ঢাকা ১২:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা, ধান চাষে ব্যস্ত উত্তরাঞ্চলের কৃষক

শিল্পী আক্তার-রংপুর ব্যুরো :
  • আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪ ১৩২ বার পঠিত

কনকনে শীত উপেক্ষা করেই বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা কৃষকরা।

মৌসুমের শুরুতে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত চলছে ধানের চারা রোপণ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে রোপন করা হচ্ছে ধানের চারা। শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে চলছে কৃষকদের ব্যস্ততা।

জানা গেছে, আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানের বীজ রোপনের হিড়িক পড়েছে। অন্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে গংগাচড়া উপজেলায় তিনগুণ বেশি জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। আমন ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় ইরি ও বোরো ধানের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা।

রংপুর জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রিড ও উফসী জাতের ধান বেশি আবাদ হয়। এছাড়াও, ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৮১, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৯সহ স্থানীয় জাতের কিছু ধানের চাষও করা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় জমিতে চাষাবাদ ঠিক মতো করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসলের ক্ষেতে। শীত উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপন করছেন। ধানের চারা রোপণে স্থানীয় কৃষকেরা দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক এনেও কাজ করছেন ফসলের ক্ষেতে।
উপজেলার গংগাচড়া ইউনিয়নের কৃষক শরৎ চন্দ্র সরকার জানান, প্রতি বছরই ধানের চাষ করি। এ বছরও করছি। তবে বীজের দাম বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে।

কৃষক জগদীশ চন্দ্র সরকার বলেন, সব কিছুর দাম বেশি থাকায় ধান চাষে ব্যয় বেশি হচ্ছে। এবার বীজ ভালো পাওয়া গেছে। আশা করি ফলনও ভালো আসবে।

এ বিষয়ে রংপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার তেমন একটা ক্ষতি না হওয়ায় উপজেলার কৃষকেরা অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, রংপুর জেলা উপজেলা গুলোতে চলতি বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় শতকরা ৩০ শতাংশ জমিতে বোরো ধান রোপণ করা সম্পন্ন হয়েছে।অতিদ্রুত পুরো উপজেলার সকল মাঠের জমিতে বোরো ধান রোপণ করা সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।

এছাড়াও উপজেলার কৃষকদের বোরো বীজতলা তৈরি করা থেকে শুরু করে জমিতে চারা রোপণ করা পর্যন্ত সকল পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস :

শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা, ধান চাষে ব্যস্ত উত্তরাঞ্চলের কৃষক

আপডেট সময় : ১০:৩৮:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৪

কনকনে শীত উপেক্ষা করেই বোরো ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন রংপুরের গংগাচড়া উপজেলা কৃষকরা।

মৌসুমের শুরুতে প্রতিদিন ভোর ৬টা থেকে বেলা ৪টা পর্যন্ত চলছে ধানের চারা রোপণ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ফসলি জমিতে রোপন করা হচ্ছে ধানের চারা। শীতের হিমেল হাওয়া উপেক্ষা করে চলছে কৃষকদের ব্যস্ততা।

জানা গেছে, আগাম জাতের ইরি-বোরো ধানের বীজ রোপনের হিড়িক পড়েছে। অন্য বছরের তুলনায় চলতি মৌসুমে গংগাচড়া উপজেলায় তিনগুণ বেশি জমিতে ইরি বোরো ধান চাষ হবে বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। আমন ধানের দাম ভালো না পাওয়ায় ইরি ও বোরো ধানের আবাদে ঝুঁকেছেন কৃষকেরা।

রংপুর জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রংপুরের বিভিন্ন উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের মধ্যে হাইব্রিড ও উফসী জাতের ধান বেশি আবাদ হয়। এছাড়াও, ব্রি-ধান ২৮, ব্রি-২৯, ব্রি-৮১, ব্রি-৭৪, ব্রি-৮৯সহ স্থানীয় জাতের কিছু ধানের চাষও করা হচ্ছে।

চলতি মৌসুমে শীতে বীজ তলার তেমন ক্ষতি না হওয়ায় জমিতে চাষাবাদ ঠিক মতো করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি ইরি- বোরো মৌসুমে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন স্থানের কৃষকেরা ব্যস্ত সময় পার করছেন ফসলের ক্ষেতে। শীত উপেক্ষা করে ধানের চারা রোপন করছেন। ধানের চারা রোপণে স্থানীয় কৃষকেরা দূর-দূরান্ত থেকে শ্রমিক এনেও কাজ করছেন ফসলের ক্ষেতে।
উপজেলার গংগাচড়া ইউনিয়নের কৃষক শরৎ চন্দ্র সরকার জানান, প্রতি বছরই ধানের চাষ করি। এ বছরও করছি। তবে বীজের দাম বেড়েছে। শ্রমিকের মজুরিও বেশি। ফলন ভালো হলে লাভের মুখ দেখা যাবে।

কৃষক জগদীশ চন্দ্র সরকার বলেন, সব কিছুর দাম বেশি থাকায় ধান চাষে ব্যয় বেশি হচ্ছে। এবার বীজ ভালো পাওয়া গেছে। আশা করি ফলনও ভালো আসবে।

এ বিষয়ে রংপুর জেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ রিয়াজ উদ্দিন জানান, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বীজতলার তেমন একটা ক্ষতি না হওয়ায় উপজেলার কৃষকেরা অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছে।

তিনি আরও জানান, রংপুর জেলা উপজেলা গুলোতে চলতি বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৪ হাজার হেক্টর জমিতে। এ পর্যন্ত উপজেলায় প্রায় শতকরা ৩০ শতাংশ জমিতে বোরো ধান রোপণ করা সম্পন্ন হয়েছে।অতিদ্রুত পুরো উপজেলার সকল মাঠের জমিতে বোরো ধান রোপণ করা সম্পন্ন হবে বলে তিনি আশাবাদী।

এছাড়াও উপজেলার কৃষকদের বোরো বীজতলা তৈরি করা থেকে শুরু করে জমিতে চারা রোপণ করা পর্যন্ত সকল পরামর্শ প্রদান অব্যাহত রয়েছে।