ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে

মিঠাপুকুরে দু’মাসেও গ্রেফতার হয়নি অন্তঃসত্ত্বা সুমি কেরকেটা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আদুরী টপ্য

শিল্পী আক্তার- রংপুর:
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০৮ বার পঠিত

রংপুরের মিঠাপুকুরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে স্বামী এবং তার প্রেমিকা কর্তৃক বালিশ চাপা দিয়ে ছয়”মাসের অন্তঃসত্ত্বা আদিবাসী তরণী সুমি কেরকেটা (১৬) হত্যার ঘটনায় স্বামী- দিপল টপ্য, গ্রেফতার হলেও গ্রেফতার হয়নি মূল পরিকল্পনাকারী অভিযুক্ত আদুরী টপ্য।

এ ঘটনায় মামলার বাদী সুমি কেরকেটার বাবা বাবলু কেরকেটা, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই- মিজান,দায়িত্বে অবহেলা করছেন।

বাদীর বক্তব্য এবং মামলার বিবরন থেকে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা লেদা টপ্যর ছেলে দীপল টপ্যর (২৪) সাথে প্রতিবেশী বাবলু কেরকেটার মেয়ে সুমি কেরকেটার প্রেম- ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাদের পরিবারের সম্মতিতে সুমি কেরকেটা হত্যার আটমাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দীপল টপ্য পাশ্ববর্তী আদুরী টপ্য নামে এক আদিবাসী নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এ নিয়ে সুমি কেরকেটা এবং দীপলের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। উভয় পরিবার চেষ্টা করেও দীপল টপ্যর পরকীয়া সম্পর্কের নিষ্পত্তি করতে পারেননি।

ঘটনার দিন গত-২৩ জুলাই (রবিবার) দীপলের পরকীয়া সম্পর্কের সার্লিস মিমাংসার দু’দিন পরেই সকালে দীপলের বসতঘর থেকে সুমি কেরকেটার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী দীপল টপ্যকে আটক করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুমি কেরকেটাকে হত্যার কথা স্বীকার করে দিপল টপ্য এবং মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আদুরী টপ্যর নাম উল্লেখ্য করেন। ঘটনার পরপরই আদুরী টপ্য পালিয়ে যায়।

বাবলু কেরকেটা বলেন, ঘটনার দিনই আদুরী টপ্যকে গ্রেফতার করা যেতো! কিন্তু কালবিলম্ব হওয়ায় এবং পুলিশ আমাদের কথা না শোনায় আদুরী টপ্য পালিয়ে যায়। এখন প্রায় সুমি হত্যার দুমাস হতে চললো, কিন্তু আদুরী টপ্য গ্রেফতারে পুলিশের কোনো অভিযান নেই।

সম্ভবত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই-মিজান জানান, আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা। মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবোনা। অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন,আসামি গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

ট্যাগস :

মিঠাপুকুরে দু’মাসেও গ্রেফতার হয়নি অন্তঃসত্ত্বা সুমি কেরকেটা হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী আদুরী টপ্য

আপডেট সময় : ০৯:৩০:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

রংপুরের মিঠাপুকুরে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্কের জেরে স্বামী এবং তার প্রেমিকা কর্তৃক বালিশ চাপা দিয়ে ছয়”মাসের অন্তঃসত্ত্বা আদিবাসী তরণী সুমি কেরকেটা (১৬) হত্যার ঘটনায় স্বামী- দিপল টপ্য, গ্রেফতার হলেও গ্রেফতার হয়নি মূল পরিকল্পনাকারী অভিযুক্ত আদুরী টপ্য।

এ ঘটনায় মামলার বাদী সুমি কেরকেটার বাবা বাবলু কেরকেটা, তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তার দাবি, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই- মিজান,দায়িত্বে অবহেলা করছেন।

বাদীর বক্তব্য এবং মামলার বিবরন থেকে জানা যায়, মিঠাপুকুর উপজেলার রানীপুকুর ইউনিয়নের মমিনপুর গ্রামের বাসিন্দা লেদা টপ্যর ছেলে দীপল টপ্যর (২৪) সাথে প্রতিবেশী বাবলু কেরকেটার মেয়ে সুমি কেরকেটার প্রেম- ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠলে তাদের পরিবারের সম্মতিতে সুমি কেরকেটা হত্যার আটমাস পূর্বে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পরে তাদের দাম্পত্য জীবন ভালোই চলছিল। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই দীপল টপ্য পাশ্ববর্তী আদুরী টপ্য নামে এক আদিবাসী নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন।

এ নিয়ে সুমি কেরকেটা এবং দীপলের মাঝে ঝগড়া বিবাদ লেগেই থাকতো। উভয় পরিবার চেষ্টা করেও দীপল টপ্যর পরকীয়া সম্পর্কের নিষ্পত্তি করতে পারেননি।

ঘটনার দিন গত-২৩ জুলাই (রবিবার) দীপলের পরকীয়া সম্পর্কের সার্লিস মিমাংসার দু’দিন পরেই সকালে দীপলের বসতঘর থেকে সুমি কেরকেটার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামী দীপল টপ্যকে আটক করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সুমি কেরকেটাকে হত্যার কথা স্বীকার করে দিপল টপ্য এবং মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে আদুরী টপ্যর নাম উল্লেখ্য করেন। ঘটনার পরপরই আদুরী টপ্য পালিয়ে যায়।

বাবলু কেরকেটা বলেন, ঘটনার দিনই আদুরী টপ্যকে গ্রেফতার করা যেতো! কিন্তু কালবিলম্ব হওয়ায় এবং পুলিশ আমাদের কথা না শোনায় আদুরী টপ্য পালিয়ে যায়। এখন প্রায় সুমি হত্যার দুমাস হতে চললো, কিন্তু আদুরী টপ্য গ্রেফতারে পুলিশের কোনো অভিযান নেই।

সম্ভবত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রভাবিত হয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই-মিজান জানান, আসামি পলাতক থাকায় গ্রেফতার করা সম্ভব হচ্ছেনা। মামলাটি তদন্তাধীন থাকায় আমি কোনো মন্তব্য করতে পারবোনা। অভিযোগের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন,আসামি গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।