পাংশায় প্রায় কোটি টাকা বরাদ্দের সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৯:৩১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩ ৫১ বার পঠিত
রাজবাড়ীর পাংশায় সড়ক নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের দাবি অন্য সাইডের মাল বেচে যাওয়ার এই সড়কে এনে মালগুলো রাখা হয়েছে। নিম্নমানের সামগ্রী দ্রুত অপসারণ করতে বলেছে উপজেলা প্রকৌশলী। উপজেলার কলিমহর ইউনিয়নের দুরশুনদিয়া গ্রামের একটি সড়ক নির্মাণে এ অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা যায়, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের প্রকল্পের (ওজওউচ-৩) এর আওতায় ইউনিয়নের বিনোদপুর-ধানুরিয়া থেকে এতেম মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ১১১০ মিটার সড়ক নির্মাণ কাজের দরপত্র হয়। কাজটি করার রাজবাড়ীর রাজা এন্ড কং নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হয়। সড়কটি নির্মাণে চুক্তিমূল্য ধরা হয়েছে ৯৭ লক্ষ ৬৮৮ টাকা। কাজ সম্পাদনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৬৫ দিন। কাজ শুরুর তারিখ ১৫ মার্চ-২০২৩। সমাপ্তির তারিখ ১৪ মার্চ-২০২৪।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকটি নির্মাণ চলমান রয়েছে। চলছে ইট ভেঙে খোয়া বানানোর প্রস্তুতি। ইট ভাঙায় কাজ করছে কয়েকজন শ্রকি।
এ সময় স্থানীয়রা জানান, সড়কটি নির্মাণের জন্য কয়েক দিন ধরে ইট ভাঙা হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙা খোয়ার সাথে পুরাতন খোয়া এনে রেখেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। পুরাতন সেই খোয়াগুলো সম্পুর্ণ মাটির দলা। হাত দিয়ে ডলা দিলেই ভেঙে গুড়ো হয়ে যাচ্ছে। এই নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে সড়ক নির্মাণ করা হলে অল্প দিনের মধ্যে সড়কটি ভেঙে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন এলাকাবাসী। একই সাথে নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ চালানোর চেষ্টা করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মো. জাকির হাসান বলেন, আমি সরেজমিনে গিয়ে দেখেছি নতুন খোয়ার পাশাপাশি কিছু পুরাতন বালু মিশ্রীত খোয়া দেখেছি। বালু মিশ্রীত খোয়াগুলো নিম্নমানের। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে বালু মিশ্রীত খোয়াগুলো দ্রুত অপসারণ করতে বলেছি।
জানা যায় নির্মাণ কাজটি করছেন পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের ভাই ইদ্রীস মন্ডল, তিনি বলেন, কাজটি আমি করছি। নিম্ন মাণের সামগ্রী বিষয়ে তিনি বলেন, মৃগী সড়কে এলজিইডির একটি প্রজেক্টের কাজ করেছি। সেখানকার কিছু মাল এই সড়কে এনে রেখেছি। তবে মালগুলো নিম্ন মানের না। এই মাল নিয়ে অনেকেই কমপ্লেন জানাচ্ছে বলে জানিয়েছে থানা ইঞ্জিনিয়ার। মালগুলো তিনি অপসারণ করে ফেলবেন বলে জানিয়েছেন।