ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

সালথায় দুই মাস পর মায়ের কোলে ফিরলেন মুস্তাকিম

শরিফুল হাসান -সালথা(ফরিদপুর):
  • আপডেট সময় : ১১:০৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ ১৩৫ বার পঠিত

বিচিত্র এ মানব জগত, বিচিত্র তার বন্ধন। বাবা-মা, ভাই-বোন কারও প্রতি নেই তার কোনো মায়ার বন্ধন, কোনো কিছুই তাকে আকর্ষণ করে না, অভ্যাস না-কি, এটা কোনো মনোরোগ -এটাই যেন প্রশ্নে ঘুরপাক খেতে হয় যে কারও।

এমনই এক শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে ফরিদপুরের সালথায়। যার নাম মুস্তাকিম (১১)।
আর এ শিশুটি সালথার কলাগাছিয়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।

সালথা থানা পুলিশ জানান, ইতোপূর্বে বাড়ি থেকে দুইবার পালিয়েছিল মুস্তাকিম। পরিবার হন্যে হয়ে খুঁজেছে তাকে। পরে সাত-আটদিন পর ফিরেও পেয়েছিল মুস্তাকিমকে। কিন্তু ফের আবার পালানোর পর না পাওয়ার যন্ত্রণাটা মা-বোনকে পোহাতে হয়েছে দীর্ঘ দুই মাস। এমনকি মনের কষ্টে পুলিশের কাছেও বিষয়টি জানাননি তারা। তবে ফেসবুকে নিখোঁজ ও সন্ধান চেয়ে একটা পোস্ট করেছিল তার পরিবার।

সালথা থানা পুলিশের কাছে ওই পোস্ট দৃষ্টিগোচর হয়। পরে সালথা থানা পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে মোস্তাকিমের অবস্থান শনাক্ত হয় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেখান থেকে মুস্তাকিমকে উদ্ধার করা হয়। রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, মুস্তাকিমকে উদ্ধারের পর কথাবার্তার এক পর্যায়ে আবিষ্কৃত হয় পরিবারের, বাবা-মা, ভাই-বোন কারও প্রতি তার কোনো মায়া-মমতা কিংবা ভালোবাসার আকর্ষণ নেই তার। নেই লেখাপড়ার প্রতিও ভালোবাসা। সে কোনো বন্ধু-বান্ধবের প্রতিও আকৃষ্ট নয়। শুধু অপলক দৃষ্টিতে চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে। নিজ ঘরকে সে কখনোই আপন বলে মনে করে না, তাই যখন-যেখানে মনে চায় চলে যাচ্ছে সে।

ওসি জানান, বাবা-মায়ের প্রতি সহমর্মিতা উপলব্ধি করে সালথা থানা পুলিশ মোস্তাকিমকে উদ্ধারের পর তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবা-মা ও পরিবারের প্রতি আকর্ষণ না থাকা সত্যিই বিস্ময়কর মনে হচ্ছে আমাদের।

সালথায় দুই মাস পর মায়ের কোলে ফিরলেন মুস্তাকিম

আপডেট সময় : ১১:০৯:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

বিচিত্র এ মানব জগত, বিচিত্র তার বন্ধন। বাবা-মা, ভাই-বোন কারও প্রতি নেই তার কোনো মায়ার বন্ধন, কোনো কিছুই তাকে আকর্ষণ করে না, অভ্যাস না-কি, এটা কোনো মনোরোগ -এটাই যেন প্রশ্নে ঘুরপাক খেতে হয় যে কারও।

এমনই এক শিশুর সন্ধান পাওয়া গেছে ফরিদপুরের সালথায়। যার নাম মুস্তাকিম (১১)।
আর এ শিশুটি সালথার কলাগাছিয়া গ্রামের বাবুল হোসেনের ছেলে বলে জানা গেছে।

সালথা থানা পুলিশ জানান, ইতোপূর্বে বাড়ি থেকে দুইবার পালিয়েছিল মুস্তাকিম। পরিবার হন্যে হয়ে খুঁজেছে তাকে। পরে সাত-আটদিন পর ফিরেও পেয়েছিল মুস্তাকিমকে। কিন্তু ফের আবার পালানোর পর না পাওয়ার যন্ত্রণাটা মা-বোনকে পোহাতে হয়েছে দীর্ঘ দুই মাস। এমনকি মনের কষ্টে পুলিশের কাছেও বিষয়টি জানাননি তারা। তবে ফেসবুকে নিখোঁজ ও সন্ধান চেয়ে একটা পোস্ট করেছিল তার পরিবার।

সালথা থানা পুলিশের কাছে ওই পোস্ট দৃষ্টিগোচর হয়। পরে সালথা থানা পুলিশ স্বপ্রণোদিত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজাখুঁজি অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে মোস্তাকিমের অবস্থান শনাক্ত হয় ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশনে। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে সেখান থেকে মুস্তাকিমকে উদ্ধার করা হয়। রোববার দুপুরে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফায়েজুর রহমান বলেন, মুস্তাকিমকে উদ্ধারের পর কথাবার্তার এক পর্যায়ে আবিষ্কৃত হয় পরিবারের, বাবা-মা, ভাই-বোন কারও প্রতি তার কোনো মায়া-মমতা কিংবা ভালোবাসার আকর্ষণ নেই তার। নেই লেখাপড়ার প্রতিও ভালোবাসা। সে কোনো বন্ধু-বান্ধবের প্রতিও আকৃষ্ট নয়। শুধু অপলক দৃষ্টিতে চুপচাপ থাকতে পছন্দ করে। নিজ ঘরকে সে কখনোই আপন বলে মনে করে না, তাই যখন-যেখানে মনে চায় চলে যাচ্ছে সে।

ওসি জানান, বাবা-মায়ের প্রতি সহমর্মিতা উপলব্ধি করে সালথা থানা পুলিশ মোস্তাকিমকে উদ্ধারের পর তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। শিশুটির বাবা-মা ও পরিবারের প্রতি আকর্ষণ না থাকা সত্যিই বিস্ময়কর মনে হচ্ছে আমাদের।