ঢাকা ০৮:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আমি উত্তরবঙ্গে এসেছি আপনাদের কথা শোনার জন্য, পরে যা বললেন : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সাতক্ষীরা সীমান্ত থেকে বর্ডার গার্ড বিজিবির হাতে ১০ বোতল মদ জব্দ ছোটদের বড় নির্বাচন গোয়ালন্দে আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত পদ্মা- যমুনার বাল্কহেডে চাঁদা বাজি, আটক ৫ দেবহাটায় চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশ যেনো ব্যাবসায়ীদের নেশায় পরিনত হয়েছে বালিয়াকান্দিতে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত দেবহাটায় মাছের পাশাপাশি ভেঁড়িতে অসময়ে তরমুজ চাষে স্বাবলম্বী গোলাম রব্বানী তথ্যমেলায় মুজিববর্ষের লিফলেট ও শেখ হাসিনার বাণী প্রচার: আগামীকাল খানসামায় আসছেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া

সালথায় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

শরিফুল হাসান- সালথা (ফরিদপুর):
  • আপডেট সময় : ০৬:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পঠিত

ফরিদপুরের সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল বাশারের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যালয় চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে পাশের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের বক্তব্য বলেন, ‘পূর্বে স্যারের কাছে আমরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার আবেদন দিয়েছিলাম কিন্তু এই পর্যন্ত তিনি আবেদনের পদক্ষেপ নেননি। পরবর্তীতে আমরা লিখিতভাবে দিয়েছি এবং মৌখিক ভাবে বলেছি। স্যার শুধু বলেছে আচ্ছা দেখছি কিন্তু সে কোন পদক্ষেপ পরবর্তীতে নেননি।

তারা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, ‘এছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ের সর্বপরি ক্লাস নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম মানা এধরণের কোন পদক্ষেপ নেননি। বিদ্যালয়ে ভর্তি ফি ১৫’শ টাকা হলেও কারো কারো কাছ থেকে ৫ হাজার টাকাও নিয়েছেন তিনি। সম্প্রীতি আমরা জানতে পেরেছি স্কুল ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা মেরে দিয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার তার ছেলেকে দিয়ে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। আমরা অবিলম্বে স্যারের পদত্যাগ চাই এবং তার ছেলে আমাদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে তার বিচারের জোর দাবি জানাই।’

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল বাশার জানান, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার কাছে কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক কোনো দাবি-দাওয়া শিক্ষার্থীরা জানাননি। এছাড়া ভর্তিতে ১৫’শ টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও সঠিক নয়। কারণ, টাকা নেওয়ার সময় রশিদ দেওয়া হয়।’

এব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের খবর শুনে আমি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়টিতে যাই। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাসে ফেরানো হয়েছে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সালথায় প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৬:৫১:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

ফরিদপুরের সালথা সরকারী মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল বাশারের পদত্যাগ চেয়ে বিক্ষোভ করেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে বিদ্যালয় চত্ত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শিক্ষার্থীরা। পরে পাশের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।

এ সময় শিক্ষার্থীদের পক্ষে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল মাওয়া সহ কয়েকজন শিক্ষার্থী তাদের বক্তব্য বলেন, ‘পূর্বে স্যারের কাছে আমরা বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার আবেদন দিয়েছিলাম কিন্তু এই পর্যন্ত তিনি আবেদনের পদক্ষেপ নেননি। পরবর্তীতে আমরা লিখিতভাবে দিয়েছি এবং মৌখিক ভাবে বলেছি। স্যার শুধু বলেছে আচ্ছা দেখছি কিন্তু সে কোন পদক্ষেপ পরবর্তীতে নেননি।

তারা তাদের বক্তব্যে আরও বলেন, ‘এছাড়া আমাদের বিদ্যালয়ের সর্বপরি ক্লাস নেওয়া ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ম মানা এধরণের কোন পদক্ষেপ নেননি। বিদ্যালয়ে ভর্তি ফি ১৫’শ টাকা হলেও কারো কারো কাছ থেকে ৫ হাজার টাকাও নিয়েছেন তিনি। সম্প্রীতি আমরা জানতে পেরেছি স্কুল ফান্ডের লক্ষ লক্ষ টাকা মেরে দিয়েছেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার তার ছেলেকে দিয়ে আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থীর ওপর হামলা চালিয়ে আহত করেছে। আমরা অবিলম্বে স্যারের পদত্যাগ চাই এবং তার ছেলে আমাদের ওপর যে হামলা চালিয়েছে তার বিচারের জোর দাবি জানাই।’

অভিযোগের বিষয়ে বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. খায়রুল বাশার জানান, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগের বিষয়টি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। আমার কাছে কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক কোনো দাবি-দাওয়া শিক্ষার্থীরা জানাননি। এছাড়া ভর্তিতে ১৫’শ টাকার পরিবর্তে ৫ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগও সঠিক নয়। কারণ, টাকা নেওয়ার সময় রশিদ দেওয়া হয়।’

এব্যাপারে সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আনিছুর রহমান বালী বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের আন্দোলনের খবর শুনে আমি তাৎক্ষণিক বিদ্যালয়টিতে যাই। শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে ক্লাসে ফেরানো হয়েছে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই কমিটির তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’