ঢাকা ০১:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

নাগেশ্বরীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর নৃশংস হামলা আহতরা এখনও কাতরাচ্ছে হাসপাতালে

রবিউল ইসলাম রয়েল- নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম):
  • আপডেট সময় : ০৮:১৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪ ৪৯ বার পঠিত

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মধুর হাইল্যা গ্রামে,বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উপর নৃশংস হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাগেশ্বরী পৌরসভার সাঞ্জুয়ার ভিটা গ্রামের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের ছেলে, মোঃ হাফিজুর রহমানের অভিযোগে জানা যায়, তাদের বৈধ জমি বিবাদীরা দখল করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মরিয়া হয়ে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিবাদীরা শতাধিক লোকজন নিয়ে, হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র সহকারে জমি দখল করতে আসে। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কয়েকজন তাদের বাধা প্রদান করার চেষ্টা করে।

বিবাদীরা তাদের বাধা উপেক্ষা করে, নারী-পুরুষ সহ ৮ থেকে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে, কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। পরে ভুক্তভোগীদের সজনরা আহতদের নাগেশ্বরী সরকারি হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম সদর সরকারি হাসপাতাল এবং দুজন গুরুতর আহতদের রংপুর মেডিকেলেও ভর্তি করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে যারা জড়িত তারা যথাক্রমে-মনতাজ আলীর ছেলে নুর আলম মাস্টার, মৃত নুরুল মুক্তারের ছেলে বাদল সাব রেজিস্টার, রানু মিয়া, আনসার আলীর ছেলে বাবলু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, নুর আলমের ছেলে স্বপন মিয়া, বাবলু মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, ঘুতু মিয়ার ছেলে ফজলু মিয়া, ফজলু মিয়ার ছেলে আশরাফুল, একরামুল হক, আবুল হোসেন খন্দকারের ছেলে রেল পুলিশ ফারুক হোসেন সহ আরো অনেকে, যাহা অভিযোগে উল্লেখ আছে।

অভিযোগকারী পশ্চিম সানজুয়ার ভিটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ভুক্তভোগী নুর আলমের ভাগিনা হাফিজুর রহমান এবং আহত অনেকেই বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়েও আজ অসহায়। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা কাগজ ছাড়াই গায়ের জোরে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ওরা টাকা পয়সা ওয়ালা লোক, এজন্য সব সময় হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লাঠিসোঠা সহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে, আমাদের পরিবারের উপর আক্রমণ করে নারী পুরুষ সহ অনেককে রক্তাক্ত করে।

ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাফিজুর রহমান বলেন, এর আগে আমার বড় মামাকে গুম করার অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া আছে। কিন্তু তাদের টাকার জোরে আমরা বারবার হেরে যাচ্ছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়ে, এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের বিচারের আওতায় এনে, কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপকুমার সরকার বলেন, অপরাধী যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের হাত তার চেয়ে অধিক শক্তিশালী। পুলিশ জনগণের সেবক, অন্যায়কারীদের আইনের আওতায় আনাই আমাদের প্রধান কাজ।

নাগেশ্বরীতে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের উপর নৃশংস হামলা আহতরা এখনও কাতরাচ্ছে হাসপাতালে

আপডেট সময় : ০৮:১৩:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ড দক্ষিণ মধুর হাইল্যা গ্রামে,বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের উপর নৃশংস হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাগেশ্বরী পৌরসভার সাঞ্জুয়ার ভিটা গ্রামের, বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত শামসুল হকের ছেলে, মোঃ হাফিজুর রহমানের অভিযোগে জানা যায়, তাদের বৈধ জমি বিবাদীরা দখল করার জন্য দীর্ঘদিন থেকে মরিয়া হয়ে থাকে।

এরই ধারাবাহিকতায় বিবাদীরা শতাধিক লোকজন নিয়ে, হঠাৎ দেশীয় অস্ত্র সহকারে জমি দখল করতে আসে। ভুক্তভোগী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কয়েকজন তাদের বাধা প্রদান করার চেষ্টা করে।

বিবাদীরা তাদের বাধা উপেক্ষা করে, নারী-পুরুষ সহ ৮ থেকে ১০ জন মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে, কুপিয়ে গুরুতর আহত করে চলে যায়। পরে ভুক্তভোগীদের সজনরা আহতদের নাগেশ্বরী সরকারি হাসপাতাল, কুড়িগ্রাম সদর সরকারি হাসপাতাল এবং দুজন গুরুতর আহতদের রংপুর মেডিকেলেও ভর্তি করা হয়।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের হত্যার উদ্দেশ্যে যারা জড়িত তারা যথাক্রমে-মনতাজ আলীর ছেলে নুর আলম মাস্টার, মৃত নুরুল মুক্তারের ছেলে বাদল সাব রেজিস্টার, রানু মিয়া, আনসার আলীর ছেলে বাবলু মিয়া, আনোয়ার হোসেন, নুর আলমের ছেলে স্বপন মিয়া, বাবলু মিয়ার ছেলে রনি মিয়া, ঘুতু মিয়ার ছেলে ফজলু মিয়া, ফজলু মিয়ার ছেলে আশরাফুল, একরামুল হক, আবুল হোসেন খন্দকারের ছেলে রেল পুলিশ ফারুক হোসেন সহ আরো অনেকে, যাহা অভিযোগে উল্লেখ আছে।

অভিযোগকারী পশ্চিম সানজুয়ার ভিটা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও ভুক্তভোগী নুর আলমের ভাগিনা হাফিজুর রহমান এবং আহত অনেকেই বলেন, আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্য হয়েও আজ অসহায়। দীর্ঘদিন ধরে অভিযুক্তরা কাগজ ছাড়াই গায়ের জোরে জমি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করছে। ওরা টাকা পয়সা ওয়ালা লোক, এজন্য সব সময় হুমকি দিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় রামদা, চাইনিজ কুড়াল, লাঠিসোঠা সহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র নিয়ে, আমাদের পরিবারের উপর আক্রমণ করে নারী পুরুষ সহ অনেককে রক্তাক্ত করে।

ভুক্তভোগী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হাফিজুর রহমান বলেন, এর আগে আমার বড় মামাকে গুম করার অভিযোগ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া আছে। কিন্তু তাদের টাকার জোরে আমরা বারবার হেরে যাচ্ছি। আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হয়ে, এই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীদের বিচারের আওতায় এনে, কঠিন শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপকুমার সরকার বলেন, অপরাধী যত বড় শক্তিশালী হোক, আইনের হাত তার চেয়ে অধিক শক্তিশালী। পুলিশ জনগণের সেবক, অন্যায়কারীদের আইনের আওতায় আনাই আমাদের প্রধান কাজ।