ঢাকা ১২:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

কালবোশেখী ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুল, সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে পরীক্ষায় বসেছে শিক্ষার্থীরা___

মো:আলা আমিন-জামালপুর:
  • আপডেট সময় : ১০:১১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩ ১৬৮ বার পঠিত

প্রলয়ংকরী কালবোশেখী ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুল, সপ্তাহ ঘুরতেই শুরু হয়েছে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা। স্কুলের ভিটেতে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে পরীক্ষায় বসেছে কোমলপ্রাণ শিশুরা।

ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পূর্ব ভেঙ্গুরার শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
গত ১৬ মে ভয়াবহ কালবোশেখী ঝড়ে স্কুলের সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

হারিয়ে গেছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ অনেক কিছু, এমনকি স্কুলের টিনের চাল, আসবাব পত্র সঠিকভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সাইনবোর্ড কোথায় গেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে রোদ থেকে বাঁচার জন্য, আবহাওয়ার কারণে ২টার পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১টায়।
স্কুলের মোট ১৩৮ জন শিক্ষার্থী এভাবেই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
স্কুলটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা শিশু কল্যান ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলে জানা গেছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমাজের শ্রমজীবী, হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১২ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ইসলামপুর পৌর শহরের পূর্ব ভেঙ্গুরা এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথমে ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৩৮ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে পাঁচজন শিক্ষক ও একজন দপ্তরি কর্মরত আছেন। দেখা গেছে। পানির উপর পা রেখে শিশুরা পরীক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষক এবং শিশুরা দ্রুত স্কুল মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, গত ১৬ তারিখের কালবোশেখী ঝড়ে স্কুলের সবকিছু বিধ্বস্ত হয়ে গেছে, টিনের চাল খুঁজে পাইনি, কিছু বেঞ্চ খুঁজে পেয়ে সেগুলো ব্যবহার করে রোদের মধ্যে তাঁবু টানিয়ে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিচ্ছি।

এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এবং ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা. তানভীর হাসান বলেন,কালবোশেখী ঝড়ে স্কুলটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে ১০ হাজার টাকা ও দুই বান টিন দিয়েছি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পরবর্তীতে কোন অনুদান পেলে দ্রুত তাদের প্রদান করা হবে, স্কুলের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।

ট্যাগস :

কালবোশেখী ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুল, সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে পরীক্ষায় বসেছে শিক্ষার্থীরা___

আপডেট সময় : ১০:১১:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

প্রলয়ংকরী কালবোশেখী ঝড়ে উড়ে গেছে স্কুল, সপ্তাহ ঘুরতেই শুরু হয়েছে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা। স্কুলের ভিটেতে সামিয়ানা টাঙ্গিয়ে পরীক্ষায় বসেছে কোমলপ্রাণ শিশুরা।

ঘটনাটি ঘটেছে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার পূর্ব ভেঙ্গুরার শিশু কল্যান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
গত ১৬ মে ভয়াবহ কালবোশেখী ঝড়ে স্কুলের সবকিছু উড়িয়ে নিয়ে গেছে।

হারিয়ে গেছে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সহ অনেক কিছু, এমনকি স্কুলের টিনের চাল, আসবাব পত্র সঠিকভাবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সাইনবোর্ড কোথায় গেছে, তা এখনো জানা যায়নি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, খোলা আকাশের নিচে সামিয়ানা টাঙানো হয়েছে রোদ থেকে বাঁচার জন্য, আবহাওয়ার কারণে ২টার পরীক্ষা শুরু হয়েছে ১টায়।
স্কুলের মোট ১৩৮ জন শিক্ষার্থী এভাবেই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে।
স্কুলটি প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটা শিশু কল্যান ট্রাস্টের মাধ্যমে পরিচালিত হয় বলে জানা গেছে। বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, সমাজের শ্রমজীবী, হতদরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়ার উদ্দেশ্যে ২০১২ সালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিশুকল্যাণ ট্রাস্টের অধীনে ইসলামপুর পৌর শহরের পূর্ব ভেঙ্গুরা এলাকায় বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।

প্রথমে ৩০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এর কার্যক্রম শুরু করলেও বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটিতে ১৩৮ শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এছাড়া বিদ্যালয়টিতে পাঁচজন শিক্ষক ও একজন দপ্তরি কর্মরত আছেন। দেখা গেছে। পানির উপর পা রেখে শিশুরা পরীক্ষা দিচ্ছে। শিক্ষক এবং শিশুরা দ্রুত স্কুল মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, গত ১৬ তারিখের কালবোশেখী ঝড়ে স্কুলের সবকিছু বিধ্বস্ত হয়ে গেছে, টিনের চাল খুঁজে পাইনি, কিছু বেঞ্চ খুঁজে পেয়ে সেগুলো ব্যবহার করে রোদের মধ্যে তাঁবু টানিয়ে প্রথম প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নিচ্ছি।

এ বিষয়ে স্কুল পরিচালনা পরিষদের সভাপতি এবং ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহা. তানভীর হাসান বলেন,কালবোশেখী ঝড়ে স্কুলটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে ১০ হাজার টাকা ও দুই বান টিন দিয়েছি, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পরবর্তীতে কোন অনুদান পেলে দ্রুত তাদের প্রদান করা হবে, স্কুলের কার্যক্রম স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণ করা হবে।