সালথায় জমি না পেয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৬:৫৫:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৬ জুন ২০২৩ ২৭০ বার পঠিত
ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় জোর পূর্বক জমির দখল না পেয়ে একটি ধর্ষণ সিআর ৬/২৩ ও প্রতারণার মামলা সালথা সিআর ৪২/২৩ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের বিল-ভাবুকদিয়া এলাকায় ঐ ঘটনা ঘটে। হয়রানির শিকার ঐ ভুক্তভোগির নাম মোঃ আলেম মোল্যা। সে ঐ এলাকার মৃত কালু মোল্যার পুত্র। অভিযুক্ত একই এলাকার একই বাড়িতে বসবাস করে। মোঃ সোহরাব হোসেন তার ভাই মোঃ মিজানুর রহমান। উভয়পক্ষ সম্পর্কে আপন খালাতো ভাই।
হয়রানির শিকার ঐ ভুক্তভোগি মোঃ আলেম মোল্যা অভিযোগ করে বলেন, সোহরাব ও মিজানুর দুজনে আপন ভাই, দুই ভাইয়ের মধ্যে ঝগড়া হলে ছোট ভাই মিজানুর ঐ বাড়িতে থাকবে না বলে আমাকে জানালে সে আমাকে বলে তার তিন শতক জমি বাড়ি হতে আমাকে লিখে দিবে আর আমার তিন শতক জমি সে নিয়ে এওয়াজ বদল দলিল করে দিবে। মিজানুর আমার জমিতে কিছু টাকা খরচ করে বালু ভরাট করে। এরপর দুইভাই সোহরাব ও মিজানুর মিলমিশ হয়ে যায়। এর কিছুদিন পর মিজানুর আমার জমিতে রান্না ঘর তুলতে গেলে আমার জমি বুঝিয়ে দিতে বলি তখনই বাধে বিপত্তি।
আমার সম্পর্কে ভাতিজার সহজ সরল স্ত্রীকে ম্যানেজ করে আমাকে ধর্ষণ মামলা দেয়। সেই মিথা মামলা এখনও চলমান। তবে আমার তেমন ক্ষতি করতে না পেরে দুইভাই মিলে আমার নামে আবারও প্রতারণার মিথ্যা মামলা দেয়। সেই মামলায় আমি কিছুদিন জেল খাটি। বিষয়টি স্থানীয়রা সহ্য করতে না পেরে কয়েক দফা শালিসের ডাক দিলে সেখানে হাজির হয় নাই। অবৈধভাবে জমির দখল পেয়ে আমার নামে পরপর দুটি মিথ্যা মামলা করেছে।
আামি বয়স্ক মানুষ, আমার টাকা পয়সা লোকবল নাই। আমি আইনের প্রতি সম্মান রেখে বলছি আপনারা গভীরভাবে তদন্ত করে দেখেন, এখানে আমার কোন দোষ নাই। মামলার সাক্ষী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছে জিজ্ঞেস করলেই সব পাওয়া যাবে। ওরা স্থানীয়ভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় আমার উপর যেকোন সময় হামলা করতে পারে। তাছাড়া আমাকে আরও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে লোকমুখে শুনেছি। ওরা টাকা খরচ করে সব কিছু ম্যানেজ করে ফেলে। আমি জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মহোদয়ের কাছে এর বিচার চাই।
স্থানীয়রা জানান, নিজেদের জমি-জমা নিয়ে সমস্যার কারনে মামলা মোকদ্দমা হয়েছে, আমরা সালিশে ডাক দিয়েছি বাদীপক্ষ আসে না। প্রতারণা মামলার সাক্ষী স্থানীয় সোহাগ মোল্যা বলেন, জমি ও লেনদেন বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, আমাকে মামলার সাক্ষির বিষয়ে কিছু জানানো হয় নাই পরে জানলাম আমাকে সাক্ষী করা হয়েছে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত মিজানুর রহমান মোল্যা বলেন, আপানারা আসেন দেখে যান, তাহলে সব কিছু বুঝবেন। গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান লাবলু বলেন, এই বিষয়ে আমি কিছুই জানি না, কেউ আসেও নাই। পরিষদে কেউ আসলে যথাযথভাবে মিটিয়ে দিতে চেষ্টা করতাম।