ঢাকা ১০:৪৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
মরিয়ম চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসায় অন্ধত্ববরণের অভিযোগে সংবাদ সম্মেলন খানসামায় ট্রান্সফরমার চোর চক্রের ৫ জনসহ ৭ জন গ্রেপ্তার ডুমুরিয়ায় আপন মেজ ভাইকে খুনের ঘটনায় নেশাখোর ছোট ভাই সোহান গ্রেফতার শহিদুল ইসলামের দলীয় পদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করায় সালথায় আনন্দ মিছিল আত্রাইয়ে নবাগত ইউএনও’কে  কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের শুভেচ্ছা প্রদান  সালথায় জমি নিয়ে বিরোধে কৃষকের বাড়িতে আগুন দিল প্রতিপক্ষ বিরামপুরে ভুয়া এনজিওর মাধ্যমে ও ভুয়া টিসিবির কার্ড বিতরণের দায়ে অর্থদণ্ড পাইকগাছায় মটরসাইকেল-বাইসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নি-হ-ত-১  ডুমুরিয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেঝ ভাইকে কু‌পি‌য়ে হত্যা ক‌রে‌ছে ছোট ভাই

খানসামায় অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম,দূর্নীতি, সেচ্ছাচারীতা ও নিয়োগ বাণিজ্যের করায় সংবাদ সম্মেলন

মোঃ লায়ন ইসলাম-খানসামা (দিনাজপুর):
  • আপডেট সময় : ০৯:২৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০ বার পঠিত

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোনায়েম খানের ঘুষ, অনিয়ম, দূর্নীতি, সেচ্ছাচারীতা ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অত্র কলেজে বসেই ভুক্তভোগী পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লেলিন খান ও মঞ্জুরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য বলেন, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোনায়েম খাঁন, ঘুষ, অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা সহ নিয়োগ বাণিজ্য করছেন। অধ্যক্ষ মোনায়েম খাঁন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য। তিনি অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ছত্রছায়ায় প্রত্যক্ষভাবে হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গনে এম.কে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটেষ্টিক বিদ্যালয় নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড দিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করবে মর্মে প্রচার চালান। অধ্যক্ষের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে সহকারী শিক্ষক পদে আমাদের লেলিন খাঁনের কাছে দুই লক্ষ, মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়াও চাকুরী দেওয়ার কথা বলে অনেকের নিকট আরো প্রায় ছয় লক্ষ বাহাত্তর হাজার টাকা নেন।

পরবর্তীতে প্রতারণামূলক ভাবে লেলিন খাঁনকে হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় সাক্ষীদের সম্মুখে নগদ নয় লক্ষ টাকা গ্রহন করে আত্মসাৎ করে। উক্ত পদে লেলিনকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগের টাকা ফেরৎ প্রদান না করে, আমাদেরকে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে জেল হাজতে নিয়ে যাবে মর্মে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

হোসেনপুর ডিগ্রী কলেজটিতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন তার মনোনীত ব্যাক্তিদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি তৈরী করে। উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক লিটন রহমান লিটুকে চাকুরী দিয়ে কলেজটিকে রাজনৈতিক অফিস হিসেবে ব্যবহার করে। বিভিন্ন লোকের উপর মিথ্যা মামলা, মোকদ্দমাসহ অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসিতেছিল। টাকা চাইতে গেলে, অধ্যক্ষ দাম্ভিকতার সহিত বলে একটা টাকাও ফেরৎ দিব না। এমতাবস্থায় অধ্যক্ষ প্রতারনাপূর্বক চাকুরী প্রদানের কথা বলে আরো বিভিন্ন জনের নিকট পচিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও হোসেনপুর ডিগ্রী কলেজে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কলেজের বিভিন্ন পদে শিক্ষক নিয়োগসহ ২০১৪ সালে তথাকথিত জাতীয় নির্বাচনে এলাকার অনেককেই আসামী করার হুমকি দিয়ে জেলা হাজত খাটিয়ে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে টাকার পাহাড় তৈরী করেন। উক্ত কলেজের জমি নবাব আলীর নিকট বন্ধক রেখে নগদ তিন লক্ষ টাকা ও পুকুর একজনকে লীজ প্রদান করেন এবং অত্র কলেজের ০৮টি ল্যাপটপ অফিস হতে নিয়ে যায়। যার মূল্য পাঁচ লক্ষ ষাট হাজার টাকা। বর্তমানে দৃশ্যমান উদাহরণ হিসাবে অধ্যক্ষ মোনায়েম খাঁনের দিনাজপুর শহরে গোলাপবাগ ও মির্জাপুরে ২টি বিল্ডিং বাড়ী আছে। যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।

এ বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অত্র কলেজের সভাপতি মো. তাজ উদ্দিন মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন সুরাহা হয়নি। মহোদয়ের কাছে আমরা জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক জামায়েত নেতার স্বরনাপন্ন হতে বলেন। কোন সুরাহা না পেয়ে বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করছি।

খানসামায় অধ্যক্ষ বিরুদ্ধে ঘুষ, অনিয়ম,দূর্নীতি, সেচ্ছাচারীতা ও নিয়োগ বাণিজ্যের করায় সংবাদ সম্মেলন

আপডেট সময় : ০৯:২৩:৩৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোনায়েম খানের ঘুষ, অনিয়ম, দূর্নীতি, সেচ্ছাচারীতা ও নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে অত্র কলেজে বসেই ভুক্তভোগী পরিবার এ সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লেলিন খান ও মঞ্জুরুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য বলেন, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোনায়েম খাঁন, ঘুষ, অনিয়ম, দূর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা সহ নিয়োগ বাণিজ্য করছেন। অধ্যক্ষ মোনায়েম খাঁন উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সদস্য। তিনি অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর ছত্রছায়ায় প্রত্যক্ষভাবে হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজ প্রাঙ্গনে এম.কে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটেষ্টিক বিদ্যালয় নামে একটি প্রতিষ্ঠান করে এবং উক্ত প্রতিষ্ঠানের সাইনবোর্ড দিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার করে। উক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ করবে মর্মে প্রচার চালান। অধ্যক্ষের কথায় বিশ্বাস স্থাপন করে সহকারী শিক্ষক পদে আমাদের লেলিন খাঁনের কাছে দুই লক্ষ, মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে দুই লক্ষ ষাট হাজার টাকা গ্রহণ করেন। এছাড়াও চাকুরী দেওয়ার কথা বলে অনেকের নিকট আরো প্রায় ছয় লক্ষ বাহাত্তর হাজার টাকা নেন।

পরবর্তীতে প্রতারণামূলক ভাবে লেলিন খাঁনকে হোসেনপুর ডিগ্রি কলেজের অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে স্থানীয় সাক্ষীদের সম্মুখে নগদ নয় লক্ষ টাকা গ্রহন করে আত্মসাৎ করে। উক্ত পদে লেলিনকে বাদ দিয়ে অন্য একজনকে নিয়োগ প্রদান করেন। নিয়োগের টাকা ফেরৎ প্রদান না করে, আমাদেরকে সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও অর্থমন্ত্রীর মাধ্যমে জেল হাজতে নিয়ে যাবে মর্মে হুমকি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে।

হোসেনপুর ডিগ্রী কলেজটিতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হিসেবে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন তার মনোনীত ব্যাক্তিদের নিয়ে ম্যানেজিং কমিটি তৈরী করে। উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক লিটন রহমান লিটুকে চাকুরী দিয়ে কলেজটিকে রাজনৈতিক অফিস হিসেবে ব্যবহার করে। বিভিন্ন লোকের উপর মিথ্যা মামলা, মোকদ্দমাসহ অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারনার অফিস হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসিতেছিল। টাকা চাইতে গেলে, অধ্যক্ষ দাম্ভিকতার সহিত বলে একটা টাকাও ফেরৎ দিব না। এমতাবস্থায় অধ্যক্ষ প্রতারনাপূর্বক চাকুরী প্রদানের কথা বলে আরো বিভিন্ন জনের নিকট পচিশ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এছাড়াও হোসেনপুর ডিগ্রী কলেজে বিভিন্ন পদে চাকুরী দেওয়ার নাম করে ২০০৯ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কলেজের বিভিন্ন পদে শিক্ষক নিয়োগসহ ২০১৪ সালে তথাকথিত জাতীয় নির্বাচনে এলাকার অনেককেই আসামী করার হুমকি দিয়ে জেলা হাজত খাটিয়ে বিভিন্নভাবে আর্থিক সুবিধা নিয়ে টাকার পাহাড় তৈরী করেন। উক্ত কলেজের জমি নবাব আলীর নিকট বন্ধক রেখে নগদ তিন লক্ষ টাকা ও পুকুর একজনকে লীজ প্রদান করেন এবং অত্র কলেজের ০৮টি ল্যাপটপ অফিস হতে নিয়ে যায়। যার মূল্য পাঁচ লক্ষ ষাট হাজার টাকা। বর্তমানে দৃশ্যমান উদাহরণ হিসাবে অধ্যক্ষ মোনায়েম খাঁনের দিনাজপুর শহরে গোলাপবাগ ও মির্জাপুরে ২টি বিল্ডিং বাড়ী আছে। যার আনুমানিক মূল্য দুই কোটি পঞ্চাশ লক্ষ টাকা।

এ বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও অত্র কলেজের সভাপতি মো. তাজ উদ্দিন মহোদয়ের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও কোন সুরাহা হয়নি। মহোদয়ের কাছে আমরা জানতে চাইলে তিনি স্থানীয় এক জামায়েত নেতার স্বরনাপন্ন হতে বলেন। কোন সুরাহা না পেয়ে বাধ্য হয়ে সংবাদ সম্মেলন করছি।