ঢাকা ০৭:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
কুড়িগ্রাম জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটিকে বরণে বিশল আনন্দ মিছিল  আমি উত্তরবঙ্গে এসেছি আপনাদের কথা শোনার জন্য, পরে যা বললেন : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে বর্ডার গার্ড বিজিবির হাতে ১০ বোতল মদ জব্দ ছোটদের বড় নির্বাচন গোয়ালন্দে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা- যমুনার বাল্কহেডে চাঁদা বাজি, আটক ৫ দেবহাটায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ যেনো ব্যাবসায়ীদের নেশায় পরিনত হয়েছে বালিয়াকান্দিতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটায় মাছের পাশাপাশি ভেঁড়িতে অসময়ে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী গোলাম রব্বানী তথ্যমেলায় মুজিববর্ষের লিফলেট ও শেখ হাসিনার বাণী প্রচার:

শেরপুরে বৈদ্যুতিক সেচপাম্প চোরাই চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার

শেখ সাঈদ আহমেদ সাবাব- শেরপুর  :
  • আপডেট সময় : ১১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩ ৯৩ বার পঠিত
শেরপুরে আবাদি ক্ষেত থেকে বৈদ্যুতিক সেচপাম্প চোরাই চক্রের মূল হোতা মো. জুয়েল মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৫ মার্চ বুধবার রাতে সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণইমমিনাকান্দা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একইসাথে জুয়েলের বাড়ি থেকে ২টি চোরাই মোটর উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জুয়েল ওই গ্রামের আলহাজ¦ চান্দু মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জুয়েলকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চকআন্ধারিয়া গ্রামের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প বসিয়ে বোরো ধানের সেচ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন কৃষকরা। গত ১২ মার্চ রবিবার রাতে চকআন্ধারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়া, বাবুল মিয়া, মজিবর রহমান, আনার মিয়া, আল আমিন ও সমর উদ্দিনসহ ৬ জন কৃষকের ৬টি বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে আশেপাশের ৩০ একর বোরো আবাদের সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলসহ জেলা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও চোরাই মোটর উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। এদিকে সেচপাম্প চুরির ঘটনায় চকআন্ধারিয়া গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মাইনুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন হিসেবে জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করেন এবং তার বসতবাড়ি থেকে চোরাই দুটি সেচ পাম্প উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল সেচপাম্প চুরির বিষয় স্বীকার করে জানিয়েছে, তার আরও ৩/৪ জন সহযোগীসহ সে ওই সেচপাম্পগুলো চুরি করেছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে সহযোগীদের নাম আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। খুব দ্রুতই তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি ও হত্যাচেষ্টাসহ আরও ৯টি মামলা চলমান রয়েছে।
ট্যাগস :

শেরপুরে বৈদ্যুতিক সেচপাম্প চোরাই চক্রের মূল হোতা গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১১:১৪:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মার্চ ২০২৩
শেরপুরে আবাদি ক্ষেত থেকে বৈদ্যুতিক সেচপাম্প চোরাই চক্রের মূল হোতা মো. জুয়েল মিয়া (২৫) কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
১৫ মার্চ বুধবার রাতে সদর উপজেলার পাকুড়িয়া ইউনিয়নের গণইমমিনাকান্দা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। একইসাথে জুয়েলের বাড়ি থেকে ২টি চোরাই মোটর উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত জুয়েল ওই গ্রামের আলহাজ¦ চান্দু মিয়ার ছেলে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে জুয়েলকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ওই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম।
জানা গেছে, চলতি বোরো মৌসুমে সদর উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের চকআন্ধারিয়া গ্রামের বিভিন্ন স্থানে শতাধিক বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প বসিয়ে বোরো ধানের সেচ কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন কৃষকরা। গত ১২ মার্চ রবিবার রাতে চকআন্ধারিয়া পূর্বপাড়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়া, বাবুল মিয়া, মজিবর রহমান, আনার মিয়া, আল আমিন ও সমর উদ্দিনসহ ৬ জন কৃষকের ৬টি বৈদ্যুতিক সেচ পাম্প চুরি করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এতে আশেপাশের ৩০ একর বোরো আবাদের সেচ কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. সাইদুর রহমান, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহমেদ বাদলসহ জেলা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার ও চোরাই মোটর উদ্ধারে অভিযান শুরু করেন। এদিকে সেচপাম্প চুরির ঘটনায় চকআন্ধারিয়া গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বাদী হয়ে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে ওই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সদর থানার এসআই মাইনুল ইসলাম অভিযান পরিচালনা করে সন্দেহভাজন হিসেবে জুয়েল মিয়াকে গ্রেফতার করেন এবং তার বসতবাড়ি থেকে চোরাই দুটি সেচ পাম্প উদ্ধার করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে জুয়েল সেচপাম্প চুরির বিষয় স্বীকার করে জানিয়েছে, তার আরও ৩/৪ জন সহযোগীসহ সে ওই সেচপাম্পগুলো চুরি করেছে। তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে সহযোগীদের নাম আপাতত প্রকাশ করা হচ্ছে না। খুব দ্রুতই তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, গ্রেফতার জুয়েলের বিরুদ্ধে মাদক, চুরি ও হত্যাচেষ্টাসহ আরও ৯টি মামলা চলমান রয়েছে।