ঢাকা ০১:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

মাত্র ৪০টায় সংসার চলে সাইকেল মেকানিক বিনদের সংসার

সকিকুল ইসলাম রাজা-গাইবান্ধা:
  • আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৮১ বার পঠিত

জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী সাইকেল মেকানিক বিনদ।দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত তার সংসার জীবন। তবু ও হার না মানা জীবন-যুদ্ধে নিজেকে ঠিকিয়ে রাখতে করে যাচ্ছেন হারভাঙা পরিশ্রম‌। প্রতিদিন কাজ করে পান মাত্র ৪০/৫০ টাকা,তা দিয়েই চলে অভাব-অনটনের সংসার।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্ৰামে দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস প্রতিবন্ধী বিনদের।বিনদের বয়স ৩৬। সাইকেল মেরামতের কাজ করে তিনি প্রতিদিন যে টাকা আয় করেন। সেই সামান্য আয় দিয়েই ৪ সদস্যের পরিবারের খরচ জোগান।

বিনদ বলেন,একদিকে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, অন্য দিকে তেমন কাজ কর্ম না থাকায় মাত্র ৪০/৫০ টাকা আয় করে কোন দিন দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার জোটে, আবার কোন দিন জোটানো বড় দায় হয়ে পড়ে। কথাটি বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন বিনদ।বিনদের চোখের পানি বলে দিচ্ছে তিনি কতটা কষ্টে আছেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরো বলেন, নিজের কোন স্থায়ী জায়গা নেই, মানুষের দোকানের সামনে বসেই করেন সাইকেল মেরামতের কাজ।আজ এক দোকানের সামনে কাল অন্য দোকানের সামনে। এভাবেই চলছে জীবন সংগ্রাম।

তিনি আরো বলেন,চাল-ডাল থেকে তেল-নুনসহ এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তায় কম দামে যে সবজি পাই তা-ই কিনে নিয়ে যাই।

এখন আর কোনোভাবেই সংসার চলছে না ৷
সচেতন মহল বলেন, বিনদের মতো নিম্নআয়ের অনেক মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে পিষ্ট। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন এসব শ্রমজীবী মানুষ, আয় কম খরচ বেশি হওয়ায় আয়-ব্যয়ের হিসাব কষতে এখন দিন পার করছেন তারা, সুধি জনদের দাবি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিগণ যদি এই সব মানুষের জন্য একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলেই একটু ভালভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন তারা ৷

তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন,বিনদ একজন দরিদ্র মানুষ। সাইকেল মেরামতের আয় আর প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে মাসে যে টাকা পাচ্ছে তা দিয়েই অতিকষ্টে চলছে তার সংসার। পরবর্তীতে কোন সুযোগ সুবিধা আসলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

মাত্র ৪০টায় সংসার চলে সাইকেল মেকানিক বিনদের সংসার

আপডেট সময় : ০৫:১৯:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জন্ম থেকেই প্রতিবন্ধী সাইকেল মেকানিক বিনদ।দারিদ্র্যতার কষাঘাতে জর্জরিত তার সংসার জীবন। তবু ও হার না মানা জীবন-যুদ্ধে নিজেকে ঠিকিয়ে রাখতে করে যাচ্ছেন হারভাঙা পরিশ্রম‌। প্রতিদিন কাজ করে পান মাত্র ৪০/৫০ টাকা,তা দিয়েই চলে অভাব-অনটনের সংসার।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের ঘগোয়া গ্ৰামে দুই সন্তান ও স্ত্রী নিয়ে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস প্রতিবন্ধী বিনদের।বিনদের বয়স ৩৬। সাইকেল মেরামতের কাজ করে তিনি প্রতিদিন যে টাকা আয় করেন। সেই সামান্য আয় দিয়েই ৪ সদস্যের পরিবারের খরচ জোগান।

বিনদ বলেন,একদিকে দ্রব্য মূল্যের উর্ধ্বগতি, অন্য দিকে তেমন কাজ কর্ম না থাকায় মাত্র ৪০/৫০ টাকা আয় করে কোন দিন দু-বেলা, দু-মুঠো খাবার জোটে, আবার কোন দিন জোটানো বড় দায় হয়ে পড়ে। কথাটি বলতে বলতেই কেঁদে ফেললেন বিনদ।বিনদের চোখের পানি বলে দিচ্ছে তিনি কতটা কষ্টে আছেন। কাঁদতে কাঁদতে তিনি আরো বলেন, নিজের কোন স্থায়ী জায়গা নেই, মানুষের দোকানের সামনে বসেই করেন সাইকেল মেরামতের কাজ।আজ এক দোকানের সামনে কাল অন্য দোকানের সামনে। এভাবেই চলছে জীবন সংগ্রাম।

তিনি আরো বলেন,চাল-ডাল থেকে তেল-নুনসহ এমন কোনো পণ্য নেই যার দাম বাড়েনি। যা আয় করি তা দিয়ে সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে, তাই কাজ শেষে বাসায় যাওয়ার সময় রাস্তায় কম দামে যে সবজি পাই তা-ই কিনে নিয়ে যাই।

এখন আর কোনোভাবেই সংসার চলছে না ৷
সচেতন মহল বলেন, বিনদের মতো নিম্নআয়ের অনেক মানুষ এখন দ্রব্যমূল্যের কষাঘাতে পিষ্ট। জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন এসব শ্রমজীবী মানুষ, আয় কম খরচ বেশি হওয়ায় আয়-ব্যয়ের হিসাব কষতে এখন দিন পার করছেন তারা, সুধি জনদের দাবি সমাজের বিত্তবান ও হৃদয়বান ব্যক্তিগণ যদি এই সব মানুষের জন্য একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন তাহলেই একটু ভালভাবে জীবন যাপন করতে পারবেন তারা ৷

তারাপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লেবু বলেন,বিনদ একজন দরিদ্র মানুষ। সাইকেল মেরামতের আয় আর প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে মাসে যে টাকা পাচ্ছে তা দিয়েই অতিকষ্টে চলছে তার সংসার। পরবর্তীতে কোন সুযোগ সুবিধা আসলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।