ঢাকা ০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে

সাতক্ষীরা খাজরায় আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক

শেখ ইয়াসির আরাফাত- সাতক্ষীরা:
  • আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪ ৭২ বার পঠিত

সাতক্ষীরা আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে বাংলাদশের অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত আখ চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। খরচের তুলনায় আয় কম হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে কৃষকরা মনে করেন।

বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারী) বিকালে খাজরা গ্রামের দুজন কৃষকের ক্ষেত সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়,কয়েক বিঘা জমিতে রোপন করা হয়েছে আখের কলম বা চারা গাছ। সারি সারি দুপাশে আইল করে মাঝখানে দুই তিনটা করে পাতা গজিয়েছে চারা আখের।

আইলের উপর বেগুন,টমেটোসহ লাগানো হয়েছে মৌসুমী সবজি গাছ। আখ গাছের পূর্ন বয়স হওয়ার আগে এসব মৌসুমী সবজির ভাল ফলনও পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বছর দশেক আগেও খাজরা,পিরোজপুর,খালিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে আখের চাষ হত চোখে পড়ার মত। এখন শুধু মাত্র খাজরা গ্রামের চার পাঁচজন চাষী আখের চাষ করতে দেখা যায়। তাদেরও লোকসান ও সরকারি সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

খাজরা গ্রামের আখ চাষী মুনসুর সরদার বলেন,আমি প্রায় ৭বছর ধরে নিয়মিত আখ চাষ করে যাচ্ছি। এবছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে আখের চাষ করেছি। আমার প্রতি বিঘা জমিতে চাষ,আইল তৈরীর জন্য শ্রমিক,আখের চারা ক্রয়,কীটনাশকসহ আনুষাঙ্গিক সব মিলে ৫০হাজার টাকা খরচ হবে। যদি ভাল ফলন হয় তবে বাজার মূল্য হিসেবে ১লক্ষ টাকার মত বিক্রি হবে। তিনি আরও আরো জানান,প্রায় বছর আমরা প্রাকৃতিক ক্ষতির মুখে বেশি পড়ি। সে সময় আমাদের লোকসান গুনতে হয়।

আরেক আখ চাষী আনিসুর রহমান জানান,আমিও কয়েক বছর আখ চাষ করছি। আমাদের বড় সমস্য আমরা প্রান্তিক আখ চাষিরা সরকারি কৃষি প্রনোদনার কোন অংশ পাই না। এমনকি কি কৃষি অফিসার আমাদের খোজখবরও নেয় না।
নানা কারনে খাজরা ইউনিয়নের দিন দিন কমে যাচ্ছে আখ চাষির সংখ্যা। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এ অঞ্চলের চাষিরা আবারও আখ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি হোক এমন দাবি করেছেন গ্রামবাসী।

ট্যাগস :

সাতক্ষীরা খাজরায় আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছে কৃষক

আপডেট সময় : ০৭:০৫:৪২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৪

সাতক্ষীরা আশাশুনির খাজরা ইউনিয়নে বাংলাদশের অর্থকরী ফসল হিসেবে পরিচিত আখ চাষে দিন দিন আগ্রহ হারাচ্ছে স্থানীয় কৃষকরা। খরচের তুলনায় আয় কম হওয়ায় এমন অবস্থার সৃষ্টি হচ্ছে বলে কৃষকরা মনে করেন।

বৃহস্পতিবার(১১ জানুয়ারী) বিকালে খাজরা গ্রামের দুজন কৃষকের ক্ষেত সরেজমিনে পরিদর্শনে দেখা যায়,কয়েক বিঘা জমিতে রোপন করা হয়েছে আখের কলম বা চারা গাছ। সারি সারি দুপাশে আইল করে মাঝখানে দুই তিনটা করে পাতা গজিয়েছে চারা আখের।

আইলের উপর বেগুন,টমেটোসহ লাগানো হয়েছে মৌসুমী সবজি গাছ। আখ গাছের পূর্ন বয়স হওয়ার আগে এসব মৌসুমী সবজির ভাল ফলনও পাচ্ছেন স্থানীয় কৃষকরা। বছর দশেক আগেও খাজরা,পিরোজপুর,খালিয়াসহ কয়েকটি গ্রামে আখের চাষ হত চোখে পড়ার মত। এখন শুধু মাত্র খাজরা গ্রামের চার পাঁচজন চাষী আখের চাষ করতে দেখা যায়। তাদেরও লোকসান ও সরকারি সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় আখ চাষে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।

খাজরা গ্রামের আখ চাষী মুনসুর সরদার বলেন,আমি প্রায় ৭বছর ধরে নিয়মিত আখ চাষ করে যাচ্ছি। এবছর প্রায় দুই বিঘা জমিতে আখের চাষ করেছি। আমার প্রতি বিঘা জমিতে চাষ,আইল তৈরীর জন্য শ্রমিক,আখের চারা ক্রয়,কীটনাশকসহ আনুষাঙ্গিক সব মিলে ৫০হাজার টাকা খরচ হবে। যদি ভাল ফলন হয় তবে বাজার মূল্য হিসেবে ১লক্ষ টাকার মত বিক্রি হবে। তিনি আরও আরো জানান,প্রায় বছর আমরা প্রাকৃতিক ক্ষতির মুখে বেশি পড়ি। সে সময় আমাদের লোকসান গুনতে হয়।

আরেক আখ চাষী আনিসুর রহমান জানান,আমিও কয়েক বছর আখ চাষ করছি। আমাদের বড় সমস্য আমরা প্রান্তিক আখ চাষিরা সরকারি কৃষি প্রনোদনার কোন অংশ পাই না। এমনকি কি কৃষি অফিসার আমাদের খোজখবরও নেয় না।
নানা কারনে খাজরা ইউনিয়নের দিন দিন কমে যাচ্ছে আখ চাষির সংখ্যা। নানা প্রতিকূলতা কাটিয়ে এ অঞ্চলের চাষিরা আবারও আখ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি হোক এমন দাবি করেছেন গ্রামবাসী।