ঢাকা ০২:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

শেরপুরের নাকোগাও স্থল বন্দর বাংলাদেশীর মরদেহ হস্তান্তর

শেখ সাঈদ আহমেদ সাবাব-শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৫:২০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩ ১৪৪ বার পঠিত

ভারতীয় পুলিশ শেরপুর জেলা পুলিশের কাছে মনির হোসেন (৪৫) নামের এক বাংলাদেশী যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
আজ ৪ এপ্রিল দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী নাকুগাও স্থল বন্দরে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
মনির হোসেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকার পশ্চিম খারামুড়া গ্রামের মুনসের আলী মোছেরের ছেলে।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশ অংশের শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) রায়হানা ইয়াসমিন, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ভারতীয় অংশে মেঘালয় রাজ্যের তোরা জেলার ডালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীন বন্ধু বর্মন উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে মনির হোসেনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান পরিবারের পক্ষে মনির হোসেনের মরদেহ গ্রহণ করে।
মনির হোসেন গত ১ মে শ্রীবরদীর খাড়ামুড়া সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে গেলে নিখোঁজ হয়। সে সময় অসমর্থিত খবর পাওয়া যায় বিএসএফ তাকে ধরে নিয় গেছে। তবে বিএসএফ শুরু থেকেই তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে।
এদিকে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির সপরিবারে ঢাকায় থাকতো। সে রাজমিস্ত্রির কাজ এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করতো। এবার ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে। এদিকে গত পহেলা মে রাত থেকে মনির নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পারে মনিরের লাশ ভারতের একটি হাসপাতালে আছে।

এব্যাপারে শ্রীবরদি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত মনিরের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর তার মরদেহ শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কি কারনে মনিরের মৃত্যু হয়েছে সেটা জানা যাবে।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান জানান, মনির আহত অবস্থায় ভারতের ঢালু প্রদেশে একটি স্থানে পরেছিল। পরে খবর পেয়ে পহেলা মে রাতে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ঢালু থানা পুলিশ। এরপর ২ মে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। এদিকে মনির মৃত্যুর আগে তার নাম ঠিকানা বলে যাওয়ায় আমরা তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানাতে পারি। তবে সে কি কারনে মারা গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাওয়া নি। এছাড়া এবিষয়ে ভারতের ঢালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ট্যাগস :

শেরপুরের নাকোগাও স্থল বন্দর বাংলাদেশীর মরদেহ হস্তান্তর

আপডেট সময় : ০৫:২০:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মে ২০২৩

ভারতীয় পুলিশ শেরপুর জেলা পুলিশের কাছে মনির হোসেন (৪৫) নামের এক বাংলাদেশী যুবকের মরদেহ হস্তান্তর করেছে।
আজ ৪ এপ্রিল দুপুরে শেরপুরের নালিতাবাড়ী নাকুগাও স্থল বন্দরে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।
মনির হোসেন শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার গারো পাহাড়ি এলাকার পশ্চিম খারামুড়া গ্রামের মুনসের আলী মোছেরের ছেলে।
মরদেহ হস্তান্তরের সময় বাংলাদেশ অংশের শেরপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো: সাইদুর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (নালিতাবাড়ী সার্কেল) রায়হানা ইয়াসমিন, নালিতাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক ও শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার বিশ্বাস ভারতীয় অংশে মেঘালয় রাজ্যের তোরা জেলার ডালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দীন বন্ধু বর্মন উপস্থিত ছিলেন।
সেখানে মনির হোসেনের ছোট ভাই মিজানুর রহমান পরিবারের পক্ষে মনির হোসেনের মরদেহ গ্রহণ করে।
মনির হোসেন গত ১ মে শ্রীবরদীর খাড়ামুড়া সীমান্ত এলাকায় ঘুরতে গেলে নিখোঁজ হয়। সে সময় অসমর্থিত খবর পাওয়া যায় বিএসএফ তাকে ধরে নিয় গেছে। তবে বিএসএফ শুরু থেকেই তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কথা অস্বীকার করে।
এদিকে নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নিহত মনির সপরিবারে ঢাকায় থাকতো। সে রাজমিস্ত্রির কাজ এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করতো। এবার ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে। এদিকে গত পহেলা মে রাত থেকে মনির নিখোঁজ ছিল। পরবর্তীতে পুলিশের মাধ্যমে তারা জানতে পারে মনিরের লাশ ভারতের একটি হাসপাতালে আছে।

এব্যাপারে শ্রীবরদি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, নিহত মনিরের লাশ তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর তার মরদেহ শেরপুর সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর কি কারনে মনিরের মৃত্যু হয়েছে সেটা জানা যাবে।

এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সাইদুর রহমান জানান, মনির আহত অবস্থায় ভারতের ঢালু প্রদেশে একটি স্থানে পরেছিল। পরে খবর পেয়ে পহেলা মে রাতে মনিরকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে ঢালু থানা পুলিশ। এরপর ২ মে ভারতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মনিরের মৃত্যু হয়। এদিকে মনির মৃত্যুর আগে তার নাম ঠিকানা বলে যাওয়ায় আমরা তার পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানাতে পারি। তবে সে কি কারনে মারা গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যাওয়া নি। এছাড়া এবিষয়ে ভারতের ঢালু থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।