ঢাকা ০৩:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

৫ বছর পর শেরপুরের চাঞ্চল্যকর ফকির আলী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন! জামাতা কর্তৃক খুন হন শ্বশুর

শেখ সাঈদ আহমেদ সাবাব- শেরপুর:
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪ ৭১ বার পঠিত

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং চরের চাঞ্চল্যকর আমের আলী ওরফে ফকির আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ইমতিয়াজ আলী (২৯) কে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এ ঘটনায় জামাতা মাসুদই শ্বাসরোধ করে শ্বশুর ফকির আলীকে খুন করে বলে ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দিতে গ্রেপ্তারকৃত ইমতিয়াজ আলী
জানান।
একইসাথে এ হত্যাকান্ডের সাথে তার জড়িত থাকার কথাও সে আদালতে স্বীকার করে।
আজ বিকেলে পিবিআইয় জামালপুরের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পিবিআই, র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৩ মার্চ রাতে ইমতিয়াজ আলীকে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ইমতিয়াজ আলী শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং চর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে।
পিবিআই জানায়, শেরপুর সদর উপজেলার ৭নংচর গ্রামের আমের আলী ওরফে ফকির আলীর মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করে এ ঘটনার প্রধান আসামী একই এলাকার বাসিন্দা মাসুদ। কিন্তু ফকির আলী এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এ জন্য মাসুদ তার নিজ আত্মীয়
স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে ফকির আলীকে মেরে ষড়যন্ত্র করে। এরই অংশ হিসেবে বিগত ২০১৯ সালের ১৭ আগষ্ট জামালপুরের পাতালিয়ায় কাজে
যায় ফকির আলী ও আসামীরা। পরবর্তীতে আসামীরা তাদের বাড়ীতে চলে আসলেও ফকির আলী আর বাড়ি ফিরে আসেনি। দুইদিন পর পাশ্ববর্তী ৬নংচর গ্রামের রিপন খানের ধৈঞ্চা ক্ষেতে তার গলায় গামছা পেচানো অর্ধগলিত মরদেহ মিলে। এরপর শেরপুর সদর থানায় ২৪ আগষ্ট-২০১৯ তারিখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ফকির আলীর স্ত্রী কল্পনা বেগম। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও মামলার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হওয়ায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব অর্পন করেন। পিবিআই দীর্ঘদিন তদন্তশেষে পাচঁ বছর পরে এ মামলার অন্যতম আসামী ইমতিয়াজ আলীকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার এবং স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে আসামী ইমতিয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছি। সে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। অন্য আসামীরাও খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে।

ট্যাগস :

৫ বছর পর শেরপুরের চাঞ্চল্যকর ফকির আলী হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন! জামাতা কর্তৃক খুন হন শ্বশুর

আপডেট সময় : ০৯:১৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০২৪

দীর্ঘ পাঁচ বছর পর শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং চরের চাঞ্চল্যকর আমের আলী ওরফে ফকির আলী হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পিবিআই।

এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ইমতিয়াজ আলী (২৯) কে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

এ ঘটনায় জামাতা মাসুদই শ্বাসরোধ করে শ্বশুর ফকির আলীকে খুন করে বলে ১৫ মার্চ আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দিতে গ্রেপ্তারকৃত ইমতিয়াজ আলী
জানান।
একইসাথে এ হত্যাকান্ডের সাথে তার জড়িত থাকার কথাও সে আদালতে স্বীকার করে।
আজ বিকেলে পিবিআইয় জামালপুরের তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পিবিআই, র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে ১৩ মার্চ রাতে ইমতিয়াজ আলীকে ঢাকার তুরাগ থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃত ইমতিয়াজ আলী শেরপুর সদর উপজেলার ৭নং চর গ্রামের আক্কাছ আলীর ছেলে।
পিবিআই জানায়, শেরপুর সদর উপজেলার ৭নংচর গ্রামের আমের আলী ওরফে ফকির আলীর মেয়েকে প্রেম করে বিয়ে করে এ ঘটনার প্রধান আসামী একই এলাকার বাসিন্দা মাসুদ। কিন্তু ফকির আলী এ বিয়ে মেনে নেয়নি। এ জন্য মাসুদ তার নিজ আত্মীয়
স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে গোপন বৈঠক করে ফকির আলীকে মেরে ষড়যন্ত্র করে। এরই অংশ হিসেবে বিগত ২০১৯ সালের ১৭ আগষ্ট জামালপুরের পাতালিয়ায় কাজে
যায় ফকির আলী ও আসামীরা। পরবর্তীতে আসামীরা তাদের বাড়ীতে চলে আসলেও ফকির আলী আর বাড়ি ফিরে আসেনি। দুইদিন পর পাশ্ববর্তী ৬নংচর গ্রামের রিপন খানের ধৈঞ্চা ক্ষেতে তার গলায় গামছা পেচানো অর্ধগলিত মরদেহ মিলে। এরপর শেরপুর সদর থানায় ২৪ আগষ্ট-২০১৯ তারিখে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন ফকির আলীর স্ত্রী কল্পনা বেগম। কিন্তু দীর্ঘ এক বছরেও মামলার রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হওয়ায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে পুলিশ হেডকোয়ার্টার পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করার দায়িত্ব অর্পন করেন। পিবিআই দীর্ঘদিন তদন্তশেষে পাচঁ বছর পরে এ মামলার অন্যতম আসামী ইমতিয়াজ আলীকে ঢাকার উত্তরা থেকে গ্রেপ্তার এবং স্বীকারোক্তির মাধ্যমে এ মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জহুরুল ইসলাম জানান, আমরা দীর্ঘ তদন্ত শেষে মামলার রহস্য উদঘাটনে সক্ষম হয়েছি। ইতিমধ্যে আসামী ইমতিয়াজ আলীকে গ্রেপ্তার করেছি। সে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। অন্য আসামীরাও খুব দ্রুতই গ্রেপ্তার হবে।