেজেটভুক্ত হয়।

এদিকে রমেন দত্ত ভাইদের অংশ বিএস রেকর্ড করে আমাদের নিকট হস্তান্তর করে দিবে বলে নগদ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু রেকর্ড চূড়ান্ত করতে না পারায় পুনরায় তিনি ২০০০ সালে আবার আমাদের থেকে নগদ এক লাখ ৭০ হাজার টাকা স্বাক্ষীদের উপস্থিতে গ্রহণ করে একটা ¯ট্যাম্পে একটি না-দাবী পত্র লিখিত দেন। কিন্তু রমেন্দ্রনাথ দত্ত মারা গেলে তার ছেলে সনজিৎ দত্ত আমাদেরকে একের পর এক বেশকটি বছর যাবৎ নানাভাবে মানহানী, হয়রানী ও দুষ্টু প্রকৃতির লোক সাথে নিয়ে গাছকাটা থেকে শুরু করে চাঁদাদাবি ও ও বিভিন্নভাবে জমি দখলসহ হয়রানি করছে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে উপেন্দ্রনাথ দত্তের সম্পাদিত কবুলিয়াতনামা ও রমেন্দ্রনাথ দত্তের সম্পাদিত না দাবি পত্র ও অন্যান্য নথিপত্র সহকারে ভাঙ্গার দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নম্বার ৪৭/২০২০। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
আতিকুর রহমানের পরিবারের অভিযোগ, সনজিৎ দত্ত গংদের কোন মালিকানা সম্পত্তি বা কোন বৈধ ওয়ারিশ সূত্রের কোন জমি আমাদের দখলে বা দাগে নেই। তারা সম্পূর্ণ জোড় করে আওয়ামী যুবলীগ ও মোটর শ্রমিকলীগের প্রভাব খাটিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ভূয়া ওয়ারিশ সনদ নিয়ে এলাকার আরো কিছু নিরীহ সাধারণ মানুষদের নিকট থেকে মৌখিকভাবে এবং ষ্ট্যাম্পে জমি বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এব্যাপারে জানতে সনজিৎ দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের নিকট দাবি করেন, ৩৬৩ নং দাগের ১৫ শতাংশ জমি তিনি অর্পিত সম্পত্তির মামলা করে ডিক্রিপ্রাপ্ত। তবে ওই ডিক্রির কোন নকল তিনি দেখাতে পারেননি। সনজিৎ দত্ত দাবি করেন, ৩৬৩ নং দাগের কথা ভুলক্রমে মামলায় প্রথমে উল্লেখ করা হয়নি। এখন সংশোধনের জন্য পুনরায় আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জমি তিনি ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত। তবে জমির কোন হালনাগাদ দলিল, পর্চা বা ডিসিআর কিছুই দেখাতে পারেননি তিনি। সনজিৎ দত্ত দাবি করেন, জমির এসব কাগজপত্র হালনাগাদ প্রস্তুত করার সব কাজই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি ভাঙ্গার দেওয়ানী আদালতে একটি মামলাও লড়ছেন অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে এসব জমি নিয়ে। তার জমিতে গেলে উল্টো তার উপর হামলা করা হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
নথিপত্রে দেখা যায়, সলিয়া মৌজায় ২৮৯, ২৯০ ও ৩০০ খতিয়ানের এসএ ৩৬৩ এবং ৩৭৫ নং দাগ দুটি আতিকুর রহমানদের সম্পত্তি। এরমধ্যে ৩০০ নং খতিয়ানের ৩৬৩ নং দাগে ৩০ শতাংশ কৃষি জমি রয়েছে। যার অর্ধেক তাদের ক্রয়কৃত পৈত্তিক সম্পত্তি আর বাকী অংশ ডিসিআরমূলে ১৯৭০ সাল থেকে তারা ভোগদখল করছেন, যার ভিপি কেস নং ৩৬/৭০-৭১। ২৭৭ নং খতিয়ানে ৩৩২ নং দাগে ২৫ শতাংশ ডিসিআর মূলে তারা ভোগদখলে রয়েছেন, যার কেস নং ৩৬/৭০-৭১। এছাড়া এসএ ২৮৯ ও ২৯০ নং খতিয়ানের ৩৭৫ ও ৩৭৬ নং দাগের মধ্যে ৬ শতাংশ তার ক্রয়কৃত জমি। একইদাগে আরো ১৯ শতাংশ ভিপি জমিও তিনি ডিসিআর কেটে ভোগদখল করছেন। এছাড়া এসএ ৩৭৫ ও ৩৭৬ নং দাগের জমি ক্রয়সূত্রে ও ডিসিআরমূলে তারা ভোগদখলে রয়েছেন। ভিপি কেস নং ২৪১/৮০-৮১।
এব্যাপারে জানতে সালথা থানার এসআই পরিমলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এব্যাপারে দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছিল। তবে সনজিৎ দত্ত হাজির হননি। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে। না হলে বিষয়টি আদালতে পাঠিয়ে দেবো।

সালথায় রাতের আঁধারে জমি দখলের চেষ্টা, আবাদি জমিতে ভরাট মাটি ফেলার পর অন্য জমির পাট কেটে নেওয়ার পায়তারা

আপডেট সময় : ০১:২২:০৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩

ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের সলিয়া গ্রামে রাতের আঁধারে ফসলি জমিতে ভরাট মাটি ফেলে জোড়পূর্বক অন্যের জমি দখলের অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এলাকার একটি কুচক্রী মহল দীর্ঘদিন যাবৎ গ্রাম্য দলাদলী পাকানোর চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।

জানা গেছে, সলিয়া গ্রামের আতিকুর রহমান মোল্যা ও তার একমাত্র প্রবাসী ভাই মো. হাসিবুল হাসান হাবিবের নামে সলিয়া মৌজায় বিভিন্ন দাগে পৈত্রিক সূত্রে রেকর্ডিয় ও ক্রয়কৃত মালিকানাধীন জমি ছাড়াও ডিসিআরপ্রাপ্ত অর্পিত সম্পত্তি রয়েছে। প্রায় ৬০ বছরযাবত তারা এসব জমির খাজনা ও অন্যান্য সেলামী পরিশোধ করে ভোগদখল করছেন। কিন্তু ওই এলাকার জনৈক সনজিৎ দত্ত গং এলাকার কিছু প্রভাবশালী দুষ্কৃতিকারী ভূমিদস্যুকে হাত করে তাদের ফসলী জমিতে পাট বড় হওয়া অবস্থায় গভীর রাতে গাড়ী ভরে বালিমাটি এনে ফেলে ফসল নষ্ট করে। তারা একই জমি আজিজুল মুন্সি, আবজাল ও মেহেদী নামে তিনজনের নিকট তিনবার বিক্রি করেছে। তাদের জমি ছিল ৫ শতাংশ, অথচ বিক্রি করেছে ১৬ শতাংশ জমি।

আতিকুর রহমান মোল্যা বলেন, আমি অন্যত্র একটি মাদ্রাসায় চাকরী করি এবং আমার ভাই আমেরিকা প্রবাসী। বাড়িতে না থাকার সুযোগে তারা আমাদের উপর অত্যাচার চালাচ্ছে। গত ২ জুন প্রথম আমার জমিতে মাটি ফেলার পর গ্রামের গণ্যমান্যদের জানালে তারা ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে সালিস ডাকেন। সেখানে সনজিৎ দত্ত হাজির হয়ে কাগজপত্রও দেখাতে পারেনি। ফলে স্থানীয়রা তাকে জমিতে মাটি ফেলতে নিষেধ করেন। এক সপ্তাহ পর সে আবার অন্য একটি জমিতে মাটি ফেললে গ্রামবাসী আবারো তাকে নিষেধ করে। তিন সপ্তাহ পর সে আবার আমার ফসলি জমিতে ভরাট মাটি ফেলা শুরু করে। এসময় আমার ছেলের সাথে বাকবিতন্ডা ও ঐ ধাক্কাধাক্কি হয়। এরপর সে থানায় অভিযোগ জানালে পুলিশকে আমাদের ডেকে নেয়। আমরা জমির দেখাই। পরে তাকে কাগজপত্র নিয়ে দেখানোর জন্য দিন ঠিক করলেও সেদিন সে আর হাজির হয়নি।

আতিকুর রহমান মোল্যা বলেন, ১৯৬৫ সালে আমার পিতা মমিন মোল্যার কাছে সনজিৎ দত্তের দাদা উপেন্দ্রখান দত্ত নগদ ১৮শথ টাকা গ্রহণ করে ১ একর ৮২ শতাংশ জমি বিক্রি করেন। তবে ওইসময় সরকারিভাবে দলিল সম্পাদন বন্ধ থাকায় তিনি দলিল করে দিতে পারেননি। এর একবছর পর উপেন্দ্রনাথ দত্ত তার চার সন্তান জ্ঞানেন্দ্রনাথ দত্ত, ভূপেন্দ্র নাথ দত্ত, সন্তোষ দত্ত ও রমেন্দ্রনাথ দত্তকে রেখে মারা যান। এরমধ্যে অপর ৩ সন্তান স্বাধীনতা যুদ্ধের আগেই স্বপরিবারে দেশ ত্যাগ করে ভারতের স্থায়ী বাসিন্দা হন। আজ পর্যন্ত তারা বা তাদের পরিাবরের কেউ আর এদেশে আসেনি। তারা বাংলাদেশের নাগরিকও নন।

একমাত্র রমেন্দ্রনাথ দত্তই বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে বসবাস করছিলেন। পরবর্তীতে আমার পিতা রমেন্দ্রনাথ দত্তকে ওই জমির উত্তরাধিকার হিসেবে দলিল করে দিতে বললে তিনি পর্যায়ক্রমে তাদের প্রত্যেক দাগের দলিল করে দেন। অন্যদিকে উপেন দত্তের অন্য সন্তানদের জমি অর্পিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারী ‘কথ গেজেটভুক্ত হয়।

এদিকে রমেন দত্ত ভাইদের অংশ বিএস রেকর্ড করে আমাদের নিকট হস্তান্তর করে দিবে বলে নগদ টাকা গ্রহণ করে। কিন্তু রেকর্ড চূড়ান্ত করতে না পারায় পুনরায় তিনি ২০০০ সালে আবার আমাদের থেকে নগদ এক লাখ ৭০ হাজার টাকা স্বাক্ষীদের উপস্থিতে গ্রহণ করে একটা ¯ট্যাম্পে একটি না-দাবী পত্র লিখিত দেন। কিন্তু রমেন্দ্রনাথ দত্ত মারা গেলে তার ছেলে সনজিৎ দত্ত আমাদেরকে একের পর এক বেশকটি বছর যাবৎ নানাভাবে মানহানী, হয়রানী ও দুষ্টু প্রকৃতির লোক সাথে নিয়ে গাছকাটা থেকে শুরু করে চাঁদাদাবি ও ও বিভিন্নভাবে জমি দখলসহ হয়রানি করছে। তখন আমি নিরুপায় হয়ে উপেন্দ্রনাথ দত্তের সম্পাদিত কবুলিয়াতনামা ও রমেন্দ্রনাথ দত্তের সম্পাদিত না দাবি পত্র ও অন্যান্য নথিপত্র সহকারে ভাঙ্গার দেওয়ানী আদালতে একটি মামলা দায়ের করি। যার মামলা নম্বার ৪৭/২০২০। মামলাটি বর্তমানে চলমান রয়েছে।
আতিকুর রহমানের পরিবারের অভিযোগ, সনজিৎ দত্ত গংদের কোন মালিকানা সম্পত্তি বা কোন বৈধ ওয়ারিশ সূত্রের কোন জমি আমাদের দখলে বা দাগে নেই। তারা সম্পূর্ণ জোড় করে আওয়ামী যুবলীগ ও মোটর শ্রমিকলীগের প্রভাব খাটিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে ভূয়া ওয়ারিশ সনদ নিয়ে এলাকার আরো কিছু নিরীহ সাধারণ মানুষদের নিকট থেকে মৌখিকভাবে এবং ষ্ট্যাম্পে জমি বিক্রির নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
এব্যাপারে জানতে সনজিৎ দত্তের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের নিকট দাবি করেন, ৩৬৩ নং দাগের ১৫ শতাংশ জমি তিনি অর্পিত সম্পত্তির মামলা করে ডিক্রিপ্রাপ্ত। তবে ওই ডিক্রির কোন নকল তিনি দেখাতে পারেননি। সনজিৎ দত্ত দাবি করেন, ৩৬৩ নং দাগের কথা ভুলক্রমে মামলায় প্রথমে উল্লেখ করা হয়নি। এখন সংশোধনের জন্য পুনরায় আবেদন করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য জমি তিনি ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত। তবে জমির কোন হালনাগাদ দলিল, পর্চা বা ডিসিআর কিছুই দেখাতে পারেননি তিনি। সনজিৎ দত্ত দাবি করেন, জমির এসব কাগজপত্র হালনাগাদ প্রস্তুত করার সব কাজই প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি ভাঙ্গার দেওয়ানী আদালতে একটি মামলাও লড়ছেন অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে এসব জমি নিয়ে। তার জমিতে গেলে উল্টো তার উপর হামলা করা হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
নথিপত্রে দেখা যায়, সলিয়া মৌজায় ২৮৯, ২৯০ ও ৩০০ খতিয়ানের এসএ ৩৬৩ এবং ৩৭৫ নং দাগ দুটি আতিকুর রহমানদের সম্পত্তি। এরমধ্যে ৩০০ নং খতিয়ানের ৩৬৩ নং দাগে ৩০ শতাংশ কৃষি জমি রয়েছে। যার অর্ধেক তাদের ক্রয়কৃত পৈত্তিক সম্পত্তি আর বাকী অংশ ডিসিআরমূলে ১৯৭০ সাল থেকে তারা ভোগদখল করছেন, যার ভিপি কেস নং ৩৬/৭০-৭১। ২৭৭ নং খতিয়ানে ৩৩২ নং দাগে ২৫ শতাংশ ডিসিআর মূলে তারা ভোগদখলে রয়েছেন, যার কেস নং ৩৬/৭০-৭১। এছাড়া এসএ ২৮৯ ও ২৯০ নং খতিয়ানের ৩৭৫ ও ৩৭৬ নং দাগের মধ্যে ৬ শতাংশ তার ক্রয়কৃত জমি। একইদাগে আরো ১৯ শতাংশ ভিপি জমিও তিনি ডিসিআর কেটে ভোগদখল করছেন। এছাড়া এসএ ৩৭৫ ও ৩৭৬ নং দাগের জমি ক্রয়সূত্রে ও ডিসিআরমূলে তারা ভোগদখলে রয়েছেন। ভিপি কেস নং ২৪১/৮০-৮১।
এব্যাপারে জানতে সালথা থানার এসআই পরিমলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এব্যাপারে দুই পক্ষকে ডাকা হয়েছিল। তবে সনজিৎ দত্ত হাজির হননি। বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা চলছে। না হলে বিষয়টি আদালতে পাঠিয়ে দেবো।