নববিবাহিত প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন
- আপডেট সময় : ০২:৩৯:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ জুলাই ২০২৩ ১১৬ বার পঠিত
রংপুরের মিঠাপুকুরে দু’বছরের প্রেমের সম্পর্কের জেরে প্রেমিকের অন্যত্র বিয়ের একদিন পর ডিগ্রি পড়ুয়া এক কলেজ ছাত্রী বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে চারদিন ধরে অনশন করছেন। এদিকে নব বিবাহিত প্রেমিক তার নববধূকে নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করায় বিষয়টি সমাধান করা যাচ্ছেনা বলে জানিয়েছে স্হানীয়রা।
বিয়ের দাবিতে অনশনরত ওই ছাত্রীর দাবি, উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়নের শালাইপুর শালমারাটারি গ্রামের মোহাম্মাদ আলীর ছেলে ওয়ারেস আলী (২৮) সম্পর্কে জ্যাঠাতো ভাই। জ্যাঠাতো চাচাত ভাইবোনের সম্পর্কের সুবাদে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। ওয়ারেস আলী বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার ধর্ষণ করে গর্ভপাত ঘটায়।
ওই ছাত্রী জানান, ওয়ারেস আলীর পরিবারের সঙ্গে বিয়ের কথা চলা অবস্থায় গত সোমবার (১৭-জুলাই) কৌশলে একই উপজেলার কাফ্রিখাল ইউনিয়নের যাদবপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ের সাথে গোপনে বিয়ে হয় ওয়ারেস আলীর। মঙ্গলবার (১৮-জুলাই) মধ্যরাতে ওই ছাত্রী এবং তার বাবা আফসার আলী জানতে পারেন তাদের সঙ্গে প্রতারণা করে ওয়ারেস আলী নতুন বউ নিয়ে এসেছে। এরপর মঙ্গলবার সকালে বিয়ের দাবিতে ওয়ারেস আলীর শয়নকক্ষে গিয়ে ওঠেন ওই ছাত্রী।
ওই ছাত্রীর দাবি, তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। বিভিন্ন সময়ে বিয়ের জন্য লোকজন আসলেও ওয়ারেস আলী বিয়ে করবেন বলে জানিয়ে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন। তাকে সে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক মেলামেশা করে গর্ভপাত ঘটান। এখন হয় মৃত্যু না-হয় ওয়ারেস আলীকে বিয়ে ছাড়া ফেরার পথ নেই।
ওয়ারেস আলীর বাবা আফসার আলী জানান, তিনি ছেলের ধুমধাম করে বিয়ে দিয়েছেন। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আছে সেটা জানা ছিলোনা। যদি ওই মেয়ে বিয়ের দাবিতে তাদের বাড়িতে আগে আসতো তাহলে অন্য কোথাও বিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন ছিলোনা। এখন বিয়ে হয়েছে আমাদের আর করার কিছু নাই। নববিবাহিত মেয়ের বাবা আব্দুল জলিল জানান, তড়িঘড়ি করে বিয়ে হয়েছে। আমি এখন কি করব বুঝতে পারছিনা।
ওই ওয়ার্ডের ইউপি-সদস্য ছালাম মেম্বার জানান, ওয়ারেসের আগেও একটি মেয়ের সঙ্গে এমন করে বিয়ে করেনি। সে ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলা চলছে। তারমধ্যেই আবার আরেকটি মেয়ের জীবন নষ্ট করে অন্য জায়গায় বিয়ে করেছে।
নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের মধ্যে একটা মারামারি হলে আফজাল নামে একজন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। তবে মারপিট সংক্রান্ত একটি ঘটনায় জরুরি সেবায় ফোন পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছিল।