ঢাকা ০১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

বড়াইগ্রামে এক রাতে ১১ মিটার চুরি : ফেরত পেতে চিরকুটে টাকা দাবি

আসমত উল্লাহ- বড়াই গ্রাম (নাটোর) :
  • আপডেট সময় : ০৯:০৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ ১১৩ বার পঠিত

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক রাতে ছয়টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর মোবাইল নম্বর রেখে তাতে টাকা পাঠাতে বলেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র।

গত সোমবার রাতে উপজেলার গোপালপুর, কুন্ডুপাড়া, লক্ষ্মীকোল ও রয়না ভরট এলাকা থেকে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৮টি মিটার গভীর নলকূপের, দুটি চালকলের ও একটি কাঠমিলের।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ঝড়সহ ব্যাপক শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।

এ সুযোগে নগর ইউনিয়নের কুন্ডুপাড়া গ্রামের ফরিদুল ইসলাম মেম্বার ও গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের চালকল, বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীকোল বাজার
সংলগ্ন রাশিদুল ইসলাম রাশিদের কাঠমিল, বাজিতপুর গ্রামের রিপন হোসেনের গভীর নলকুপসহ মোট ১১ জনের বাণিজ্যিক মিটার চুরি হয়।

চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটার ফেরৎ দিতে ৮ হাজার টাকা করে দাবি করে।

এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি টাকা না দিয়ে মিটার লাগায়, তাহলে আবার মিটার চুরি হবে বলে মোবাইলে হুমকিও দেয় চোর চক্রের সদস্যরা।

ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে থানায় মিটার চুরির ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। লক্ষ্মীকোল এলাকার কাঠ মিল মালিক রাশিদুল ইসলাম রাশিদ বলেন, গভীর রাতে মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে। মিটারের স্থানে একটি চিরকুট লিখে তাতে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে
গেছে।
চিরকুটে লেখা মোবাইল নম্বরে ৮ হাজার টাকা পাঠাতেবলা হয়। ওই নম্বরে কথা বলেছি। টাকা না দিয়ে মিটার লাগালে পুনরায় মিটার চুরি করবে বলে হুমকি দিয়েছে।

পরে চোরের সঙ্গে দরদাম করে তাদের চাহিদামত টাকা বিকাশ করেছি। এরপর তারা দুই কিলোমিটার দুরে রাস্তার পাশের একটি বনের ঝোপের মধ্যে রাখা আছে বলে জানালে সেখান থেকে মিটার নিয়ে এসেছি।
বাজিতপুর গ্রামের রিপন হোসেন জানান, এ নিয়ে মোট তিনবার আমার মিটার একই কায়দায় চুরি হলো। এবারও চোরের দেয়া নম্বরে কল দিলে টাকা চেয়েছে। বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে মিটার নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফিউল আজম খান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করাসহ মিটার
উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

বড়াইগ্রামে এক রাতে ১১ মিটার চুরি : ফেরত পেতে চিরকুটে টাকা দাবি

আপডেট সময় : ০৯:০৩:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় এক রাতে ছয়টি বৈদ্যুতিক মিটার চুরির পর মোবাইল নম্বর রেখে তাতে টাকা পাঠাতে বলেছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র।

গত সোমবার রাতে উপজেলার গোপালপুর, কুন্ডুপাড়া, লক্ষ্মীকোল ও রয়না ভরট এলাকা থেকে এসব চুরির ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে ৮টি মিটার গভীর নলকূপের, দুটি চালকলের ও একটি কাঠমিলের।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ঝড়সহ ব্যাপক শিলাবৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ ছিল।

এ সুযোগে নগর ইউনিয়নের কুন্ডুপাড়া গ্রামের ফরিদুল ইসলাম মেম্বার ও গোপালপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের চালকল, বড়াইগ্রাম পৌরসভার লক্ষ্মীকোল বাজার
সংলগ্ন রাশিদুল ইসলাম রাশিদের কাঠমিল, বাজিতপুর গ্রামের রিপন হোসেনের গভীর নলকুপসহ মোট ১১ জনের বাণিজ্যিক মিটার চুরি হয়।

চোর চক্র মিটারগুলো চুরির পর চিরকুটে একটি নম্বর রেখে যায়। মিটারের গ্রাহকেরা ওই নম্বরে যোগাযোগ করলে তাদের কাছে প্রতিটি মিটার ফেরৎ দিতে ৮ হাজার টাকা করে দাবি করে।

এ টাকা ওই নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে পাঠাতে বলা হয়েছে। যদি টাকা না দিয়ে মিটার লাগায়, তাহলে আবার মিটার চুরি হবে বলে মোবাইলে হুমকিও দেয় চোর চক্রের সদস্যরা।

ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে থানায় মিটার চুরির ঘটনাটি মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে। লক্ষ্মীকোল এলাকার কাঠ মিল মালিক রাশিদুল ইসলাম রাশিদ বলেন, গভীর রাতে মিটার চুরি করে নিয়ে গেছে। মিটারের স্থানে একটি চিরকুট লিখে তাতে মোবাইল নম্বর লিখে রেখে
গেছে।
চিরকুটে লেখা মোবাইল নম্বরে ৮ হাজার টাকা পাঠাতেবলা হয়। ওই নম্বরে কথা বলেছি। টাকা না দিয়ে মিটার লাগালে পুনরায় মিটার চুরি করবে বলে হুমকি দিয়েছে।

পরে চোরের সঙ্গে দরদাম করে তাদের চাহিদামত টাকা বিকাশ করেছি। এরপর তারা দুই কিলোমিটার দুরে রাস্তার পাশের একটি বনের ঝোপের মধ্যে রাখা আছে বলে জানালে সেখান থেকে মিটার নিয়ে এসেছি।
বাজিতপুর গ্রামের রিপন হোসেন জানান, এ নিয়ে মোট তিনবার আমার মিটার একই কায়দায় চুরি হলো। এবারও চোরের দেয়া নম্বরে কল দিলে টাকা চেয়েছে। বাধ্য হয়ে টাকা দিয়ে মিটার নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফিউল আজম খান বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে চোর শনাক্ত করাসহ মিটার
উদ্ধারের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।