মিঠাপুকুরে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষন চেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৯:৪০:৪৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ জুলাই ২০২৩ ১০৫ বার পঠিত
রংপুরের মিঠাপুকুরে এক শারীরিক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ঐ কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি ধর্ষন চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মামলার বিবরণ এবং কিশোরীর স্বজনদের অভিযোগ, মিঠাপুকুর উপজেলার ০৫ নং বালার হাট ইউনিয়নের বুঝরুক ঝালই গ্রামের মোঃ আব্দুর রফিক মন্ডলের শারীরিক প্রতিবন্ধী মেয়ে মোছাঃ শাহাবি আক্তারকে (১৪) একই গ্রামের ঘরজামাই দুই সন্তানের জনক হাফিজুল ইসলাম (৪৫) মঙ্গলবার (১৮-জুলাই) মধ্যরাতে ঘরের টিনসেডের বেড়া কেটে ধর্ষনের চেষ্টা করেন।
প্রতিবন্ধী ঐ কিশোরীর বাবা রাতে ঘরের ভিতর শব্দ শুনে এগিয়ে এসে দেখেন, অভিযুক্ত হাফিজুল ঐ কিশোরীর সঙ্গে জোরপূর্বক ধস্তাধস্তি করছি। এতে তিনি চিৎকার চেঁচামেচি করতে চাইলে অভিযুক্ত ফারুক কৌশল অবলম্বন করে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত হাফিজুল এলাকা ছাড়ে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বিষয়টি রহস্যজনক। প্রতিবন্ধী ঐ কিশোরী হাটে বাজারে ঘুরতেন। বাড়ি থেকে বের হলে নিজের বাড়িতে আর ফিরে আসতে পারতেননা। এলাকার পরিচিতজন বিভিন্ন জায়গায় দেখা হলে নিজ দায়িত্ব নিয়ে পরিবারে হস্তান্তর করতেন। ঘটনার দিনেও হয়তোবা এমন কিছু হতে পারে! কেননা ঐ কিশোরী শূধূ প্রতবন্ধী নয়, একেবারেই পাগল।
অভিযুক্ত হাফিজুলের স্ত্রী লিমা আক্তার জানান,আমার স্বামী গাড়ির ব্যবসা করে, পাশাপাশি আমরা টাকার ব্যবসা করি। আমার স্বামীর কাছে কয়েকজন টাকা চেয়েছিল। টাকা না দেওয়ায় কয়েকজন যুবক এমন অপবাদ রটিয়েছে। আমার স্বামী হাফিজুলকে জোরপূর্বক মারধর করা হয়েছে। আমার মাকে জরিফ,সাকু,কামরুল, মন্জু,শরীফা মারডাং করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার মা বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। যাকে নিয়ে এমন অপবাদ রটানো হয়েছে, সে আমার সম্পর্কে খালা এবং আমার স্বামীর খালা শ্বাশুড়ি।
ঐ কিশোরীর ভাই জরিফ (মহু) জানান, আমার বোন শারীরিক প্রতিবন্ধী। সে কিছুই বোঝেনা। অন্যদিকে হাফিজুর একটা লম্পট ছেলে। আমরা গরীব মানুষ। এমন জঘন্য কাজের জন্য তার শাস্তি দাবি করছি। এ বিষয়ে বালার হাট ইউনিয়নের বিট অফিসার এবং মিঠাপুকুর থানা পুলিশের এসআই-টংক্যু ব্যানার্জি বলেন, এ বিষয়ে ঐ কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমি ঘটনাস্থলেই আছি।
এ বিষয়ে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তকারী কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।