প্রধান শিক্ষকের প্রচেষ্টায় বদলে গেছে বিদ্যালয়
- আপডেট সময় : ০২:৩৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ অগাস্ট ২০২৪ ১৯১ বার পঠিত
প্রধান শিক্ষকের উদ্যোগে বদলে গেছে একটি বিদ্যালয়। যিনি শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাই নয়, জীবনে চলার প্রয়োজনীয় সব জ্ঞান দিয়ে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য কাজ করছেন।
বিদ্যালয়টিকে শতভাগ আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। তিনি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার তালবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার।
দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার ২০২১ সালে প্রধান শিক্ষক হিসেবে বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকেই বিদ্যালয়টিকে উন্নত করতে কাজ শুরু করেন। গত কয়েক বছরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সুনাম অর্জন করেছে। ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হারও নিয়ে এসেছেন শূন্যের কোঠায়। এ ছাড়াও বেড়েছে শিক্ষার্থীর সংখ্যা এবং মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলেও এসেছে সাফল্য।
বখাটে কর্তৃক ছাত্রীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন সে লক্ষে কঠোর ভূমিকা রয়েছে প্রধান শিক্ষকের। ভাল ফলাফলের জন্য বিশেষ ক্লাস ও মডেল টেস্টের ব্যবস্থা করেছেন প্রধান শিক্ষক। এতে করে প্রতিবারই সাফল্যের সাথে মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, বিদ্যালয়টিতে ২০২১ সালের আগে এস এস সি পরীক্ষায় পাশের হার ছিলো ৭৬% আর ছিলো না জিপিএ ৫। বর্তমানে পাশের হার ৯৬% এবং গত ৩ বছরেই জিপিএ ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ও বেড়েছে। তবে সম্প্রতি কতিপয় কিছু ব্যক্তি ব্যক্তিগত স্বার্থ চরিতার্থ হাসিলসহ প্রধান শিক্ষকের মান ক্ষুণ্ণ করতে অপপ্রচারে নেমেছে । তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ প্রচার করছেন বলে জানা গেছে।
প্রধান শিক্ষক দিলারা ইয়াসমিন জোয়ার্দ্দার বলেন, বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই শুরু করি সরকারি পাঠ্যক্রমের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ। আর ছাত্র-ছাত্রীদের মানুষিক বিকাশ সাধন করার প্রচেষ্টা। তিনি আরও বলেন, ‘মূলত অনিয়ম-দুর্নীতি, জুয়া ও বখাটেদের বিরুদ্ধে আমার শক্ত অবস্থান থাকায় কতিপয় স্বার্থান্বেষী ব্যক্তি আমাকে হেয় করে আমার মান সম্মানে আঘাত হেনে আমাকে নরম করে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।’