ঢাকা ১০:০২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

পাইকগাছার মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ হলেও হয়নি আ’লীগের কার্যালয় 

মোঃ ফসিয়ার রহমান- পাইকগাছা (খুলনা):
  • আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২৩ বার পঠিত

খুলনার পাইকগাছায় উচ্চ আদালতের আদেশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও উচ্ছেদ হয়নি উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়। 

জানা যায়,১৯৮০ সালে পাইকগাছা পৌরসদরে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্কের চারপাশে নানা প্রকার গাছের চারা ফুলের বাগান, বিনোদন ও বসার জন্য তৈরী করা হয় সুন্দর মনোরম পরিবেশ।

কয়েক বছর যাবৎ সঠিক রক্ষানাবেক্ষন না হওয়ার সুযোগে ২০০৪ সালে এক শ্রেণির স্বার্থনেসি মহল পার্কের জায়গা অবৈধ দখল করে পাকা স্থাপনা করতে থাকে। যা বন্ধের দাবীতে সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক আব্দুল মজিদকে সদস্য সচীব করে গঠিত হয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি। শুরু হয় আন্দোলন, সংগ্রাম ও বিভিন্ন দপ্তরে করা হয় অভিযোগ।

তারপরও দখলবাজী বন্ধ না হওয়ায় সহকারি জর্জ আদালত পাইকগাছায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করা হয়। বিজ্ঞ আদালত নির্মাণ কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মান ও ব্যবসা অব্যাহত থাকলে মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি ২০০৫ সালে মহামান্য হাইকোর্টে ৩৫৯০/০৫ রিট পিটিশন  করেন। মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি অন্তে ২০০৫ সালের ২৪মে মধুমিতা পার্কের অভ্যান্তরে অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধ করার আদেশ প্রদান করেন। সে আদেশও অমান্য করায় আদেশ অমান্যকারীরদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে  ১০২/২২ইং কনটেম্ট পিটিশন করা হয়। শুনানি অন্তে গত ১৩ মার্চ২৩ ইং মহামান্য হাইকোর্ট মামলার বিবাদীদেরকে ২০দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে পূর্বের অবস্হায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ প্রদান করেন। সেটাও অমান্য করতে থাকায় পুনরায় আদালতকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পুনঃ আদেশে ২০ মে ২০২৩ এ খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিনের উপস্থিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ করা হয় ৩০ টি পাকা স্হাপনা। কিন্তু দ্বিতলা বিশিষ্ট কয়েক কক্ষের আওয়ামিলীগ কার্যালয়টি থেকে যায় অক্ষত। যা আজও উচ্ছেদ করা হয়নি। যা উচ্ছেদের জোর দাবী উঠেছে।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এধরণের তেমন কিছু থাকলে এ বিষয়য়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

পাইকগাছার মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ হলেও হয়নি আ’লীগের কার্যালয় 

আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

খুলনার পাইকগাছায় উচ্চ আদালতের আদেশে জেলা পরিষদের মালিকানাধীন মধুমিতা পার্কের সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ হলেও উচ্ছেদ হয়নি উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়। 

জানা যায়,১৯৮০ সালে পাইকগাছা পৌরসদরে মধুমিতা পার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়। পার্কের চারপাশে নানা প্রকার গাছের চারা ফুলের বাগান, বিনোদন ও বসার জন্য তৈরী করা হয় সুন্দর মনোরম পরিবেশ।

কয়েক বছর যাবৎ সঠিক রক্ষানাবেক্ষন না হওয়ার সুযোগে ২০০৪ সালে এক শ্রেণির স্বার্থনেসি মহল পার্কের জায়গা অবৈধ দখল করে পাকা স্থাপনা করতে থাকে। যা বন্ধের দাবীতে সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক আব্দুল মজিদকে সদস্য সচীব করে গঠিত হয় মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি। শুরু হয় আন্দোলন, সংগ্রাম ও বিভিন্ন দপ্তরে করা হয় অভিযোগ।

তারপরও দখলবাজী বন্ধ না হওয়ায় সহকারি জর্জ আদালত পাইকগাছায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলা করা হয়। বিজ্ঞ আদালত নির্মাণ কাজ বন্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন।

এ আদেশ অমান্য করে দোকানঘর নির্মান ও ব্যবসা অব্যাহত থাকলে মধুমিতা পার্ক সংরক্ষণ কমিটি ২০০৫ সালে মহামান্য হাইকোর্টে ৩৫৯০/০৫ রিট পিটিশন  করেন। মহামান্য হাইকোর্ট মামলাটির শুনানি অন্তে ২০০৫ সালের ২৪মে মধুমিতা পার্কের অভ্যান্তরে অবৈধ নির্মান কাজ বন্ধ করার আদেশ প্রদান করেন। সে আদেশও অমান্য করায় আদেশ অমান্যকারীরদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে  ১০২/২২ইং কনটেম্ট পিটিশন করা হয়। শুনানি অন্তে গত ১৩ মার্চ২৩ ইং মহামান্য হাইকোর্ট মামলার বিবাদীদেরকে ২০দিনের মধ্যে সকল অবৈধ স্হাপনা উচ্ছেদ করে পার্কটিকে পূর্বের অবস্হায় ফিরিয়ে দিতে আদেশ প্রদান করেন। সেটাও অমান্য করতে থাকায় পুনরায় আদালতকে বিষয়টি অবহিত করা হলে পুনঃ আদেশে ২০ মে ২০২৩ এ খুলনা জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ আল-আমিনের উপস্থিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়। উচ্ছেদ করা হয় ৩০ টি পাকা স্হাপনা। কিন্তু দ্বিতলা বিশিষ্ট কয়েক কক্ষের আওয়ামিলীগ কার্যালয়টি থেকে যায় অক্ষত। যা আজও উচ্ছেদ করা হয়নি। যা উচ্ছেদের জোর দাবী উঠেছে।

পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে এধরণের তেমন কিছু থাকলে এ বিষয়য়ে পদক্ষেপ নেয়া হবে।