ঢাকা ০১:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড পাইকগাছায় মটরসাইকেল-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি-হ-ত-১  ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেঝ ভাইকে কু‌পি‌য়ে হত্যা ক‌রে‌ছে ছোট ভাই জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে বিএনপির সমাবেশে হামলা ডুমুরিয়ায় পাওনা টাকা  চাওয়ায়  এক মৎস্য ঘের ব্যবসায়ীকে জীবন নাশের হুমকি আশুলিয়ায় বিদেশি মদসহ দুই কারবারি আটক কুড়িগ্রামের রাজারহাটে জোর পূর্বক পাকা ধান কেটে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ রংপুরে বিএনপি ও ড্যাব এর সহযোগিতায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বাগেরহাট জেলাকে মাদকমুক্ত রাখতে জেলা ছাত্রদলের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ মিছিল ও লিফলেট বিতরণ দীর্ঘ দেড় বছর পর হিলি স্থলবন্দরে চাল আমদানি শুরু

বগুড়ায় চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ; রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

তহমিদুর রহমান, বগুড়া :
  • আপডেট সময় : ০৮:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩ ৩৩৩ বার পঠিত

বগুড়ার শেরপুরে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই শিশুটিকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর অভিযুক্ত ওমর আলী (৫৫) গা-ঢাকা দেওয়ায় পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। তবে তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা।

অভিযুক্ত লম্পট ওমর আলী উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের (পলেস্টারপাড়া) মৃত হযরত আলীর ছেলে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ওমর আলী একই ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামস্থ ভাড়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটায়।

ভিকটিমের পরিবার জানান, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের নওদাপাড়া (মুন্সিপাড়া) এলাকায় লিটন মিয়ার মালিকানাধীন চাতালে ওই শিশুটি খেলা করছিল। আর পাশের আব্দুল মোমিনের চাতালে কাজ করেন অভিযুক্ত ওমর আলী। সে কারণে ওই এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। একপর্যায়ে সোমবার দুপুর বারো টার দিকে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যায় লম্পট ওমর আলী। এসময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পরে শিশুটির জামা-কাপড় খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের নিকট গিয়ে ঘটনাটি জানায়। এরপর রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থা অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার জানায়।

ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, ওমর আলী বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে নিজ বাড়ির শয়সকক্ষে নিয়ে আমার চার বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। একপর্যায়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি এসে আমাকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে বগুড়ার শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন তিনি।

ট্যাগস :

বগুড়ায় চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ; রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৮:২৭:২৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩

বগুড়ার শেরপুরে বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে চার বছরের শিশুকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ওই শিশুটিকে বগুড়ায় শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

ঘটনার পর অভিযুক্ত ওমর আলী (৫৫) গা-ঢাকা দেওয়ায় পুলিশ তাকে ধরতে পারেনি। তবে তাকে ধরতে পুলিশি অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন শেরপুর থানার ওসি বাবু কুমার সাহা।

অভিযুক্ত লম্পট ওমর আলী উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের খন্দকারটোলা দক্ষিণপাড়া গ্রামের (পলেস্টারপাড়া) মৃত হযরত আলীর ছেলে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে ওমর আলী একই ইউনিয়নের নওদাপাড়া গ্রামস্থ ভাড়া বাসায় নিয়ে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটায়।

ভিকটিমের পরিবার জানান, উপজেলার শাহবন্দেগী ইউনিয়নের নওদাপাড়া (মুন্সিপাড়া) এলাকায় লিটন মিয়ার মালিকানাধীন চাতালে ওই শিশুটি খেলা করছিল। আর পাশের আব্দুল মোমিনের চাতালে কাজ করেন অভিযুক্ত ওমর আলী। সে কারণে ওই এলাকার একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। একপর্যায়ে সোমবার দুপুর বারো টার দিকে বিস্কুট খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে বাড়ি নিয়ে যায় লম্পট ওমর আলী। এসময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না। পরে শিশুটির জামা-কাপড় খুলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে অসুস্থ অবস্থায় শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার মায়ের নিকট গিয়ে ঘটনাটি জানায়। এরপর রক্তক্ষরণ শুরু হলে শিশুটিকে দ্রুত উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে অবস্থা অবনতি ঘটলে তাৎক্ষণিক বগুড়ায় শজিমেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় বলে ভুক্তভোগী শিশুটির পরিবার জানায়।

ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা অভিযোগ করে বলেন, ওমর আলী বিস্কুট খাওয়ানোর কথা বলে নিজ বাড়ির শয়সকক্ষে নিয়ে আমার চার বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। একপর্যায়ে রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাড়ি এসে আমাকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আমি এই ঘটনার ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি। ধর্ষণকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

এ বিষয়ে বগুড়ার শেরপুর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বাবু কুমার সাহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটির হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সেইসঙ্গে অভিযুক্তকে ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে দাবি করেন তিনি।