ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

ছয় মাসে ৬০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে শেরপুর ট্রাফিক পুলিশ

শেখ সাঈদ আহমেদ সাবাব-শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৫:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩ ১০৩ বার পঠিত

শেরপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশ গত ছয় মাসে ৬০ লাখ ২২ হাজার ৯শ ৯০ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও এসব রাজস্ব এসেছে গাড়ীর কাগজ পত্রসহ নানান অনিয়মের মামলা থেকে।
বেশীর ভাগ রাজস্ব এসেছে মাটর সাইকেল থেকে। শেরপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ছয় মাস ধরে প্রতিদিনের তৎপরতায় এই ফল এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তবে চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আয় কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা দিয়ে কাগজপত্র ড্রাইভিং লাবেিসন্সসহ নানা বিষয়য় নিয়মিত করার জন্য আবার পাঠানো হয়েছে সরকারের (বিআরটিসি) সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনে। গাড়ীর কাগজ পত্র নিয়মিত করা বাবাদ বিআরটিএ থেকে সরকার আবার মোটা অংকের রাজস্ব পেয়েছে বলে জানােনা হয়েছে। পুলিশের এই ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় (ট্রাফিক পুলিশ ও
বিআরটিএ) যৌথ অভিযান চালিয়ে এক বছরে অন্তত তিন কোটি টাকার মত রাজস্ব পেয়েছে বলে অফিস দুটির কর্মকর্তরা জানান।

শেরপুর ট্রাফিকের ট্রাফিক ইন্সিপেক্টর আবু সাঈদ হিরন বলেছেন এই তৎপরতা চলমান থাকবে। পুলিশের ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে গাড়ীর মামলা ও জরিমানা থেকে গেল এপ্রিল মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ লাখ ২২ হাজার টাকা, মে মাসে ১১ লাখ ৩৬হাজার ৮৯০ টাকা, ফেব্রোয়ারি মাসে ৮লাখ ১৬ হাজার, জানুয়ারি মাসে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১০০ টাকা, বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে ৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা, নভেম্বর মাসে ১১ লাখ ৫০ হাজার। আদায়কৃত মোট ৬০ লাখ ২২ হাজার ৯৯০ টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয়েছে।

বিভিন্ন যানবাহনের কাগজ পত্র, ড্রাইবিং লাইসেন্স করা ও ট্রাফিক আইন মানার প্রবনতা বৃদ্ধি করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ নানা সচেতনতামূলক প্রচারনার চালােনার পাশাপাশি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ শহরের নানান প্রবেশ পথে প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে গাড়ীর মালিক ও চালকদের সতর্ক করছেন এবং তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করার লঘু শাস্তি প্রদান করে আসছে। এতে একদিকে মানুষ সচেতন হচ্ছে, অপরদিকে সরকারের রাস্বও আদায় বাড়ছে।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম বলেছেন, রাজস্ব আদায় লক্ষ্য নয় পুলিশের কাজ সেবা দেওয়া। জনগন, রাস্তা ও গাড়ীকে নিরাপদ রাখতেই
ট্রাফিক পুলিশ সরকারের আইন মেনে সহনীয় মাত্রায় জরিমানা করে সবাইকে আইনের মধ্যে আনার চেষ্ঠা করছে। রাস্তায় নিরাপত্তা বিধান ও এত সংখ্যক টাকা
রাজস্ব আদায় করায় শেরপুর ট্রাফিক পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

ট্যাগস :

ছয় মাসে ৬০ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করেছে শেরপুর ট্রাফিক পুলিশ

আপডেট সময় : ০৫:৪২:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ মে ২০২৩

শেরপুর জেলা ট্রাফিক পুলিশ গত ছয় মাসে ৬০ লাখ ২২ হাজার ৯শ ৯০ টাকার রাজস্ব আদায় করেছে।
জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও এসব রাজস্ব এসেছে গাড়ীর কাগজ পত্রসহ নানান অনিয়মের মামলা থেকে।
বেশীর ভাগ রাজস্ব এসেছে মাটর সাইকেল থেকে। শেরপুর জেলা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ছয় মাস ধরে প্রতিদিনের তৎপরতায় এই ফল এসেছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

তবে চলতি অর্থ বছরে রাজস্ব আয় কোটি টাকা ছাড়িয়েছে বলে জানা গেছে। মামলা দিয়ে কাগজপত্র ড্রাইভিং লাবেিসন্সসহ নানা বিষয়য় নিয়মিত করার জন্য আবার পাঠানো হয়েছে সরকারের (বিআরটিসি) সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনে। গাড়ীর কাগজ পত্র নিয়মিত করা বাবাদ বিআরটিএ থেকে সরকার আবার মোটা অংকের রাজস্ব পেয়েছে বলে জানােনা হয়েছে। পুলিশের এই ট্রাফিক বিভাগের তৎপরতায় (ট্রাফিক পুলিশ ও
বিআরটিএ) যৌথ অভিযান চালিয়ে এক বছরে অন্তত তিন কোটি টাকার মত রাজস্ব পেয়েছে বলে অফিস দুটির কর্মকর্তরা জানান।

শেরপুর ট্রাফিকের ট্রাফিক ইন্সিপেক্টর আবু সাঈদ হিরন বলেছেন এই তৎপরতা চলমান থাকবে। পুলিশের ট্রাফিক সূত্রে জানা গেছে গাড়ীর মামলা ও জরিমানা থেকে গেল এপ্রিল মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছে ১১ লাখ ২২ হাজার টাকা, মে মাসে ১১ লাখ ৩৬হাজার ৮৯০ টাকা, ফেব্রোয়ারি মাসে ৮লাখ ১৬ হাজার, জানুয়ারি মাসে ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১০০ টাকা, বিগত বছরের ডিসেম্বর মাসে ৮ লাখ ১৩ হাজার টাকা, নভেম্বর মাসে ১১ লাখ ৫০ হাজার। আদায়কৃত মোট ৬০ লাখ ২২ হাজার ৯৯০ টাকা সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হয়েছে।

বিভিন্ন যানবাহনের কাগজ পত্র, ড্রাইবিং লাইসেন্স করা ও ট্রাফিক আইন মানার প্রবনতা বৃদ্ধি করার জন্য জেলা পুলিশের পক্ষ নানা সচেতনতামূলক প্রচারনার চালােনার পাশাপাশি পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ শহরের নানান প্রবেশ পথে প্রতিদিন অভিযান চালিয়ে গাড়ীর মালিক ও চালকদের সতর্ক করছেন এবং তাদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করার লঘু শাস্তি প্রদান করে আসছে। এতে একদিকে মানুষ সচেতন হচ্ছে, অপরদিকে সরকারের রাস্বও আদায় বাড়ছে।

শেরপুরের পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম বলেছেন, রাজস্ব আদায় লক্ষ্য নয় পুলিশের কাজ সেবা দেওয়া। জনগন, রাস্তা ও গাড়ীকে নিরাপদ রাখতেই
ট্রাফিক পুলিশ সরকারের আইন মেনে সহনীয় মাত্রায় জরিমানা করে সবাইকে আইনের মধ্যে আনার চেষ্ঠা করছে। রাস্তায় নিরাপত্তা বিধান ও এত সংখ্যক টাকা
রাজস্ব আদায় করায় শেরপুর ট্রাফিক পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।