ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

পাংশায় পেঁয়াজ ও ভুষি মালের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি

মো: শামীম হোসেন-পাংশা (রাজবাড়ী):
  • আপডেট সময় : ০৪:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩ ৫৫ বার পঠিত

 

বাহিরে পাট, পেঁয়াজ ও ভুষি মাল ব্যবসায়ীর সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভিতরে অবৈধ ভাবে তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়।

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বৃত্তিডাঙ্গা বাজারে এমন একটি ভেজাল গুড় তৈরি করার কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৩১মার্চ) সরেজমিনে গেলে দেখা যায় বাস্তব চিত্র। বৃত্তিডাঙ্গা বাজারে
(কাঠাল গাছ তলা) গেলে দেখা যায়, তিন শার্টার বিশিষ্ট মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পাট, পেঁয়াজ ও ভুষি মাল ব্যবসায়ীর আড়ৎ।

আড়তের ভিতরে প্রবেশ করলে চোখে পড়ে সম্পুর্ণ ভিন্ন চিত্র। দেখা যায়, টিন ভর্তি গুড়,
মাটির হাড়ি ভর্তি পুরাতন নষ্ট গুর, পুরাতন নষ্ট পাটালী, গুড় তৈরীর চুলা, হাউজ সহ গুড়
তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম।

এসব চিত্র মোবাইলে ধারণ করতে শুরু করলে সাংবাদিক টের পেয়ে কারখানার সবাই পালিয়ে যায়। কারখানার সবাই পালিয়ে গেলেও এগিয়ে আসেন স্থানীয় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। কারখানার ভিতরের চিত্র দেখে হতভম্ব হয়ে পরেন তারা।

এ সময় রবিউল ইসলাম নামের এক চা বিক্রেতা বলেন, রাত ১০ টার পর থেকে সারা রাত চালু থাকে, সকাল থেকে সারা দিন বন্ধ থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরাতন নষ্ট
গুড় কিনে এনে চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে দো-জ্যালে করে আবার বিক্রি করে।

স্থানীয় আমিরুল সরদার বলেন, আমরা কারখানার ভিতরে এই প্রথম প্রবেশ করলাম।
এখানে যা দেখছি, সম্পুর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সব ভেজাল। এসব লেখে মানুষ
কখনো সুস্থ্য থাকবে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পাংশা পৌর শহরের মৈশালা গ্রামের তাপষ পাল নামের এক ব্যক্তি কারখানাটি পরিচালনা করে আসছে। তবে মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ
নামের সাইন বোর্ডে প্রোপ্রইটরের নাম লেখা রয়েছে মো. আবু বকর ছিদ্দীক।

সাইনবোর্ডে লেখা মোবাইল নম্বরে মুঠোফোনে কথা হয় আবু বকর ছিদ্দীকের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা ইন্ডিয়া থেকে এলসির গুড় কিনে এসে চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে গুর ও পাটালী তৈরী করে বাজারে বিক্রি করি। কারখানর কোন বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এলসি’র গুড় কিনে আনি, এলসি’র কাগজপত্র আছে। আমি নতুন ব্যবসা শুরু করছি। আর কোন কাগজপত্র লাগে কিনা জানি না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন,
বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আপনার মাধমে অবগত হলাম। বিষয়টি দেখে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পাংশায় পেঁয়াজ ও ভুষি মালের সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভেজাল গুড় তৈরি

আপডেট সময় : ০৪:৪১:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ এপ্রিল ২০২৩

 

বাহিরে পাট, পেঁয়াজ ও ভুষি মাল ব্যবসায়ীর সাইনবোর্ড লাগিয়ে ভিতরে অবৈধ ভাবে তৈরি হচ্ছে ভেজাল গুড়।

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বৃত্তিডাঙ্গা বাজারে এমন একটি ভেজাল গুড় তৈরি করার কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে।

শুক্রবার (৩১মার্চ) সরেজমিনে গেলে দেখা যায় বাস্তব চিত্র। বৃত্তিডাঙ্গা বাজারে
(কাঠাল গাছ তলা) গেলে দেখা যায়, তিন শার্টার বিশিষ্ট মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ নামে একটি পাট, পেঁয়াজ ও ভুষি মাল ব্যবসায়ীর আড়ৎ।

আড়তের ভিতরে প্রবেশ করলে চোখে পড়ে সম্পুর্ণ ভিন্ন চিত্র। দেখা যায়, টিন ভর্তি গুড়,
মাটির হাড়ি ভর্তি পুরাতন নষ্ট গুর, পুরাতন নষ্ট পাটালী, গুড় তৈরীর চুলা, হাউজ সহ গুড়
তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম।

এসব চিত্র মোবাইলে ধারণ করতে শুরু করলে সাংবাদিক টের পেয়ে কারখানার সবাই পালিয়ে যায়। কারখানার সবাই পালিয়ে গেলেও এগিয়ে আসেন স্থানীয় অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। কারখানার ভিতরের চিত্র দেখে হতভম্ব হয়ে পরেন তারা।

এ সময় রবিউল ইসলাম নামের এক চা বিক্রেতা বলেন, রাত ১০ টার পর থেকে সারা রাত চালু থাকে, সকাল থেকে সারা দিন বন্ধ থাকে। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুরাতন নষ্ট
গুড় কিনে এনে চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে দো-জ্যালে করে আবার বিক্রি করে।

স্থানীয় আমিরুল সরদার বলেন, আমরা কারখানার ভিতরে এই প্রথম প্রবেশ করলাম।
এখানে যা দেখছি, সম্পুর্ণ অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। সব ভেজাল। এসব লেখে মানুষ
কখনো সুস্থ্য থাকবে না।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, পাংশা পৌর শহরের মৈশালা গ্রামের তাপষ পাল নামের এক ব্যক্তি কারখানাটি পরিচালনা করে আসছে। তবে মেসার্স সাব্বির এন্টারপ্রাইজ
নামের সাইন বোর্ডে প্রোপ্রইটরের নাম লেখা রয়েছে মো. আবু বকর ছিদ্দীক।

সাইনবোর্ডে লেখা মোবাইল নম্বরে মুঠোফোনে কথা হয় আবু বকর ছিদ্দীকের সাথে কথা হয়। তিনি বলেন, আমরা ইন্ডিয়া থেকে এলসির গুড় কিনে এসে চিনি দিয়ে জ্বাল দিয়ে গুর ও পাটালী তৈরী করে বাজারে বিক্রি করি। কারখানর কোন বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এলসি’র গুড় কিনে আনি, এলসি’র কাগজপত্র আছে। আমি নতুন ব্যবসা শুরু করছি। আর কোন কাগজপত্র লাগে কিনা জানি না।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ জাফর সাদিক চৌধুরী বলেন,
বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। আপনার মাধমে অবগত হলাম। বিষয়টি দেখে
প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।