শ্রীবরদীতে প্রবেশপত্র না পাওয়ায় প্রধান শিক্ষক অবরুদ্ধ
- আপডেট সময় : ০৫:০১:০৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ৬৯ বার পঠিত
শেরপুরের শ্রীবরদীতে চলতি বছরের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এস.এস.সি) পরীক্ষার ১৪ শিক্ষার্থী প্রবেশ পত্র না পাওয়ায় এক প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রাখার পর রাতে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে আনা হয়েছে।
১৪ পরীক্ষার্থীর প্রবেশপত্র না দেওয়ায় শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী উপজেলার গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামকে ১৪ ফেব্রুয়ারী বিকেল থেকে তার কক্ষে অবরোধ করে রাখেন। এসময় স্কুল মাঠে তারা বিক্ষোভ করেন।
জানা গেছে, বুধবার সকালে গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে চলতি বছরের এস.এস.সি পরীক্ষার প্রবেশ পত্র নিতে যায় শিক্ষার্থীরা। বিকেলে ১৪ জন শিক্ষার্থীকে জানানো হয় তাদের প্রবেশপত্র বোর্ড হইতে আসেনি। এসময় শিক্ষার্থীরা কান্নাকাটি ও প্রতিবাদ করতে থাকে। জানাজানি হলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকরা এসে প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করে রেখে স্কুল মাঠে বিক্ষোভ করতে থাকে।
খবর পেয়ে রাতে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করেন।
এ ব্যাপারে শ্রীবরদী উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের ভ্যান চালক আফরোজ আলী কান্না কণ্ঠে বলেন, আমার মেয়ে আশামনিকে খুব কষ্ট করে স্কুলে পড়িয়েছি। ভ্যান চালিয়ে ফরম ফিলাবের টাকা দিছি। আজ শুনি এডমিট আসে নাই। আমি মেয়েকে কি বলব? অভিভাবক ওয়াহেদ আলী বলেন, আমার মেয়ের পরীক্ষার সকল পাওনাদি দিয়েছি। আমার মেয়ের প্রবেশপত্র আসেনি। আমি স্যারদের উপযুক্ত বিচার চাই।
গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী মো. সেলিম মিয়া বলেন, আমি শুনেছি ১৪ জন শিক্ষার্থীর প্রবেশ পত্র আসে নাই। আমি এসব কাজ করি না। বিদ্যালয়ের সমস্ত কাজ করেন সহকারী শিক্ষক (কৃষি) মো. জুলফিকার হায়দার।
তবে ঘটনার পর থেকেই অফিস সহকারী পলাতক রয়েছে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য গবরীকুড়া আকন্দ কলম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নজরুল ইসলামের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নাই।
এদিকে খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক আব্দুল্লাহ আল খায়রুম ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে কন্ট্রোলারকে বিশেষ ব্যবস্থায় এসব শিক্ষার্থীর পরীক্ষা নেয়ার ব্যবস্থা করার জন্য অনুরোধ করেছেন। তার অনুরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বোর্ড কন্ট্রোলার।
এ তথ্য নিশ্চিত করে শ্রীবরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফৌজিয়া নাজনীন বলেন, আমরা রাতেই ১৪ জনের নামসহ বোর্ডে পাঠাচ্ছি। তবে স্কুলের অফিস সহকারী পলাতক থাকায় প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাওয়া যাচ্ছে না।
তিনি আরও জানান, ১৪ জনের মধ্যে ৫ জনের রেজিষ্ট্রেশন কার্ড পাওয়া গেছে। বাকী নয় জনের কোন কাগজপত্রই নেই। তাদের অষ্টম শ্রেণির রেজিষ্ট্রেশন কার্ডও পাওয়া যাচ্ছে না।