খোকসায় নিষিদ্ধ ‘চায়না দুয়ারি’র ফাঁদে হুমকিতে দেশীয় মাছ
- আপডেট সময় : ০১:৫২:৪২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ১৩৫ বার পঠিত
কুষ্টিয়ার খোকসায় দেশীয় মাছ ধ্বংসের মহোৎসব চলছে। এ উৎসবে মেতেছে খাল বিলের মৌসুমী জেলেরা। ধ্বংস যজ্ঞের প্রধান অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার হচ্ছে, চায়না দূয়ারী ও কারেন্টসহ নাম না জানা অসংখ্য জাল। এখনই ব্যাবস্থা না নিলে অচিরেই দেশীয় মাছ বিলুপ্ত হবে বলছেন সচেতন মহল ও মৎস্য গবেষকরা। তাই প্রশাসনের হস্তক্ষেপ জরুরী বলে মনে করছেন তারা।
বহুকাল ধরে পরিচিত একটি প্রবাদ বাক্যের সাথে পরিচিত ‘মাছে ভাতে বাঙালী’।তবে মাছ শুন্য থালায় সে কথা এখন মানতে নারাজ নতুন প্রজন্ম। ভাতের সাথে মাছ খাওয়া এখন আকাশ কুসুম ব্যাপার। এর প্রধান কারন নামে-বেনামে অনেক বিদেশী জাল জেলেদের হাতে পৌঁছে নির্বিচারে ছোট মাছ ধ্বংস করছে।
গ্রামীণ হাটবাজারগুলোয় প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব জাল বিক্রি করেছে একশ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী। ছোট থেকে বড় সব ধরনের মাছ এ জালে আটকা পরায় মৎস্যজীবীদের কাছে চায়না দুয়ারি জালে চাহিদা বাড়ছে।
সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ মাঠ, ডোবা, নালা, খাল সব জায়গাতেই চায়না দুয়ারি জাল, কারেন্ট জালসহ অসংখ্য নাম না জানা মাছ মারার ফাদ পেতে মাছ ধরছেন জেলেরা। এবং হাটবাজার ঘুরে দেখাযায়, সদ্যজন্ম নেওয়া ছোট ছোট দেশীয় মাছের পোনায় সয়লাব শহর ও গ্রামীন মাছের বাজার। এর মধ্যে রয়েছে সিং, মাগুর, কই, টাকি, পুটি, ভেদা, শোল ও বোয়ালসহ নানা জাতের মাছ।
এবিষয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারেক আজিজ বলেন, দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষায় আমরা সারা বছরই কাজ করছি। যে সকল জেলেরা এই ধরনের কাজে লিপ্ত তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।