ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

বন্যা আতঙ্কে খোকসার পদ্মা ও গড়াই পাড়ের মানুষ

পুলক সরকার:
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪ ৩২ বার পঠিত

ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি গেট খুলে দেয়ায় খবরে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পদ্মা ও গড়াই পাড়ের বাসিন্দারা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলাটির নদী তীরবর্তী সাত ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পদ্মা ও নদীতে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পায়নি।

ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গত জুলাই মাসে কয়েক দফা পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। আগষ্টের মাঝামাঝিতে পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে হঠাৎ করে ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার খবরে আতংকিত হয়ে পড়েছেন পদ্মা ও গড়াই তীরবর্তি বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে এ সময় উপজেলার আমবাড়িয়া ও গোপগ্রাম ইউনিয়নের নিম্নঅঞ্চল প্লাবিত হয়ে থাকে। এবারও ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে চরের আবাদি ও ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠ। ডুবে গেছে চরাঞ্চলে চাষ করা ধান, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষেত। তবে পানি লোকালয়ে এখনো প্রবেশ করেনি। কিন্তু গত সোমবার ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার খবরে আতংকিত হয়ে পড়েছে উপজেলার বাসিন্দারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে। পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার সকালে ০.০১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পানির উচ্চতা ১১.৯৯ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল যা বিপদ সিমার ১.৮১ সেন্টিমিটার নীচে।

খোকসা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: দোস্তদার হোসেন জানান, বন্যা দেখা দিলে প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যসহ অন্যান্য উপকরণ সামগ্রীর সংকট না হয় সে জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

ইউএনও ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘খোকসা উপজেলায় বন্যার ঝুঁকি নেই। পদ্মা ও গড়াই পাড়ের মানুষদের আতংকিত না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বন্যা দেখা দিলে অগ্রীম সতর্কতা হিসেবে মাইকিং করা হবে।’

বন্যা আতঙ্কে খোকসার পদ্মা ও গড়াই পাড়ের মানুষ

আপডেট সময় : ০৩:৫৪:৪৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৪

ফারাক্কা বাঁধের সব কয়টি গেট খুলে দেয়ায় খবরে আতংকে দিন কাটাচ্ছেন কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার পদ্মা ও গড়াই পাড়ের বাসিন্দারা। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বন্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় বন্যার আশঙ্কা করছেন উপজেলাটির নদী তীরবর্তী সাত ইউনিয়নের লক্ষাধিক মানুষ। যদিও বৃহস্পতিবার পর্যন্ত পদ্মা ও নদীতে অস্বাভাবিক ভাবে পানি বৃদ্ধি পায়নি।

ভারী বর্ষণ ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পানিতে গত জুলাই মাসে কয়েক দফা পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পায়। আগষ্টের মাঝামাঝিতে পানি কিছুটা কমতে শুরু করে। তবে হঠাৎ করে ভারত ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার খবরে আতংকিত হয়ে পড়েছেন পদ্মা ও গড়াই তীরবর্তি বাসিন্দারা।

স্থানীয় বাসিন্দাদের তথ্যমতে, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে পদ্মার পানি অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পায়। ফলে এ সময় উপজেলার আমবাড়িয়া ও গোপগ্রাম ইউনিয়নের নিম্নঅঞ্চল প্লাবিত হয়ে থাকে। এবারও ভারী বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা পানিতে ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে চরের আবাদি ও ফসলের বিস্তীর্ণ মাঠ। ডুবে গেছে চরাঞ্চলে চাষ করা ধান, মরিচসহ বিভিন্ন ধরনের ফসলের ক্ষেত। তবে পানি লোকালয়ে এখনো প্রবেশ করেনি। কিন্তু গত সোমবার ভারতের ফারাক্কা বাঁধ খুলে দেয়ার খবরে আতংকিত হয়ে পড়েছে উপজেলার বাসিন্দারা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য মতে, পদ্মা নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিক রয়েছে। পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ পয়েন্টে মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার সকালে ০.০১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পানির উচ্চতা ১১.৯৯ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হচ্ছিল যা বিপদ সিমার ১.৮১ সেন্টিমিটার নীচে।

খোকসা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: দোস্তদার হোসেন জানান, বন্যা দেখা দিলে প্রয়োজনীয় খাদ্য পণ্যসহ অন্যান্য উপকরণ সামগ্রীর সংকট না হয় সে জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

ইউএনও ইরুফা সুলতানা বলেন, ‘খোকসা উপজেলায় বন্যার ঝুঁকি নেই। পদ্মা ও গড়াই পাড়ের মানুষদের আতংকিত না হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। বন্যা দেখা দিলে অগ্রীম সতর্কতা হিসেবে মাইকিং করা হবে।’