ঢাকা ০৬:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে

আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

আজিজুর রহমান দুলাল-আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর):
  • আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ২১৯ বার পঠিত

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর দুদিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বিকাশের সঙ্গে মনের পুষ্টি যোগাতে পারে শিল্প-সাহিত্য। আর দেহের পুষ্টি, দেহের গঠন ও শক্তি যোগায় ক্রীড়া। খেলাধুলা যেমন আনন্দ দেয় তেমনি ঐক্যের বার্তাও দেয়। তাই শিক্ষার্থীদের মানবিক বিকাশে এর কোনো বিকল্প নেই।

কাঞ্চন একাডেমীর খেলার মাঠে বুধবার সকালে দুদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খান।

এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সমাজ সেবামূলক সংস্থা ‘কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ‘ঢাকা টাইমস’ ও সাপ্তাহিক ‘এই সময় সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান দোলন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক, প্রধান বক্তা ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুদরত-ই-হুদা, আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ আবু তাহের, শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. আশরাফুল আলম খান,এবং সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ইকবাল আলী।

ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের মধ্যে যেমন তার নেতৃত্বের বিকাশ ঘটায়, তেমনি ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি তার মনের বিকাশ ঘটায়। মন এবং শরীরের উভয়ের বিকাশ ঘটিয়ে একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও রফিকুল হক বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাহিত্য-সংস্কৃতি একজন মানুষের শারীরিক বিকাশের সাথে সাথে তার মানবিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

কাঞ্চন একাডেমী ও একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা কাঞ্চন মুন্সী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই কাঞ্চন একাডেমী এ অঞ্চলের জন্য একটি আলোকবর্তিকা। কাঞ্চন মুন্সী এই অঞ্চলের জন্য মহান আল্লাহর রহমত স্বরূপ। কারণ, একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে একটি সমাজ, একটি অঞ্চল কতোটা আলোকিত হতে পারে, আলোকিত মানুষ তেরি করতে পারে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কাঞ্চন মুন্সী।’

এছাড়াও ইউএনও আর্থসামাজিক উন্নতির পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক দিয়ে কামারগ্রামকে আলফাডাঙ্গার আদর্শ জায়গা মনে করে এ অঞ্চলকে আলফাডাঙ্গার রাজধানী বলে উল্লেখ করেন।

প্রধান বক্তা ড. ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘ক্রীড়া ও সাহিত্য প্রতিযোগিতা হচ্ছে আমাদের মন এবং দেহের মধ্যে একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সঙ্গতিপূর্ণ বিষয়। যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য এই দুটি উপাদান প্রয়োজনীয়।’

‘আমাদের মনের পুষ্টি যোগাতে পারে সাহিত্য আর দেহের পুষ্টি, দেহের গঠন ও শক্তি যোগায় ক্রীড়া। যদি আপনি সৈনিক হতে চান, তবে আপনাকে ক্রীড়ার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ক্রীড়া আপনাকে শৃঙ্খলা শেখাবে। ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে সেটি আপনাকে একজন প্রকৃত মানুষ হতে সাহায্য করবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আমি স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার জন্ম না হলে এরকম একটি আলোকিত অঞ্চল আমরা পেতাম না। সেইসঙ্গে স্মরণ করব কাঞ্চন মুন্সীকে, যার জন্ম না হলে এই প্রতিষ্ঠানেরও সৃষ্টি হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন গ্রাম হবে শহর। এই অঞ্চল তো শহর হয়েই গেছে। আমি মনে করি, এটি কাঞ্চন মুন্সীর অবদান।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনটি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর শিক্ষার্থীদের। খেলাধুলা যেমন আমাদেরকে আনন্দ দেয়। একই ভাবে সবার মধ্যে ঐক্যের বার্তাও দেয়। হিংসা বিদ্বেষ দূর করতে সহায়তা করে।’

ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘করোনাভাইরাস আমাদের দুটি বছর শিক্ষা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে রেখেছিল। আমি আশা করব, এই প্রতিষ্ঠানসহ এই অঞ্চলের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাহিত্য সংস্কৃতির মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজেদের গঠন করবেন।’

এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে প্যারেড পরিবেশনের মাধ্যমে অতিথিদের সালাম নিবেদন করা হয়। উদ্বোধক মশাল জ্বালিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেন।

আলফাডাঙ্গার কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা উদ্বোধন

আপডেট সময় : ০৮:৩১:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

 

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপিঠ কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর দুদিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া ও সাহিত্য-সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এ অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন, পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড অত্যন্ত জরুরি। শারীরিক বিকাশের সঙ্গে মনের পুষ্টি যোগাতে পারে শিল্প-সাহিত্য। আর দেহের পুষ্টি, দেহের গঠন ও শক্তি যোগায় ক্রীড়া। খেলাধুলা যেমন আনন্দ দেয় তেমনি ঐক্যের বার্তাও দেয়। তাই শিক্ষার্থীদের মানবিক বিকাশে এর কোনো বিকল্প নেই।

কাঞ্চন একাডেমীর খেলার মাঠে বুধবার সকালে দুদিনব্যাপী এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন মাদারীপুরের সিভিল সার্জন ডা. মুনীর আহমদ খান।

এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সমাজ সেবামূলক সংস্থা ‘কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন’ এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং ‘ঢাকা টাইমস’ ও সাপ্তাহিক ‘এই সময় সম্পাদক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান দোলন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আলফাডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক, প্রধান বক্তা ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কুদরত-ই-হুদা, আলফাডাঙ্গা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহম্মদ আবু তাহের, শরীয়তপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম মো. আশরাফুল আলম খান,এবং সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সৈয়দ ইকবাল আলী।

ডা. মুনীর আহমদ খান বলেন, ‘শিক্ষা মানুষের মধ্যে যেমন তার নেতৃত্বের বিকাশ ঘটায়, তেমনি ক্রীড়া, সাহিত্য ও সংস্কৃতি তার মনের বিকাশ ঘটায়। মন এবং শরীরের উভয়ের বিকাশ ঘটিয়ে একজন মানুষ প্রকৃত মানুষ হয়ে ওঠে। তাই লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে।’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইউএনও রফিকুল হক বলেন, ‘পড়াশোনার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাহিত্য-সংস্কৃতি একজন মানুষের শারীরিক বিকাশের সাথে সাথে তার মানবিক বিকাশেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’

কাঞ্চন একাডেমী ও একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা কাঞ্চন মুন্সী সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘এই কাঞ্চন একাডেমী এ অঞ্চলের জন্য একটি আলোকবর্তিকা। কাঞ্চন মুন্সী এই অঞ্চলের জন্য মহান আল্লাহর রহমত স্বরূপ। কারণ, একজন ব্যক্তিকে কেন্দ্র করে একটি সমাজ, একটি অঞ্চল কতোটা আলোকিত হতে পারে, আলোকিত মানুষ তেরি করতে পারে, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত কাঞ্চন মুন্সী।’

এছাড়াও ইউএনও আর্থসামাজিক উন্নতির পাশাপাশি অবকাঠামোগত উন্নয়নের দিক দিয়ে কামারগ্রামকে আলফাডাঙ্গার আদর্শ জায়গা মনে করে এ অঞ্চলকে আলফাডাঙ্গার রাজধানী বলে উল্লেখ করেন।

প্রধান বক্তা ড. ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘ক্রীড়া ও সাহিত্য প্রতিযোগিতা হচ্ছে আমাদের মন এবং দেহের মধ্যে একটা সামঞ্জস্যপূর্ণ ও সঙ্গতিপূর্ণ বিষয়। যোগ্য মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠার জন্য এই দুটি উপাদান প্রয়োজনীয়।’

‘আমাদের মনের পুষ্টি যোগাতে পারে সাহিত্য আর দেহের পুষ্টি, দেহের গঠন ও শক্তি যোগায় ক্রীড়া। যদি আপনি সৈনিক হতে চান, তবে আপনাকে ক্রীড়ার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। ক্রীড়া আপনাকে শৃঙ্খলা শেখাবে। ক্রীড়ার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলে সেটি আপনাকে একজন প্রকৃত মানুষ হতে সাহায্য করবে।’

সভাপতির বক্তব্যে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘আমি স্মরণ করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার জন্ম না হলে এরকম একটি আলোকিত অঞ্চল আমরা পেতাম না। সেইসঙ্গে স্মরণ করব কাঞ্চন মুন্সীকে, যার জন্ম না হলে এই প্রতিষ্ঠানেরও সৃষ্টি হতো না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন গ্রাম হবে শহর। এই অঞ্চল তো শহর হয়েই গেছে। আমি মনে করি, এটি কাঞ্চন মুন্সীর অবদান।’
তিনি বলেন, ‘আজকের এই দিনটি কামারগ্রাম কাঞ্চন একাডেমীর শিক্ষার্থীদের। খেলাধুলা যেমন আমাদেরকে আনন্দ দেয়। একই ভাবে সবার মধ্যে ঐক্যের বার্তাও দেয়। হিংসা বিদ্বেষ দূর করতে সহায়তা করে।’

ঢাকা টাইমস সম্পাদক আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘করোনাভাইরাস আমাদের দুটি বছর শিক্ষা, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চা থেকে দূরে রেখেছিল। আমি আশা করব, এই প্রতিষ্ঠানসহ এই অঞ্চলের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছেলেমেয়েরা শিক্ষার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাহিত্য সংস্কৃতির মাধ্যমে শারীরিক এবং মানসিকভাবে নিজেদের গঠন করবেন।’

এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন এবং শান্তির প্রতীক পায়রা উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। পরে প্যারেড পরিবেশনের মাধ্যমে অতিথিদের সালাম নিবেদন করা হয়। উদ্বোধক মশাল জ্বালিয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেন।