ঢাকা ১২:৩৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

বারি জাতের কচু চাষে ঝুঁকছে  গোয়ালন্দের কৃষকেরা

প্রতিদিনের খবর ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ১৫৪ বার পঠিত
মোঃ মজিবুর জুয়েল , গোয়ালন্দ( রাজবাড়ী):
সবার কাছে অতি পরিচিত সবজি কচু।  কচুতে রোগ বালাই কম ও কীটনাশক ছাড়াই আবাদ করা যায়। বারি জাতের কচু চাষে দিনে দিনে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। অন্যন্য ফসলের চেয়ে আবাদে খরচ খুব কম ও ততটা পচনশীল নয়। তাই  কৃষিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকেরা   বারি৫ জাতের কচু চাষে ঝুঁকছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার চরাঞ্চলে দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম, উজানচর কাওয়ালজানি, চরকর্ণশনা, দেবিপুর, চরমজলিশপুর,  চরমহিদাপুর এ সব এলাকাতে পানি বারি জাতের কচু বেশি চাষ করছে চরাঞ্চলে কৃষকেরা। কচু এমন একটি সবজি যার আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত খাওয়া যায় অথচ দামের খুবী  সন্তা।কচুর লতি ডাটা ও কচিপাতা সমাজের সর্বস্তরের  মানুষের কাছে সুষম পুষ্টিকর সবজি হিসাবে পরিচিত  কচু  পুষ্টিগুনে ভরপুর। কচু চাষকৃত প্রাচীন উদ্ভিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। কচু স্থলভূমি ও জলভূমি উভয় স্থানে জম্মাতে পারে তবে স্থালভাগেই জম্মানো কচুর সংখ্যা বেশি। রাস্তা পাশে  বাড়ির আনাচে কানাচে অনাবাদি জমিতে নিচু দোআঁশ মাটির জমিতে বারি জাতের কচুর চাষ রয়েছে। কচুর বহু জাতের হয়ে থাকে যেমন বনকচু, বিষকচু, কাটাকচু, মুখীকচু, শোলাকচু, ওলকচু, মানকচু, ক্যানকচু, সালকচু, দুধকচু, ঘেটুকচু, মৌলবীকচু, গাঢ়কচু, পানিকচু ইত্যাদি। সাধারণত বনে এ ধরনের অনেক জাতের কচু নিজে নিজেই জম্মায় তাকে বনোকচু বলে সে গুলো খাবারের উপযোগী নয়। বিভিন্ন জাতের কচু অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও পরিচিত। তবে কৃষি সম্প্রসারন কার্যালয় সূত্রে  কচুর নাম রয়েছে  মুখীকচু, বারি পানিকচু, বারিকচু ১ বারিকচু ২ ইত্যাদি।বারি  পানি জাতের কচু বিঘা প্রতি ১২৫ থেকে ১৫০ মণ ও লতি ২০ থেকে ৩০ মণ উৎপাদিত হয়। বারি জাতের কচু চাষে  খরচ কম লাভ বেশি।
চরাঞ্চলের কৃষক হুমায়ন বলেন, আমি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে দুই বিঘা জমিতে  বারি ৫  জাতের কচু চাষ করেছি। তাতে  খুবী  খরচ কম হয়েছে। এতে ভালো ফলনের আশা করছি। বারি৫ জাতের কচু  এই প্রথম চাষ করেছি। আগে কখনো এ জাতের কচু চাষ করিনি। এক একটা বারি৫ জাতের কচুর ওজন হবে ১৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত। তাতে খরচ পুষিয়ে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।
চরাঞ্চলের আরেক কৃষক বলেন, আমি এই প্রথম আমার এক বিঘা জমিতে বারি৫ জাতের কচু চাষ করছি। এক বিঘা জমিতে যে কচু চাষ করেছি তাতে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মত। জমিতে যে  কচুর ফলন হয়েছে। যদি বাজারদর ঠিক থাকে তাতে খরচ পুষিয়ে অনেক টাকাই লাভ হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকনুজ্জামান বলেন, বারি৫ জাতের কচু চাষে কৃষকের খরচ খুবী কম হয়। এতে কৃষক অল্পদিনে লাভবান হয়। এ বছরে গোয়ালন্দ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে বারি৫ জাতের কচু আবাদ হয়েছে।
ট্যাগস :

বারি জাতের কচু চাষে ঝুঁকছে  গোয়ালন্দের কৃষকেরা

আপডেট সময় : ০৮:৩১:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
মোঃ মজিবুর জুয়েল , গোয়ালন্দ( রাজবাড়ী):
সবার কাছে অতি পরিচিত সবজি কচু।  কচুতে রোগ বালাই কম ও কীটনাশক ছাড়াই আবাদ করা যায়। বারি জাতের কচু চাষে দিনে দিনে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের। অন্যন্য ফসলের চেয়ে আবাদে খরচ খুব কম ও ততটা পচনশীল নয়। তাই  কৃষিতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকেরা   বারি৫ জাতের কচু চাষে ঝুঁকছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, উপজেলার চরাঞ্চলে দৌলতদিয়া, দেবগ্রাম, উজানচর কাওয়ালজানি, চরকর্ণশনা, দেবিপুর, চরমজলিশপুর,  চরমহিদাপুর এ সব এলাকাতে পানি বারি জাতের কচু বেশি চাষ করছে চরাঞ্চলে কৃষকেরা। কচু এমন একটি সবজি যার আগা থেকে গোড়া পর্যন্ত খাওয়া যায় অথচ দামের খুবী  সন্তা।কচুর লতি ডাটা ও কচিপাতা সমাজের সর্বস্তরের  মানুষের কাছে সুষম পুষ্টিকর সবজি হিসাবে পরিচিত  কচু  পুষ্টিগুনে ভরপুর। কচু চাষকৃত প্রাচীন উদ্ভিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। কচু স্থলভূমি ও জলভূমি উভয় স্থানে জম্মাতে পারে তবে স্থালভাগেই জম্মানো কচুর সংখ্যা বেশি। রাস্তা পাশে  বাড়ির আনাচে কানাচে অনাবাদি জমিতে নিচু দোআঁশ মাটির জমিতে বারি জাতের কচুর চাষ রয়েছে। কচুর বহু জাতের হয়ে থাকে যেমন বনকচু, বিষকচু, কাটাকচু, মুখীকচু, শোলাকচু, ওলকচু, মানকচু, ক্যানকচু, সালকচু, দুধকচু, ঘেটুকচু, মৌলবীকচু, গাঢ়কচু, পানিকচু ইত্যাদি। সাধারণত বনে এ ধরনের অনেক জাতের কচু নিজে নিজেই জম্মায় তাকে বনোকচু বলে সে গুলো খাবারের উপযোগী নয়। বিভিন্ন জাতের কচু অঞ্চলভেদে ভিন্ন ভিন্ন নামে ও পরিচিত। তবে কৃষি সম্প্রসারন কার্যালয় সূত্রে  কচুর নাম রয়েছে  মুখীকচু, বারি পানিকচু, বারিকচু ১ বারিকচু ২ ইত্যাদি।বারি  পানি জাতের কচু বিঘা প্রতি ১২৫ থেকে ১৫০ মণ ও লতি ২০ থেকে ৩০ মণ উৎপাদিত হয়। বারি জাতের কচু চাষে  খরচ কম লাভ বেশি।
চরাঞ্চলের কৃষক হুমায়ন বলেন, আমি কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে দুই বিঘা জমিতে  বারি ৫  জাতের কচু চাষ করেছি। তাতে  খুবী  খরচ কম হয়েছে। এতে ভালো ফলনের আশা করছি। বারি৫ জাতের কচু  এই প্রথম চাষ করেছি। আগে কখনো এ জাতের কচু চাষ করিনি। এক একটা বারি৫ জাতের কচুর ওজন হবে ১৫ থেকে ২০ কেজি পর্যন্ত। তাতে খরচ পুষিয়ে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছি।
চরাঞ্চলের আরেক কৃষক বলেন, আমি এই প্রথম আমার এক বিঘা জমিতে বারি৫ জাতের কচু চাষ করছি। এক বিঘা জমিতে যে কচু চাষ করেছি তাতে খরচ হয়েছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মত। জমিতে যে  কচুর ফলন হয়েছে। যদি বাজারদর ঠিক থাকে তাতে খরচ পুষিয়ে অনেক টাকাই লাভ হবে।
গোয়ালন্দ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. খোকনুজ্জামান বলেন, বারি৫ জাতের কচু চাষে কৃষকের খরচ খুবী কম হয়। এতে কৃষক অল্পদিনে লাভবান হয়। এ বছরে গোয়ালন্দ উপজেলায় ১৫ হেক্টর জমিতে বারি৫ জাতের কচু আবাদ হয়েছে।