কিশোরগঞ্জে ১৯ বস্তা সরকারি বই বিক্রি
- আপডেট সময় : ০৮:৩২:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৩ ৫১ বার পঠিত
নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা চাঁদখানা উচ্চ বিদ্যালয়ের সরকারী ১৯ বস্তা বই গোপনে বিক্রি করেছে প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ভটভটিতে করে ১৯ বস্তা সরকারী বই উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে না জানিয়ে নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে নিজ খেয়াল খুশি মতো বিক্রি করে দেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে কয়েকজন সংবাদকর্মী সেখানে গিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করার সময় সহকারী শিক্ষক মোস্তাফিজার রহমান চলে আসেন। সরকারী বই কোথায় যাচ্ছে বলা হলে তিনি বলেন বই সৈয়দপুরে যাচ্ছে আপনি প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেন। প্রতি বছর সরকারী ভাবে ১ জানুয়ারী সারা দেশব্যাপী বই উৎসব পালন করা হয়। আর বই বিতরণের পূর্বে উপজেলা শিক্ষা অফিসে স্কুল কর্তৃপক্ষ চাহিদার চেয়েও বেশী বই গ্রহন করেন। শিক্ষাথর্ীদের চেয়ে প্রতিবছর যে অতিরিক্ত বই থাকে তা উপজেলা শিক্ষা অফিসে জমা দেয়ার কথা থাকলেও সেই বই ফেরত না দিয়ে স্কৃুলের একটি কক্ষে ফেলে রাখেন কর্তৃপক্ষ। সরকার প্রতি বছর যে পরিমান অর্থ দিয়ে বই ছাপানোর জন্য অর্থ ব্যয় করেন তা যেন চাঁদখানা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চোঁখেই পড়ে না। তারা অতিরিক্ত বই প্রতিবছর গ্রহন করেন বছর শেষে বিক্রির জন্য। আর এসব বই বিক্রি করা হলেও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্ কোন কিছুই জানেন না। বই বিক্রি করার জন্য বা সরকারী সম্পদ বিক্রি করার জন্য রেজুলেশন করার নিয়ম থাকলেও স্কুল কর্তৃপক্ষ কোন কিছুই করতে আগ্রহী নন। উল্টো সহকারী প্রধান শিক্ষক দ্বীপক কুমার রায় বলেন,বই বিক্রি করেছি কি হবে দেখা যাবে। সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন বই বিক্রি করার জন্য কোন চিঠি নিয়েছেন কর্তৃপক্ষের জবাবে তিনি বলেন,আপনাদের যা ইচ্ছে লিখতে পারেন। কোন সমস্যা হলে আমি দেখবো।
প্রধান শিক্ষক মনোয়ার হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,প্রতি বছর শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরাতন বই নিয়ে তাদেরকে নতুন বই দেয়া হয়। আর এসব বই অনেক জমা হয়েছে তাই বিক্রি করে দিয়েছি। রেজুলেশন করেছেন কি না? জবাবে বলেন করি নাই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ টি এম নূরুল আমিন শাহ্ বলেন,বিষয়টি সংবাদকর্মীদের মাধ্যমে জানতে পেরে প্রধান শিক্ষককে কৈফিয়ত তলব (শোকজ) করেছি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে আমি বিষয়টি জানিয়েছি তিনি ব্যবস্থা নিবেন।