ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

ফুলবাড়ীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত

প্রতিদিনের খবর ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩ ৪৫৭ বার পঠিত

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তর উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সনাতন ধর্মালম্বীদের ঘরে ঘরে পালিত হয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। দুর্গোৎসবের পরপরই প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয় এ পূজা।

শাস্ত্রমতে জানা যায়, দেবী লক্ষ্মী ধন-সম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। এছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব) আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। তিনি খ্যাতি, জ্ঞান, সাহস ও শক্তি, জয়, সুসন্তান, বীরত্ব, স্বর্ণ, অন্যান্য রত্নরাজি, শস্য, সুখ, বুদ্ধি, সৌন্দর্য, উচ্চাশা, উচ্চভাবনা, নৈতিকতা, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন দান করেন। এক কথায় লক্ষ্মীপূজায় মানুষ সার্বিকভাবে সুন্দর ও চরিত্রবান হয়। দেবী লক্ষ্মী দ্বিভূজা ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস-পূর্ণিমা রাতে ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রশ্ন করেন ‘কে জেগে আছো? তাই লক্ষ্মী পূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরী পূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরি অর্থ ‘কে জেগে আছো।

রাত জেগে থাকা মানুষেরাই দেবীর ধন লাভের অধিকারী হন বলে ব্রতকারীরা সারারাত জেগে থাকেন দেবীর ডাকের প্রতীক্ষায়। এদিন ভক্তকূলকে ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে বাড়িতে বাড়িতে পূজা গ্রহণ করে লক্ষী। সে সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে বলে জানান ভক্তরা। কোজাগরী লক্ষীপূজার মধ্য দিয়েই দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বিদায়ের শোক ভুলে আবার আনন্দে মেতে উঠছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মঠ, মন্দির আর হিন্দু পরিবারের প্রতিটি ঘরে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে লক্ষ্মীপূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এ পূজা উদযাপন করে।

উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের  লক্ষ্মী পূজার ভক্ত মৌমিতা রায় মেঘলা, পূজা রানী রায় বলেন, ধন সম্পদ তথা ঐশ্বর্য ও শস্যের প্রতীক হিসেবে মা লক্ষীর পূজা করে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আমরাও এই পূজো উপলক্ষে উপবাস রেখে দিনভর পূজাঅর্চনাসহ ভক্তিগীতি গাইছি। এ পূজো উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজোর দিনে ভাত খান না।

লক্ষ্মী পূজার আরেক ভক্ত কুমারি অনিমা রানী, অঞ্জলি রানী ও সাবেত্রী দেবী বলেন, দিনটি উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। পূজা অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হয় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্জলন করে আলোকিত করে এ পূজা উদযাপন করা হয়।

ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী শ্যামা কালী মন্দিরের পুরোহিত সুদামা চট্টোপাধ্যায় বলেন, লক্ষ্মী ধনসম্পদের দেবী। প্রতিটা সনাতনীই এই দেবীর কাছে ধনসম্পত্তি বৃদ্ধিলাভে পূজাপ্রার্থনা করেন। লক্ষ্মী দেবী সবার ঘরে ধনসম্পদ বর্ষিত করুন এই প্রার্থনা করি।

ফুলবাড়ীতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত

আপডেট সময় : ০৩:৪৩:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৩

দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বৃহত্তর উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শেষে প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (২৮ অক্টোবর) উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সনাতন ধর্মালম্বীদের ঘরে ঘরে পালিত হয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীপূজা। দুর্গোৎসবের পরপরই প্রথম পূর্ণিমা তিথিতে উদযাপিত হয় এ পূজা।

শাস্ত্রমতে জানা যায়, দেবী লক্ষ্মী ধন-সম্পদ তথা ঐশ্বর্যের প্রতীক। এছাড়া উন্নতি (আধ্যাত্মিক ও পার্থিব) আলো, জ্ঞান, সৌভাগ্য, উর্বরতা, দানশীলতা, সাহস ও সৌন্দর্যের দেবীও তিনি। তিনি খ্যাতি, জ্ঞান, সাহস ও শক্তি, জয়, সুসন্তান, বীরত্ব, স্বর্ণ, অন্যান্য রত্নরাজি, শস্য, সুখ, বুদ্ধি, সৌন্দর্য, উচ্চাশা, উচ্চভাবনা, নৈতিকতা, সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘজীবন দান করেন। এক কথায় লক্ষ্মীপূজায় মানুষ সার্বিকভাবে সুন্দর ও চরিত্রবান হয়। দেবী লক্ষ্মী দ্বিভূজা ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী। তার অপর নাম মহালক্ষ্মী। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস-পূর্ণিমা রাতে ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রশ্ন করেন ‘কে জেগে আছো? তাই লক্ষ্মী পূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরী পূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরি অর্থ ‘কে জেগে আছো।

রাত জেগে থাকা মানুষেরাই দেবীর ধন লাভের অধিকারী হন বলে ব্রতকারীরা সারারাত জেগে থাকেন দেবীর ডাকের প্রতীক্ষায়। এদিন ভক্তকূলকে ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে বাড়িতে বাড়িতে পূজা গ্রহণ করে লক্ষী। সে সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে বলে জানান ভক্তরা। কোজাগরী লক্ষীপূজার মধ্য দিয়েই দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বিদায়ের শোক ভুলে আবার আনন্দে মেতে উঠছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মঠ, মন্দির আর হিন্দু পরিবারের প্রতিটি ঘরে আজ অনুষ্ঠিত হয়েছে লক্ষ্মীপূজা। হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এ পূজা উদযাপন করে।

উপজেলার গোয়ালপাড়া গ্রামের  লক্ষ্মী পূজার ভক্ত মৌমিতা রায় মেঘলা, পূজা রানী রায় বলেন, ধন সম্পদ তথা ঐশ্বর্য ও শস্যের প্রতীক হিসেবে মা লক্ষীর পূজা করে থাকেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আমরাও এই পূজো উপলক্ষে উপবাস রেখে দিনভর পূজাঅর্চনাসহ ভক্তিগীতি গাইছি। এ পূজো উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পূজোর দিনে ভাত খান না।

লক্ষ্মী পূজার আরেক ভক্ত কুমারি অনিমা রানী, অঞ্জলি রানী ও সাবেত্রী দেবী বলেন, দিনটি উপলক্ষে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। পূজা অর্চনার পাশাপাশি ঘরবাড়ির আঙিনায় আঁকা হয় লক্ষ্মীর পায়ের ছাপের আল্পনা। সন্ধ্যায় ঘরে ঘরে প্রদীপ প্রজ্জলন করে আলোকিত করে এ পূজা উদযাপন করা হয়।

ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় শ্রীশ্রী শ্যামা কালী মন্দিরের পুরোহিত সুদামা চট্টোপাধ্যায় বলেন, লক্ষ্মী ধনসম্পদের দেবী। প্রতিটা সনাতনীই এই দেবীর কাছে ধনসম্পত্তি বৃদ্ধিলাভে পূজাপ্রার্থনা করেন। লক্ষ্মী দেবী সবার ঘরে ধনসম্পদ বর্ষিত করুন এই প্রার্থনা করি।