ঢাকা ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

বগুড়ায় শীতের শেষে বৃষ্টিতে আলু নিয়ে দুশ্চিন্তা

এমদাদুল হক- বগুড়া:
  • আপডেট সময় : ১২:২১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১১৯ বার পঠিত

বগুড়ায় আলু উত্তোলনের শেষ মুহুর্তে বৃষ্টির পানিতে জমিগুলো ভিজে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকসানের শঙ্কায় আছেন চাষিরা। বাধ্য হয়ে অনেকেই আলু উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।

একই অবস্থার কথা জানিয়েছেন সরিষা চাষিরা। মাঘের শীতের শেষে ফাল্গুন মাসে হঠাৎ বৃষ্টিতে আলু জমিতে পানি জমে যাওয়ায় ফসল নষ্টের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। এর আগে শৈতপ্রবাহে আলুতে মড়ক লেগে চাষে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে।
গত শনিবার থেকে বৃষ্টির কারণে উত্তরের শস্যভান্ডার খ্যাত জেলা বগুড়ায় আলু ও সরিষা জমিতে পানি জমে যায়। প্রায় সব উপজেলায় থেমে থেকে বৃষ্টি হয়েছে।

এ কারণে আলু ও সরিষার উৎপাদন খরচ ওঠানো নিয়ে যেমন সংশয় তৈরি হয়েছে, তেমনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টিপাত হলেও আলু জমিতে পানি জমেনি। আলু পচে যাওয়া নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কৃষকরা জানান, সব চাষিরা মাঠে থেকে আলু তুলতে ব্যস্ত। হঠাৎ বৃষ্টির পানিতে জমিগুলো ভিজে যাওয়ায় আলুতে পচন ধরতে পারে। বাধ্য হয়েই অনেক কৃষক আলু উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।

এদিকে বগুড়া জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত শনিবার থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২৮ মিলিমিটার মাঝারি ধরণের ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এরপর বৃষ্টিপাত হয়নি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবার বগুড়ায় ৫৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যেখান থেকে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ আলু উত্তোলন করেছেন কৃষকরা।

বগুড়ার কাহালু উপজেলার সরাই গ্রামের আইয়ুব প্রামানিক বলেন, আমি দুই একদিনের মধ্যে আলু তুলে বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে জমিতে পানি জমে যায়। এই পানি না শুকানো পর্যন্ত আলু উত্তোলন করতে পারবো না। পানি জমি যাওয়ার কারণে আলু পচে যেতে পারে। আলুগুলো আর সংরক্ষণও করতে পারবো না।

নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল এলাকার কৃষক মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি একবিঘা সরিষা ও পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। বৃষ্টির পানিতে জমি ভিজে যাওয়ায় মাঠের পাকা সরিষা নষ্ট হতে পারে। এ বছর সরিষা চাষে অতিরিক্ত খরচ হলেও ফলন কমেছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর নয়াপাড়ার আলু চাষি আজমল হোসেন বলেন, অনেক কৃষক আগেই আলু তুলে জমিতে ধানের আবাদ করছেন। তাদের জন্য বৃষ্টি খুবই দরকার। আমাদের এখানকার মাটিতে পানি জমে না। তবে বৃষ্টি স্থায়ী হলে আলুর জন্য খারাপ হতো।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতলুবর রহমান জানান, জেলার সব এলাকায় একই সমান অনুপাতে বৃষ্টিপাত হয়নি। জমিতে পানি না জমলে আলুর ক্ষতি হবে না।

ট্যাগস :

বগুড়ায় শীতের শেষে বৃষ্টিতে আলু নিয়ে দুশ্চিন্তা

আপডেট সময় : ১২:২১:০০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বগুড়ায় আলু উত্তোলনের শেষ মুহুর্তে বৃষ্টির পানিতে জমিগুলো ভিজে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে লোকসানের শঙ্কায় আছেন চাষিরা। বাধ্য হয়ে অনেকেই আলু উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।

একই অবস্থার কথা জানিয়েছেন সরিষা চাষিরা। মাঘের শীতের শেষে ফাল্গুন মাসে হঠাৎ বৃষ্টিতে আলু জমিতে পানি জমে যাওয়ায় ফসল নষ্টের দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকেরা। এর আগে শৈতপ্রবাহে আলুতে মড়ক লেগে চাষে অতিরিক্ত টাকা খরচ হয়েছে।
গত শনিবার থেকে বৃষ্টির কারণে উত্তরের শস্যভান্ডার খ্যাত জেলা বগুড়ায় আলু ও সরিষা জমিতে পানি জমে যায়। প্রায় সব উপজেলায় থেমে থেকে বৃষ্টি হয়েছে।

এ কারণে আলু ও সরিষার উৎপাদন খরচ ওঠানো নিয়ে যেমন সংশয় তৈরি হয়েছে, তেমনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ব্যাহত হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।

কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, বৃষ্টিপাত হলেও আলু জমিতে পানি জমেনি। আলু পচে যাওয়া নিয়ে কৃষকদের দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কৃষকরা জানান, সব চাষিরা মাঠে থেকে আলু তুলতে ব্যস্ত। হঠাৎ বৃষ্টির পানিতে জমিগুলো ভিজে যাওয়ায় আলুতে পচন ধরতে পারে। বাধ্য হয়েই অনেক কৃষক আলু উত্তোলন বন্ধ রেখেছেন।

এদিকে বগুড়া জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, গত শনিবার থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় জেলায় ২৮ মিলিমিটার মাঝারি ধরণের ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।

এরপর বৃষ্টিপাত হয়নি। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, এবার বগুড়ায় ৫৫ হাজার ২৬০ হেক্টর জমিতে আলুর চাষ হয়েছে। যেখান থেকে ১৩ লাখ ২০ হাজার ৪৭৫ মেট্রিকটন আলু উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে গত সপ্তাহ পর্যন্ত প্রায় ৫০ শতাংশ আলু উত্তোলন করেছেন কৃষকরা।

বগুড়ার কাহালু উপজেলার সরাই গ্রামের আইয়ুব প্রামানিক বলেন, আমি দুই একদিনের মধ্যে আলু তুলে বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি হয়ে জমিতে পানি জমে যায়। এই পানি না শুকানো পর্যন্ত আলু উত্তোলন করতে পারবো না। পানি জমি যাওয়ার কারণে আলু পচে যেতে পারে। আলুগুলো আর সংরক্ষণও করতে পারবো না।

নন্দীগ্রাম উপজেলার বিজরুল এলাকার কৃষক মাসুম বিল্লাহ বলেন, তিনি একবিঘা সরিষা ও পাঁচ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন। বৃষ্টির পানিতে জমি ভিজে যাওয়ায় মাঠের পাকা সরিষা নষ্ট হতে পারে। এ বছর সরিষা চাষে অতিরিক্ত খরচ হলেও ফলন কমেছে।

শিবগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর নয়াপাড়ার আলু চাষি আজমল হোসেন বলেন, অনেক কৃষক আগেই আলু তুলে জমিতে ধানের আবাদ করছেন। তাদের জন্য বৃষ্টি খুবই দরকার। আমাদের এখানকার মাটিতে পানি জমে না। তবে বৃষ্টি স্থায়ী হলে আলুর জন্য খারাপ হতো।

এ প্রসঙ্গে বগুড়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মতলুবর রহমান জানান, জেলার সব এলাকায় একই সমান অনুপাতে বৃষ্টিপাত হয়নি। জমিতে পানি না জমলে আলুর ক্ষতি হবে না।