ঢাকা ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দেবহাটায় মাছের পাশাপাশি ভেঁড়িতে অসময়ে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী গোলাম রব্বানী তথ্যমেলায় মুজিববর্ষের লিফলেট ও শেখ হাসিনার বাণী প্রচার: আগামীকাল খানসামায় আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বালিয়াকান্দিতে উপজেলা পর্যায়ে অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন পাইকগাছায় বিপুল পরিমাণ পলিথিন ব্যাগ ও কারেন্ট জাল জব্দ পাইকগাছার গদাইপুরে গনশুনানী অনুষ্ঠিত জনগণের আস্থা পেলে ধানের শীষের জয় সুনিশ্চিত: ডাঃ এ জেড এম জাহিদ টঙ্গি ইজতেমা হামলার প্রতিবাদে হিলিতে সাদপন্থীদের নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ৩১দফা অবহিতকরণে আত্রাইয়ে সাহাগোলা ইউনিয়ন বিএনপি’র আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত চারঘাটে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সভাপতি ইসরাইল, সম্পাদক সুজন

নান্দাইলে রেখা আক্তার হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

মোঃ মোখলেছুর রহমান- নান্দাইল (ময়মনসিংহ):
  • আপডেট সময় : ১১:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪ ১০৫ বার পঠিত

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরভেলামারি গ্রামের হতদরিদ্র হাসিম উদ্দিন হাসুর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা রেখা আক্তার(২০) কে উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুণাকান্দা গ্রামের মোঃ আজিজুল ইসলামের পুত্র মোঃ তাইজুল ইসলাম (২৩)ও তার পরিবার নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করার প্রতিবাদে হত্যাকরীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৪মে শনিবার বিকেলে উপজেলার ১৩নং চরবেতাগৈর ইউনিয়নের ভেলামারি আতাউরের মোর রেখা আক্তারের পরিবার ও‌ এলাকাবাসী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

মানববন্ধনে নিহত রেখার মা রমিছা খাতুন বলেন গত ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে মুঠোফোনে জানালে আমরা ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে আমার মেয়েকে মৃত দেখতে পাই ও জানতে পারি
গভীর রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা রেখা আক্তারকে (২০) নান্দাইল হাসপাতালে না নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বামী-শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন। তবে রেখা মারা গেছেন জানতে পেরে পালিয়ে যান তাঁর স্বামী মো. তাইজুল ইসলাম (২৩)। এ সময় জরুরি বিভাগের লোকজন শ্বশুর আজিজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দেয়। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিত্সক নিশাত আনজুমান মিতু জানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পান ওই নারী পথেই মারা গেছেন। হূদরোগ বা অন্য কোনো জটিল রোগ ছিল না।
ধারণা করা হয়, নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। নিহতের গলায় , পিঠে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মেয়েকে নির্যাতনের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে রেখার মা রমিজা খাতুন জানান অটোরিক্সা কেনার জন্য ২ লক্ষ টাকা দাবি করলে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিলে অটোরিকশা না কিনে সেই টাকা খরচ করে আবার টাকার জন্য চাপ দেয় তাইজুল। পূনরায় টাকা দিতে না পারায় চলছিল নির্যাতন।হাসপাতাল থেকে রেখার লাশ উদ্ধার করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল সরকার তিনি জানান, সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে নিহত রেখার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে।
নান্দাইল থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট ও দাফন করার সময় রেখাকে গোসল দেয়ার সময় উপস্থিত বাবুলের স্রী রোজিনা (১৯) জানান মৃতের গলায়,পিটে, পেটে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জলন্ত সিগারেট দিয়ে ছেকা দেওয়ার দাগ রয়েছে।
এদিকে নান্দাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন রমিছা খাতুন ও তার পরিবারের লোকজন।
অপরদিকে গৃহবধূ রেখার শশুর মোঃ আজিজুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি সুরাইয়া বেগম অন্তু:সত্বার কথা স্বীকার করে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
হতদরিদ্র ভূক্তভোগি হতদরিদ্র পরিবার অন্ত:সত্বা রেখার হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

নান্দাইলে রেখা আক্তার হত্যার বিচারের দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

আপডেট সময় : ১১:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার চরভেলামারি গ্রামের হতদরিদ্র হাসিম উদ্দিন হাসুর মেয়ে অন্তঃসত্ত্বা রেখা আক্তার(২০) কে উপজেলার চন্ডীপাশা ইউনিয়নের বরুণাকান্দা গ্রামের মোঃ আজিজুল ইসলামের পুত্র মোঃ তাইজুল ইসলাম (২৩)ও তার পরিবার নির্মম নির্যাতন করে হত্যা করার প্রতিবাদে হত্যাকরীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৪মে শনিবার বিকেলে উপজেলার ১৩নং চরবেতাগৈর ইউনিয়নের ভেলামারি আতাউরের মোর রেখা আক্তারের পরিবার ও‌ এলাকাবাসী এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে।

মানববন্ধনে নিহত রেখার মা রমিছা খাতুন বলেন গত ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার ঈশ্বরগঞ্জ থানা থেকে মুঠোফোনে জানালে আমরা ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে আমার মেয়েকে মৃত দেখতে পাই ও জানতে পারি
গভীর রাতে গুরুতর আহত অবস্থায় অন্তঃসত্ত্বা রেখা আক্তারকে (২০) নান্দাইল হাসপাতালে না নিয়ে ঈশ্বরগঞ্জ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন তার স্বামী-শ্বশুরসহ পরিবারের লোকজন। তবে রেখা মারা গেছেন জানতে পেরে পালিয়ে যান তাঁর স্বামী মো. তাইজুল ইসলাম (২৩)। এ সময় জরুরি বিভাগের লোকজন শ্বশুর আজিজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশে দেয়। জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিত্সক নিশাত আনজুমান মিতু জানান পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে পান ওই নারী পথেই মারা গেছেন। হূদরোগ বা অন্য কোনো জটিল রোগ ছিল না।
ধারণা করা হয়, নির্যাতনের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হতে পারে। নিহতের গলায় , পিঠে ও পেটে আঘাতের চিহ্ন ছিল। মেয়েকে নির্যাতনের পর পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে রেখার মা রমিজা খাতুন জানান অটোরিক্সা কেনার জন্য ২ লক্ষ টাকা দাবি করলে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা দিলে অটোরিকশা না কিনে সেই টাকা খরচ করে আবার টাকার জন্য চাপ দেয় তাইজুল। পূনরায় টাকা দিতে না পারায় চলছিল নির্যাতন।হাসপাতাল থেকে রেখার লাশ উদ্ধার করেছেন ঈশ্বরগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল সরকার তিনি জানান, সুরতহাল রিপোর্টে দেখা গেছে নিহত রেখার গলায় ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্যাতনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হতে পারে।
নান্দাইল থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে পুলিশের সুরতহাল রিপোর্ট ও দাফন করার সময় রেখাকে গোসল দেয়ার সময় উপস্থিত বাবুলের স্রী রোজিনা (১৯) জানান মৃতের গলায়,পিটে, পেটে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জলন্ত সিগারেট দিয়ে ছেকা দেওয়ার দাগ রয়েছে।
এদিকে নান্দাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে মামলা না নেওয়ার অভিযোগ করেছেন রমিছা খাতুন ও তার পরিবারের লোকজন।
অপরদিকে গৃহবধূ রেখার শশুর মোঃ আজিজুল ইসলাম ও শ্বাশুড়ি সুরাইয়া বেগম অন্তু:সত্বার কথা স্বীকার করে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।
হতদরিদ্র ভূক্তভোগি হতদরিদ্র পরিবার অন্ত:সত্বা রেখার হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।