পীরগঞ্জে কোভিট১৯ স্কুলে টিকাদান কার্যক্রমে ৮ লাখ ৭৭ হাজার টাকা উধাও
- আপডেট সময় : ০৪:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অগাস্ট ২০২৩ ৫৩২ বার পঠিত
রংপুরের পীরগঞ্জে কোভিট-১৯ টিকাদান স্কুল পর্যায়ে)কার্যক্রমে ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪’শ টাকা তছরুপের অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য মতে গত বছরের অক্টোবর-নভেম্বর ও চলতি বছরের মার্চ-এপ্রিলে স্কুল পর্যায়ে (৫-১১) কোভিট-১৯ টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
সংশ্লিষ্ট সুত্র জানায়,টিকাদান কর্মসুচি পরিচালনার জন্য ৪৫ টি ওয়ার্ডের প্রতিটিতে ৪ জন কর্মির জন্য ৪’শ টাকা হারে ২ রাউন্ডে ১৮ লাখ ৭২ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। সুত্র মতে উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ৪৫ টি ওয়ার্ডের মধ্যে ২১ টি ওয়ার্ডে ৪ জন করে মোট ৮৪ জন স্বাস্থ্য সহকারীর প্রত্যেকের জন্য সম্মানী ভাতা হিসেবে ৪’শ টাকা হারে ২ রাউন্ডে ৮’শ টাকা হিসেবে সর্বমোট মোট ৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং বাকি ২৪ টি ওয়ার্ডে স্বাস্থ্য সহকারী না থাকায় স্বেচ্ছা সেবক নিয়োগ দিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে মাত্র ৫ হাজার টাকা হিসেবে ২ রাউন্ডে ৪ লাখ টাকা প্রদান করা হয়।
এতে মোট ব্যয় করা হয়,১১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। অবশিষ্ট ৭ লাখ ৩৫ হাজার টাকা সাশ্রয় করেন।এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে টিকার কার্ড স্ক্যান করার জন্য ১ জন করে ১৫ জন কর্মির প্রত্যেককে ৪’ টাকা হারে ২৬ দিনের জন্য ১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়।
এর মধ্যে ভ্যাট ট্যাক্স ১৫হাজার ৬’শ টাক বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১লাখ ৪০ হাজার টাকাসহ সর্বমোট ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪’শ টাকা পকেটস্থ করেন। একই ধরনের দায়িত্ব পালন করে নামমাত্র সম্মানী পাওয়ায় এদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সুত্র মতে,১৬ বছর ধরে এখানে কর্মরত দুর্নীতি অনিয়ম ও ভুয়া বিল ভাউচার তৈরীতে পারদর্শী স্যানিটারী ইন্সপেক্টর গোলাম মোস্তফা অত্যন্ত কৌশলে টিকাদান কর্মসুচির ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত ১৮ লাখ ৭২ হাজার ১ পৃথক বরাদ্দের ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা সমুদয় উত্তোলন পুর্বক ওই সময়ে দায়িত্বরত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা সাদিকাতুল তাহিরিন এর হাতে তুলে দেন।
উক্ত কর্মকর্তা বরাদ্দকৃত সমুদয় টাকা হাতে নিয়ে এর মধ্যে মাত্র ১১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা ব্যয় করে বাকি ৮ লাখ ৭৭ হাজার ৪’শ টাকা পকেটস্থ করেন। গত ৩ আগষ্ট তাঁকে ষ্ট্যান্ড রিলিজ করা হলে নতুন কর্মস্থল কাউনিয়া উপজেলায় যোগদানের পুর্ব মুহুর্তে এ অপকর্ম করেন তিনি। উল্লেখ্য,এর আগেও উক্ত কর্মকর্তা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে খাদ্য-পথ্য সরবরাহের জন্য আহ্বানকৃত দরপত্র গ্রহনের প্রাক্কালে ১০ লাখ টাকা তছরুপ করেন মর্মেও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে ডাঃ সাদিকাতুল তাহিরিন বলেন-“এসব অভিযোগ সত্য নয়”।