মিঠাপুকুরে রাতের আধাঁরে জমি দখল করে ঘর নির্মাণের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০১:০৮:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ ১২৮২ বার পঠিত
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার ০২ নং রানীপুকুর ইউনিয়নের বলদিপুকুর হাজীপাড়া গ্রামে বাবার বিক্রিত জমিতে কুচক্রী মহলের ইন্ধনে রাতের আঁধারে ঘর তোলার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।
এ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন জমি ক্রেতা এক প্রবাসি। এখন ক্রয়কৃত সম্পত্তির ভাঙা টিনসেডের ঘরটি সরাতে দুই তিনলক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করছেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ঐ প্রবাসি।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলার বলদিপুকুর হাজীপাড়া গ্রামের মুকুল মিয়া পৈতৃকসূত্রে বলদিপুকুর মৌজার জে.এল.নং- ১৫৪,খতিয়ান নং ১৫৩ দাগ নং ১২২১ও১২২২ জমির পরিমাণ ৮ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ মিলে উভয় দাগে মোট-পনেরো শতাংশ জমির মালিকহ কিছু জমির মালিক হন।
পারিবারিক সমস্যার কারনে মুকুল মিয়া একই গ্রামের সৌদি প্রবাসী মোঃ শামীম মিয়ার কাছে খারিজ মূলে পনেরো শতাংশ জমি বিক্রি সম্পাদন করেন,যাহার দলিল নং-৭১১১
মুকুল মিয়া জানান, জমি দলিল করার পর আমার ছোট ছেলে সাজিদ মিয়া,ছোটভাই গোলাম রব্বানী, হাবিবুর রহমান, ভাগ্নে জাহাঙ্গীর আলম জমি বিক্রির টাকার জন্য আমাকে হুমকি ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছিল। আমি তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দেওয়ায় অভিযুক্তরা আমার ছোট ছেলেকে বুদ্ধি দিয়ে বিক্রিত জমিতে রাতের আঁধারে একটি টিনসেডের ভাঙা ঘর ও কিছু গাছের চারা রোপণ করিয়েছে। আমি বাধ্য হয়ে মিঠাপুকুর থানায় তাদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
তার দাবি-গত দুই মাস ধরে আমার ছেলে সাজিদ ছোটভাই ও ভাগ্নেসহ দলবল নিয়ে ওই জমিতে অবৈধভাবে রাতের আধারে ঘর নির্মাণের চেষ্টা করে আসছিলেন। আমার অনুপস্থিতিতে রাতের আঁধারে তারা সেখানে একটি ঘর তোলেন। এসময় আমার বড় ছেলে নাহিদ মিয়া ঘর তুলতে বাধা দিলে তারা তাকে বেধড়ক মারপিট করেন। এমতাবস্থায় সে মাথায় গুরুত্বর আঘাত পেয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে এই সুযোগে জমিতে গাছের চারা রোপন করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর বড় ছেলে নাহিদ মিয়া বলেন,রাতের আধারে আমার বাবার বিক্রিত জমি দখল করতেছে এমন খবর পেয়ে আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে বেধড়ক মারপীট করে। জমি ক্রেতার ভাই মোঃ শাহআলম মিয়া জানান, আমার ভাই বিদেশে কঠোর পরিশ্রম করে জায়গাটি ক্রয় করেছে। কিন্তু একটি কুচক্রী মহল রাতের আঁধারে ঘর তুলে চাঁদা দাবি করছে। তবে অভিযুক্ত গোলাম রব্বানীর দাবি, মুকুল নিজের ছেলের কাছে টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে অন্য জায়গায় জমি বিক্রি করায় আমরা ঘর তুলেছি। মুকুল মিয়া তার ছেলে সাজিদের টাকা দিলে আমরা ঘর সরাবো।
এবিষয়ে মিঠাপুকুর থানা এবং রানীপুকুর ইউনিয়নের বিট অফিসার এসআই -মিজান জানান, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। উভয়পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে। বিষয়টি বসে মিমাংসা করে দেয়া হবে।