ঢাকা ০১:০৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে নিজ অর্থায়নে জিও ব‍্যাগ ফেললেন উপজেলা চেয়ারম্যান

মো. সাজ্জাদ হোসেন-গোয়ালন্দ(রাজবাড়ী):
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪ ৪৬ বার পঠিত

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতে বসতবাড়ি, দোকানপাট ও নদীর পাড় এবং ৬ নং ফেরিঘাটে ভাঙন অব্যহত রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন পদক্ষেপ না থাকায় এলাকাবাসীর রক্ষার্থে নিজ উদ্যোগে ও ব্যাক্তিগত অর্থায়নে বালুভর্তি জিও ব‍্যাগ ফেলছেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী।

শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১২ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরিঘাট প্রায় অর্ধেকই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন রোধে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সীর উদ্যোগে ট্রাকে করে বালু এনে তা জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন স্থানে ফেলছে শ্রমিকেরা।

এসময় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বসবাসরত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, নদীভাঙ্গন রোধে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কয়েকদিন আগে মোস্তফা মুন্সী ফেরিঘাটের ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন এবং তখন তিনি আমাদের কথা দেন কেউ যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপাতত ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, জেলা আওয়ামী মোটরচালক লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তপু, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাতুল আহম্মেদ সজল সহ স্থানীয় এলাকাবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন অব্যহত থাকলেও এর কোন সঠিক সুরাহা হয়নি। ইতিমধ্যে পদ্মা নদীর ভাঙনে শতাধিক ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমাদের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী নিজ উদ্যোগে ভাঙন রোধে আপাতত এক হাজার বালুভর্তি জিওব্যাগ ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ফেলছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী বলেন, আমরা পদ্মা পারের মানুষ। পদ্মা নদী আমাদের সব গিলে খাচ্ছে। আমার বসতভিটাও পদ্মা নদীতে চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোয়া সব জায়গায় অব্যহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়ালন্দ উপজেলাবাসীর একটাই চাওয়া তা হলো নদী শাসন, যা করা হলে মানচিত্র থেকে হারাবেনা গোয়ালন্দ। ফেরিঘাটের ভাঙন রোধে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সেজন্য পদ্মা পাড়ের মানুষের কথা চিন্তা করে আপাতত ভাঙন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই জোড় দাবি আমাদের নদী শাসন টা দ্রুত করা হোক, তাহলে নদী পাড়ের মানুষ বেঁচে যাই।

পদ্মা নদীর ভাঙ্গন রোধে নিজ অর্থায়নে জিও ব‍্যাগ ফেললেন উপজেলা চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৯:২৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুলাই ২০২৪

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে পদ্মার ভয়াবহ ভাঙন শুরু হয়েছে। বর্তমানে পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তীব্র স্রোতে বসতবাড়ি, দোকানপাট ও নদীর পাড় এবং ৬ নং ফেরিঘাটে ভাঙন অব্যহত রয়েছে। ভাঙ্গন রোধে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন পদক্ষেপ না থাকায় এলাকাবাসীর রক্ষার্থে নিজ উদ্যোগে ও ব্যাক্তিগত অর্থায়নে বালুভর্তি জিও ব‍্যাগ ফেলছেন গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী।

শনিবার (১৩ জুলাই) বেলা ১২ টার দিকে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দৌলতদিয়া ৬ নং ফেরিঘাট প্রায় অর্ধেকই নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।

ভাঙন রোধে উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা মুন্সীর উদ্যোগে ট্রাকে করে বালু এনে তা জিও ব্যাগের মাধ্যমে ভাঙন স্থানে ফেলছে শ্রমিকেরা।

এসময় দৌলতদিয়া ফেরিঘাটে বসবাসরত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা বলেন, নদীভাঙ্গন রোধে এখন পর্যন্ত কেউ কোনো প্রকার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। কয়েকদিন আগে মোস্তফা মুন্সী ফেরিঘাটের ভাঙন স্থান পরিদর্শন করেন এবং তখন তিনি আমাদের কথা দেন কেউ যদি কোনো ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমি ব্যাক্তিগতভাবে আপাতত ভাঙন রোধে বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলবো।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, গোয়ালন্দ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ, জেলা আওয়ামী মোটরচালক লীগের সভাপতি তোফাজ্জেল হোসেন তপু, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাতুল আহম্মেদ সজল সহ স্থানীয় এলাকাবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

এসময় উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব ঘোষ বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দীর্ঘদিন যাবত পদ্মা নদীর ভয়াবহ ভাঙন অব্যহত থাকলেও এর কোন সঠিক সুরাহা হয়নি। ইতিমধ্যে পদ্মা নদীর ভাঙনে শতাধিক ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় আমাদের উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোস্তফা মুন্সী নিজ উদ্যোগে ভাঙন রোধে আপাতত এক হাজার বালুভর্তি জিওব্যাগ ৬ নম্বর ফেরিঘাটে ফেলছে।

গোয়ালন্দ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মোস্তফা মুন্সী বলেন, আমরা পদ্মা পারের মানুষ। পদ্মা নদী আমাদের সব গিলে খাচ্ছে। আমার বসতভিটাও পদ্মা নদীতে চলে গেছে। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ছোয়া সব জায়গায় অব্যহত আছে। এরই ধারাবাহিকতায় গোয়ালন্দ উপজেলাবাসীর একটাই চাওয়া তা হলো নদী শাসন, যা করা হলে মানচিত্র থেকে হারাবেনা গোয়ালন্দ। ফেরিঘাটের ভাঙন রোধে বিআইডব্লিউটিএ ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সেজন্য পদ্মা পাড়ের মানুষের কথা চিন্তা করে আপাতত ভাঙন রোধে কিছু জিও ব্যাগ ফেলছি। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের একটাই জোড় দাবি আমাদের নদী শাসন টা দ্রুত করা হোক, তাহলে নদী পাড়ের মানুষ বেঁচে যাই।