পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছে তাসমিয়া
- আপডেট সময় : ০৬:৪৩:৩২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ অক্টোবর ২০২৩ ২৪৫ বার পঠিত
‘গার্ডেন অফ হোপ ফাউন্ডেশন’ এর উদ্যোগে এস.ডি.জি. লক্ষ্যমাত্রা পূরণের মাধ্যমে ১৩-১৯ বছর বয়সী তরুণীদের ভবিষ্যৎ লিডার হিসেবে গড়ে তুলতে ‘এশিয়ান গার্লস ইন অ্যাকশন প্রজেক্ট ২০২৩’ এর কার্যক্রম শুরু হয়।
এই লক্ষ্যে এশিয়া মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন দেশের নারী শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে এস.ডি.জি. লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে প্রজেক্ট আহবান করা হয়। এতে এশিয়া মহাদেশের ১৫টি দেশ থেকে ৮০টিরও বেশি প্রজেক্ট পাঠানো হয়। তার মধ্য থেকে ৮টি দেশের ৮জন নারী শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়। বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয় তাসমিয়া ইসলাম। সে ব্র্যাক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জয়পুরপাড়া, বগুড়ার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তাসমিয়া এস.ডি.জি. এর ১৩তম গোল ‘ক্লাইমেট অ্যাকশান’কে সামনে রেখে তার প্রজেক্ট জমা দিয়েছিল। তার বিষয়বস্তু ছিল ‘প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও প্লাস্টিক পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন’। ‘
এশিয়ান গার্লস ইন এ্যাকশন প্রজেক্ট ২০২৩’ এ নির্বাচিত ৮টি দেশের ৮ জন তরুণী ১৬ থেকে ২২ জুলাই ২০২৩ তাইওয়ানে শিক্ষাভ্রমণে যায়। তাইওয়ান যাওয়ার পূর্বে ‘গার্ডেন অফ হোপ ফাউন্ডেশন’ তিনটি জুম মিটিং এর মাধ্যমে তাঁদের ‘প্রজেক্ট বেইজড লার্ণিং’সহ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা প্রদান করে। তাইওয়ানে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী তাদের প্রজেক্ট প্লান ও প্রজেক্ট ট্রাই আউট মাসের ক্যালেণ্ডার উপস্থাপন করে। ‘গার্ডেন অফ হোপ ফাউন্ডেশন’ নির্বাচিত ৮ জন নারীর প্রত্যেককে তাদের প্রজেক্ট ট্রাই আউটের জন্য ৪০০ ইউএস ডলার প্রদান করে।
তাইওয়ান থেকে ফিরে এসে তাসমিয়া তার প্রজেক্ট ট্রাই আউটের কাজ শুরু করে। আগস্ট মাসে সে তার নিজ এলাকায় জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে র্যালী এবং তাঁর বিদ্যালয়ে অভিভাবক সভাপরিচালনা করে। তাছাড়া সে তার স্কুলের শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে বাড়ি-বাড়ি গিয়ে প্লাস্টিকের ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে। পাশাপাশি সে প্লাস্টিক পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন এর লক্ষ্যে তার প্রজেক্ট ট্রাই আউটের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন করে। এছাড়াও সে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে জনসচেতনতার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
চলতি বছরের ১৪ অক্টোবর ৮টি দেশের ৮ জনের চূড়ান্ত উপস্থাপনা ও প্রশ্ন-উত্তর পর্ব তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে ৩টি প্রজেক্ট চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হবে এবং আগামী ১ বছরের জন্য পুনরায় তাদের অর্থায়ন করা হবে যেন তারা তাদের প্রজেক্টকে আরও সামনে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।