মাদক দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ : ছেলের মুক্তি চেয়ে পরিবারের আহাজারি
- আপডেট সময় : ০৫:৩৮:২৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৭৩ বার পঠিত
ভোলা সদর উপজেলায় মোটরসাইকেলে ইয়াবা রেখে এক তরুণ কে মিথ্যা মাদক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রবাসী আবুল কাশেম এর বিরুদ্ধে।
শুক্রবার (৮ সেম্বস্টর) রাত ৮ টায় ভোলা সদর উপজেলার ঘুইগারহাট বাজারে এ ঘটনা ঘটে। রোববার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সোহাগ নামের সেই তরুণ কে মাদক সহ আটকের ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে।
এ বিষয়ে আটক তরুণের বাবা কবির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, আমি দুপুরে ভাত খেয়ে আমার ছেলেকে নিয়ে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার জন্য আসি। ঘুইগারহাট বাজার এসে বাজারের মার্কেটের ভিতরে মোটরসাইকেল রেখে আমিও আমার ছেলে আওয়ামী লীগের পার্টি অফিসের মিটিং এ গিয়ে অংশগ্রহণ করি। মিটিং শেষে সন্ধ্যার পরে আমিও আমার ছেলে বাড়ি যাওয়ার উদ্দেশ্যে তার মোটর সাইকেলের কাছে আসি। মোটরসাইকেলের তেল নেওয়ার জন্য দোকানে গেলে সেখানে র্যাব সদস্যরা তাকে মাদক আছে বলে তল্লাশি শুরু করে।
তাকে ও তার মোটরসাইকেল তল্লাশি করে কিছু পায়নি। বাজারের শত শত মানুষ স্বাক্ষী। তারা কি মনে করে আবার ও মোটরসাইকেল তল্লাশি করে গাড়ির সামনের থেকে ইয়াবা পেয়েছে বলে তারা জানান। তিনি অভিযোগ করে বলেন আমার ভাগিনা প্রবাসী আবুল কাশেম পূর্ব শত্রুতার জের ধরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে লোক দিয়ে আমার ছেলের মোটরসাইকেল মাদক রেখে তাকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে।
ঘটনাস্থলের প্রত্যক্ষসাক্ষী মুদি দোকানদার মোঃ কালু সাংবাদিকদের বলেন, আমার দোকানে সোহাগ তেল নিতে আসেন। আসার সাথে সাথে র্যাব এসে সোহাগের কাছে মাদক আছে বলে তাকে তল্লাশি শুরু করে। তাকে তল্লাশি করে কিছু না পেয়ে তার মোটরসাইকেল তল্লাশি করে প্রথম তল্লাশিতে তারা কোন কিছুই পায়নি। পরবর্তীতে তারা আবার তল্লাশি করে মোটরসাইকেলের সামনের থেকে পেকেট বের করে বলে এটির ভিতর ইয়াবা, এরপর তাকে তারা নিয়ে যায়।
মিষ্টির দোকানদার শামীম বলেন, দুপুরের পরে সোহাগ ও তার বাবা মোটরসাইকেল দিয়ে এসে,মোটরসাইকেলটি আমাদের মার্কেটের ভিতরে রেখে তারা আওয়ামী লীগের মিটিংয়ে যায়। মিটিং শেষ করে বাড়ি যাওয়ার পথে সেখানে প্রশাসন তাকে আটক করে নিয়ে যায়।
আটক সোহাগের ভাই অভিযোগ করে বলেন, প্রবাসী আবুল কাশেম বিদেশি টাকার গরম দেখিয়ে, টাকার বিনিময়ে আমার ভাইকে ফাঁসিয়ে দিয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি, তারা যেন সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধী কে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করে।
সোহাগের স্ত্রী সানজিদা আক্তার বলেন, প্রবাসী আবুল কাশেম একাধিকবার আমার শ্বশুরের ফোনে কল দিয়ে আমার স্বামীকে মাদক দিয়ে ধরিয়ে দিবে বলে হুমকি দেয়। তার হুমকির পরই আমার স্বামীকে মাদক দিয়ে ফাঁসিয়ে দিলো। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করে প্রকৃত অপরাধীদের প্রশাসনের কাছে জোর অনুরোধ জানাচ্ছি।