ঢাকা ০৯:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

লামাকাজী থেকে দশগ্রাম বাজার পর্যন্ত চলাচলের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা

আক্তার হোসেন- সিলেট:
  • আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪ ২৩ বার পঠিত

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের লামাকাজী হতে দশগ্রাম বাজারের একমাত্র রাস্তার অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উক্ত বৃহত্তর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

জানা যায়, উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের লামাকাজী পূর্বপাড় থেকে একটি সড়ক যায় বাদাঘাট এবং সেই সড়কের মধ্যে থেকে আরো একটি সড়ক যায় ফতেহপুর বাজার হয়ে পীরেরগাঁও,লামা আকিলপুর (করিমগঞ্জ বাজার),সৈয়দপুর থেকে দশগ্রামবাজার হয়ে আলী নগর পর্যন্ত।

উক্ত সড়ক দিয়ে প্রায় ১৫ ( পনেরটি) গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কই হলো এই লামাকাজী পূর্বপাড় সড়ক, চলাচলের মাধ্যম বিভিন্ন ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা (মিশুক) টমটম, বা সিএনজি গাড়ি। এই সড়ক ছাড়া উপরে উল্লেখিত ১৫ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের আর কোনো সড়ক নাই।

লামাকাজী হইতে দশগ্রাম পর্যন্ত এই সড়কটি একটি মহা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, এই সড়কের সংযোক্তে আছে ৮ টা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টা হাইস্কুল, সিলেটের অন্যতম বৃহত্তর ১ টি কামিল মাদ্রাসা ও ১টা আলীয়া মাদ্রাসা। এবং প্রায় অর্ধশতাদিক জামে-মসজিদ ও ধর্মী ইবাদতালয় । এর জন্যই এই রাস্তাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা । ১৫ গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা ।

গত ২০২২ সালের স্বরনকালের ভয়াবহ বন্যার বানের পানিতে টুকটাক ভেঙ্গে যায় এই সড়কটি কিন্তু এখন রাস্তার ঢালাই সরে গিয়ে মাটি বের হয়ে খানা-খান্দ সৃষ্টি হয়েছে।

এবং ২০২২ সালের বন্যার পরে রাস্তা মেরামত করা হয় নাই ২০২২ সাথে থেকে চলতি ২০২৪ সাল পর্যন্ত, ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না । বর্তমানে বৃষ্টি ছাড়াই এই সড়কে চলাচল অসম্ভব।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এ রাস্তার ঢালাই উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটো চালকের বাড়ি মীরেরগাঁও । অটো চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, উপজেলার ইউনিয়নের কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তিনি আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।এবং আমরা অটো গাড়ি নিয়া পীরেরগাঁও, লামা আকিলপুর এরদিকে তো জাওয়াই ছেড়ে দিছি। ফতেহপুর বাজারের ওপাশে আমরা কোনো যাত্রীকে নিয়ে জাইতে পারিনা রাস্তার বেহাল দশার জন্য।

ইমাদ, ওসমান, রায়হান, মজিদ মিয়া সহ স্থানীয়রা জানায়, সিলেট সদর উপজেলার ৭ নং মোগলগাঁও ইউনিযনের বৃহত্তর এই এরাকার প্রায় ১৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রায় ১০ বছর পূর্বে এ রাস্তাটিতে কাজ হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাস্তাটি আর কোনো কাজ দেখা যায় নাই তবে মাঝে মধ্যে জুরা-তালির কাজ হয়েছে বলে অনেকে বলেছেন । দুঃখের বিষয় গত তিন বছর ধরে রাস্তার বিভিন্ন অংশের ঢালাই সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পরে। এমনকি গ্রামের মধ্যে রিক্সা নিয়েও চায় না।

এ বিষয়ে ৭ নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ হিরন মিয়া এর কাছে জানতে চাইলে মোটোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার মোঃ হাসানুজ্জামান এর মোঠাফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমাদের উপজেলার অনেক রাস্তার কাজ চলমান আছে আমরা কাজ করছি। এই রাস্তার ও কাজ হবে, আমাদের টিম এই রাস্তা পরিদর্শন করে এসেছেন, আমরা জানি রাস্তার বেহাল দশা তবে, আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।

ট্যাগস :

লামাকাজী থেকে দশগ্রাম বাজার পর্যন্ত চলাচলের একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা

আপডেট সময় : ০৯:০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জুন ২০২৪

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের লামাকাজী হতে দশগ্রাম বাজারের একমাত্র রাস্তার অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন উক্ত বৃহত্তর গ্রামের হাজার হাজার মানুষ।

জানা যায়, উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের লামাকাজী পূর্বপাড় থেকে একটি সড়ক যায় বাদাঘাট এবং সেই সড়কের মধ্যে থেকে আরো একটি সড়ক যায় ফতেহপুর বাজার হয়ে পীরেরগাঁও,লামা আকিলপুর (করিমগঞ্জ বাজার),সৈয়দপুর থেকে দশগ্রামবাজার হয়ে আলী নগর পর্যন্ত।

উক্ত সড়ক দিয়ে প্রায় ১৫ ( পনেরটি) গ্রামের মানুষের চলাচলের একমাত্র সড়কই হলো এই লামাকাজী পূর্বপাড় সড়ক, চলাচলের মাধ্যম বিভিন্ন ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা (মিশুক) টমটম, বা সিএনজি গাড়ি। এই সড়ক ছাড়া উপরে উল্লেখিত ১৫ টি গ্রামের হাজার হাজার মানুষের চলাচলের আর কোনো সড়ক নাই।

লামাকাজী হইতে দশগ্রাম পর্যন্ত এই সড়কটি একটি মহা গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, এই সড়কের সংযোক্তে আছে ৮ টা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ টা হাইস্কুল, সিলেটের অন্যতম বৃহত্তর ১ টি কামিল মাদ্রাসা ও ১টা আলীয়া মাদ্রাসা। এবং প্রায় অর্ধশতাদিক জামে-মসজিদ ও ধর্মী ইবাদতালয় । এর জন্যই এই রাস্তাটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা । ১৫ গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা ।

গত ২০২২ সালের স্বরনকালের ভয়াবহ বন্যার বানের পানিতে টুকটাক ভেঙ্গে যায় এই সড়কটি কিন্তু এখন রাস্তার ঢালাই সরে গিয়ে মাটি বের হয়ে খানা-খান্দ সৃষ্টি হয়েছে।

এবং ২০২২ সালের বন্যার পরে রাস্তা মেরামত করা হয় নাই ২০২২ সাথে থেকে চলতি ২০২৪ সাল পর্যন্ত, ফলে অল্প বৃষ্টি হলেই এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না । বর্তমানে বৃষ্টি ছাড়াই এই সড়কে চলাচল অসম্ভব।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, এ রাস্তার ঢালাই উঠে গিয়ে ছোট-বড় খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাস্তার দু’ধারের মাটি সরে গিয়ে রাস্তাগুলো ভেঙে পড়েছে। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভ্যানগাড়ি ও মোটরসাইকেল আরোহীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তাগুলো ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। যার ফলে এ রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অটো চালকের বাড়ি মীরেরগাঁও । অটো চালিয়েই চলে তার সংসার। রাস্তা নিয়ে তার অভিযোগ, উপজেলার ইউনিয়নের কত রাস্তা ঠিক হচ্ছে, কিন্তু আমাদের রাস্তা হচ্ছে না। মাঝে মধ্যে মনে হয় আমরা এ দেশের জনগণ না। তিনি আরও বলেন, ভাঙা রাস্তার কারণে অটো বেশিরভাগ সময়ই টেনে নিতে হয়।এবং আমরা অটো গাড়ি নিয়া পীরেরগাঁও, লামা আকিলপুর এরদিকে তো জাওয়াই ছেড়ে দিছি। ফতেহপুর বাজারের ওপাশে আমরা কোনো যাত্রীকে নিয়ে জাইতে পারিনা রাস্তার বেহাল দশার জন্য।

ইমাদ, ওসমান, রায়হান, মজিদ মিয়া সহ স্থানীয়রা জানায়, সিলেট সদর উপজেলার ৭ নং মোগলগাঁও ইউনিযনের বৃহত্তর এই এরাকার প্রায় ১৫ টি গ্রামের বাসিন্দাদের একমাত্র রাস্তা হলো এটি। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই। প্রায় ১০ বছর পূর্বে এ রাস্তাটিতে কাজ হয়েছিল। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাস্তাটি আর কোনো কাজ দেখা যায় নাই তবে মাঝে মধ্যে জুরা-তালির কাজ হয়েছে বলে অনেকে বলেছেন । দুঃখের বিষয় গত তিন বছর ধরে রাস্তার বিভিন্ন অংশের ঢালাই সরে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি চলাচলের অনুপযুক্ত হয়ে পরে। এমনকি গ্রামের মধ্যে রিক্সা নিয়েও চায় না।

এ বিষয়ে ৭ নং মোগলগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ হিরন মিয়া এর কাছে জানতে চাইলে মোটোফোনে কল দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার মোঃ হাসানুজ্জামান এর মোঠাফোনে কল দিলে তিনি বলেন, আমাদের উপজেলার অনেক রাস্তার কাজ চলমান আছে আমরা কাজ করছি। এই রাস্তার ও কাজ হবে, আমাদের টিম এই রাস্তা পরিদর্শন করে এসেছেন, আমরা জানি রাস্তার বেহাল দশা তবে, আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি নেই।