পাইকগাছায় ঘুর্ণিঝড় রেমান আতংকে এলাকাবাসী, সতর্কতা অবলম্বন
- আপডেট সময় : ০৩:৩৮:৪৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ৬১ বার পঠিত
ঘুর্ণিঝড় রেমান’র কারণে খুলনার পাইকগাছার দেলুটি ও গড়ইখালী, লস্কর, সোলাদানা, রাড়ুলী, গদাইপুর, হরিঢালী ইউনিয়নের ঝুকিপূর্ণ ভাংগন কবলিত এলাকা নিয়ে আতংকের মধ্যে পড়েছে এলাকাবাসী। চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা সতর্কতার সাথে অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন ১০৮ টি আশ্রায় কেন্দ্র প্রস্তত রেখে সকলকে আশ্রায় কেন্দ্রে আশ্রায় নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
উপজেলার দেলুটি ইউনিয়ের দারুণমল্লিক ভদ্রা নদী,কালিনগর, জিরবুনিয়া, তেলিখালী পারমধুখালী, গেওয়াবুনিয়া শিবসা নদীর বিস্তীর্ণ এলাকায় আবারও ভাংগনের আশংকা দেখা দিয়েছে। প্রচন্ড পানির চাপ ও নদীতে ব্যাপক ঢেউ দেখা দিয়েছে। গড়ুইখালী ইউনিয়ের খুদখালী নদী, কুমখালী, শান্তা ফকিরাবাদ এলাকা মারাত্মক ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। লস্কর ইউনিয়নের আলমমতলা, বাইনতলা, কড়ুলিয়া এলাকার বাঁধ ঝুকিপূর্ণ রয়েছে বলে জানাগেছে। এছাড়া রাড়ুলী ও গদাইপুর ইউনিয়নের মালোপাড়া এলাকার বাঁধ বেশ ঝুকিপূর্ণ। হরিঢালী ইউনিয়নের রহিমপুর, বাদামতলা এলাকা ও সোলাদানা ইউনিয়নের বেতবুনিয়া, বয়ারঝাপা, হলিখালী, সোলাদানা বাজার গেট এলাকার বাঁধ বেশ ঝুকিপূর্ণ রয়েছে।
দেলুটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রিপন কুমার মন্ডল, গড়ইখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম কেরু, এলাকার যুব সমাজের রাজিকুজ্জামান সুমন, রিফাত সানা রাকিবুল হাসান রকি ও মেহেদী হাসান রানা ঝুকিপূর্ণ এলাকা থেকে বিষয়টি নিশ্চিৎ করেন। নদীতে পানি ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ওয়াপদার বাঁধ উপছে আছড়ে পড়ছে। ঘুর্ণিঝড় আঘাত হানলেই বিস্তীর্ন এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশংকা করছেন তারা।
পাইকগাছা কয়রার সংসদ সদস্য মোঃ রশিদুজ্জামান উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও দুর্যোগ ব্যবস্তাপনা কমিটির সভাপতি মাহেরা নাজনীন ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য সচীব ইমরুল কায়েস বলেন, ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ১০৮ টি আশ্রায় কেন্দ্র খুলেছে। সকলকে নিরাপদ জায়গায় আশ্রায় নিতে জরুরী ভাবে নির্দেশ দিয়েছে। শুকনা খাবার প্রস্তুত রেখেছেন । সর্বদা সতর্কতা অবলম্বনে মসজিদের মাইকসহ এলাকায় মাইকিং করে প্রচারকার্য অব্যহত রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে মাঠ জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি বিপুল সংক্ষক সেচ্ছাসেবক প্রস্ত্রত রয়েছে।