ঢাকা ০৬:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে

চৌদ্দগ্রামে নারী উদ্যোক্তা মেলা ও বসন্ত উৎসব

মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন নাঈম-(কুমিল্লা) চৌদ্দগ্রাম:
  • আপডেট সময় : ০৮:০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৭৪০ বার পঠিত

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাঙ্গণে চৌদ্দগ্রাম নারী উদ্যোক্তা সংগঠন ও নবনীতা যুব মহিলা ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নারী উদ্যোক্তা মেলা ও বসন্ত উৎসব। চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেলায় অংশ নিয়েছিলেন অনেক নারী উদ্যোক্তা। মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মেলায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা রুবিনা আক্তার রুবি।

সারা বছরই দেশজুড়ে নানা রকম মেলা হয়। তবে শুধু নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে মেলার আয়োজন খুব একটা দেখা যায় না। চৌদ্দগ্রাম নারী উদ্যোক্তা সংগঠন ও নবনীতা যুব মহিলা ক্লাব তেমনই একটি মেলা আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। চার দিনব্যাপী এ মেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। মানুষের উৎসাহ দেখেই বোঝা যায় মেলাটি শতভাগ সফল।

মেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা মেলা দেশের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বাড়াবে এবং দেশীয় পোশাক ক্রয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়া, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার।

মোট ১৮ জন নারী উদ্যোক্তা মেলায় অংশগ্রহণ করেন। বেশিরভাগ উদ্যোক্তা নানা ধরনের দেশীয় পোশাক প্রদর্শন করেন। এর পাশাপাশি ছিল গহনা, পাটজাত পণ্য, তৈজসপত্র, কেক,খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প ও গৃহস্থলী পণ্য, খাবারের স্টলও ছিল পাশাপাশি।

মেলার প্রথমদিন ছিল রবিবার। সেদিন লোক সমাগম খুব বেশি না হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে মেলা জমে ওঠে। কিশোরী থেকে তরুণী, মধ্যবয়স্ক নারী থেকে বৃদ্ধা মহিলারাও মেলায় আসেন। ওদিকে মা-বাবার হাত ধরে মেলায় আসে শিশুরাও।

আমরা স্টলে দেশীয় ব্লক-বাটিকের পোশাকের পাশাপাশি গয়না ও চামড়াজাত ব্যাগ প্রদর্শন করেছিলাম। ক্রেতারা উৎসাহ নিয়ে সেসব দেখেছেন। অনেকেই পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করেছেন। আমাদের পোশাকের মান ভালো হলে অনেকেই পরবর্তীতে আমাদের থেকে আরও পোশাক সংগ্রহ করবেন বলে জানান। এর মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রেও।

আমাদের দেশের নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছেন। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকার যদি নারী উদ্যোক্তাদের দিকে বাড়তি দৃষ্টি দেয়, তাহলে এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে পোশাক খাতে যেসব নারী উদ্যোক্তা কাজ করছেন, তাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ ধরনের মেলা তাদের তৈরি পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি ও প্রচারে সাহায্য করবে।

বর্তমান সময়ে নারী উদ্যোক্তারা তথ্যপ্রযুক্তি, বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভালো উপকরণ ও নিজস্ব সৃজনশীলতা দিয়ে পোশাকের ডিজাইন ও মানসম্মত পোশাক তৈরি করছেন। এসব পোশাক বাজারজাত করার জন্য মেলা একটি দারুণ উদ্যোগ। দেশব্যাপী এ ধরনের মেলার আয়োজন বাড়ালে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

নারীদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য এমন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তাহমিনা রহমান টুম্পা বলেন, নারীরা সমাজে এগিয়ে  যাচ্ছে। কিন্তু, অনেকেই অনেক বিরূপ কথাও বলেন। বাস্তবতা হচ্ছে নারীরা নিজেদের পণ্যে গুলো তুলে ধরছেন। নিজের ব্যবসাকে অন্যদের কাছে জানাচ্ছেন। মেলার মাধ্যমে নিজেকে পরিচিতি করার সুযোগ থাকে। অনলাইনে অনেক ধোঁকাবাজি হয়ে থাকে কিন্তু আমাদের পণ্যগুলোতে যে কোনো ভেজাল নেই তা জানানোর জন্যও মেলা খুব কার্যকর।

মেলায় অংশ নেয়া রুবিনা আক্তার রুবি ও তাহমিনা তাহমিনা রহমান টুম্পা, ফারহানা দিবা, ফাহিমা আক্তার পপি,জান্নাতুল ফেরদৌস, তানিয়া রেহমান, সানজিদা রহমান, শারমিন সুলতানা, শামীমা সুমি বলেন, এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমরা অনেক খুশি।

চৌদ্দগ্রামে নারী উদ্যোক্তা মেলা ও বসন্ত উৎসব

আপডেট সময় : ০৮:০২:১৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রাঙ্গণে চৌদ্দগ্রাম নারী উদ্যোক্তা সংগঠন ও নবনীতা যুব মহিলা ক্লাবের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল নারী উদ্যোক্তা মেলা ও বসন্ত উৎসব। চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ মেলায় অংশ নিয়েছিলেন অনেক নারী উদ্যোক্তা। মেলা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাচ্ছেন মেলায় অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তা রুবিনা আক্তার রুবি।

সারা বছরই দেশজুড়ে নানা রকম মেলা হয়। তবে শুধু নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে মেলার আয়োজন খুব একটা দেখা যায় না। চৌদ্দগ্রাম নারী উদ্যোক্তা সংগঠন ও নবনীতা যুব মহিলা ক্লাব তেমনই একটি মেলা আয়োজন করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। চার দিনব্যাপী এ মেলায় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের ঢল নামে। মানুষের উৎসাহ দেখেই বোঝা যায় মেলাটি শতভাগ সফল।

মেলা উদ্বোধন করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তমালিকা পাল। উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘উদ্যোক্তা মেলা দেশের উৎপাদিত পণ্যের চাহিদা বাড়াবে এবং দেশীয় পোশাক ক্রয়ে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করবে।’
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেপি দেওয়া, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকিনা বেগম, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রাশেদা আক্তার।

মোট ১৮ জন নারী উদ্যোক্তা মেলায় অংশগ্রহণ করেন। বেশিরভাগ উদ্যোক্তা নানা ধরনের দেশীয় পোশাক প্রদর্শন করেন। এর পাশাপাশি ছিল গহনা, পাটজাত পণ্য, তৈজসপত্র, কেক,খাদ্য ও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, হস্তশিল্প ও গৃহস্থলী পণ্য, খাবারের স্টলও ছিল পাশাপাশি।

মেলার প্রথমদিন ছিল রবিবার। সেদিন লোক সমাগম খুব বেশি না হলেও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দিনে মেলা জমে ওঠে। কিশোরী থেকে তরুণী, মধ্যবয়স্ক নারী থেকে বৃদ্ধা মহিলারাও মেলায় আসেন। ওদিকে মা-বাবার হাত ধরে মেলায় আসে শিশুরাও।

আমরা স্টলে দেশীয় ব্লক-বাটিকের পোশাকের পাশাপাশি গয়না ও চামড়াজাত ব্যাগ প্রদর্শন করেছিলাম। ক্রেতারা উৎসাহ নিয়ে সেসব দেখেছেন। অনেকেই পছন্দের পোশাকটি সংগ্রহ করেছেন। আমাদের পোশাকের মান ভালো হলে অনেকেই পরবর্তীতে আমাদের থেকে আরও পোশাক সংগ্রহ করবেন বলে জানান। এর মাধ্যমে ক্রেতাদের সঙ্গে আমাদের ভালো একটি সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। একই ঘটনা ঘটেছে অন্যান্য উদ্যোক্তাদের ক্ষেত্রেও।

আমাদের দেশের নারীরা অনেক ক্ষেত্রেই পিছিয়ে আছেন। যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সরকার যদি নারী উদ্যোক্তাদের দিকে বাড়তি দৃষ্টি দেয়, তাহলে এ পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। বিশেষ করে পোশাক খাতে যেসব নারী উদ্যোক্তা কাজ করছেন, তাদের দিকে বিশেষ দৃষ্টি দিতে হবে। নারী উদ্যোক্তাদের নিয়ে এ ধরনের মেলা তাদের তৈরি পণ্যের বিক্রি বৃদ্ধি ও প্রচারে সাহায্য করবে।

বর্তমান সময়ে নারী উদ্যোক্তারা তথ্যপ্রযুক্তি, বাঙালির ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভালো উপকরণ ও নিজস্ব সৃজনশীলতা দিয়ে পোশাকের ডিজাইন ও মানসম্মত পোশাক তৈরি করছেন। এসব পোশাক বাজারজাত করার জন্য মেলা একটি দারুণ উদ্যোগ। দেশব্যাপী এ ধরনের মেলার আয়োজন বাড়ালে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।

নারীদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য এমন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে তাহমিনা রহমান টুম্পা বলেন, নারীরা সমাজে এগিয়ে  যাচ্ছে। কিন্তু, অনেকেই অনেক বিরূপ কথাও বলেন। বাস্তবতা হচ্ছে নারীরা নিজেদের পণ্যে গুলো তুলে ধরছেন। নিজের ব্যবসাকে অন্যদের কাছে জানাচ্ছেন। মেলার মাধ্যমে নিজেকে পরিচিতি করার সুযোগ থাকে। অনলাইনে অনেক ধোঁকাবাজি হয়ে থাকে কিন্তু আমাদের পণ্যগুলোতে যে কোনো ভেজাল নেই তা জানানোর জন্যও মেলা খুব কার্যকর।

মেলায় অংশ নেয়া রুবিনা আক্তার রুবি ও তাহমিনা তাহমিনা রহমান টুম্পা, ফারহানা দিবা, ফাহিমা আক্তার পপি,জান্নাতুল ফেরদৌস, তানিয়া রেহমান, সানজিদা রহমান, শারমিন সুলতানা, শামীমা সুমি বলেন, এমন আয়োজনে অংশ নিতে পেরে আমরা অনেক খুশি।