ঢাকা ০৩:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

৪২ বছরেও কয়েদির দেখা মেলেনি খোকসা উপকারাগারে

পুলক সরকার-বিশেষ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০১:১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩ ৮৭ বার পঠিত

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উপকারাগার গত ৪২ বছরেও কয়েদির দেখা পায়নি। উপকারাগারটি কয়েদিদের জন্য নির্মাণ করা হলেও সেখানে এখন বসবাস করছে হাঁস-মুরগি আর গরু-ছাগল। তবে কারগারটিকে কিশোর অপরাধ দমনে কিশোর শোধানাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্রে রূপান্তিত করার গুঞ্জন থাকলেও কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি অদ্যাবধি।

প্রায় ২ দশমিক ১২ একর জমির উপর আশির দশকে অত্যন্ত সুরম্য প্রাচীর বেষ্টিত কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এ উপকারাগারটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে কারাগারটি নিয়ন্ত্রণ করে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়। সেখানে সমাজসেবা কার্যালয়ের একজন স্টাফ স্বপরিবারে বসবাস করেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, কারাগারটি যথাযথ ব্যবহার করা হোক।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইট-সিমেন্ট। প্রবেশপথের যেখানে কারারক্ষী থাকার কথা, সেখানে দেখা মেলে দুইটি ছাগল। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই বাম দিকে চোখে পড়ে মহিলা কয়েদির ওয়ার্ড; সেটিও ইট আর বাটামে ভরপুর। ভবনটির একটু সামনে গেলেই পুরুষ ওয়ার্ড। সেখানে রয়েছে কয়েকটি গরু আর গোবর। পাশেই রয়েছে মুরগি পালনের ছোট একটি কক্ষ। হাঁস, মুরগি, গরু আর ছাগল পালনের খামার হিসেবেই বর্তমানে কারাগারটি ব্যবহার করছে জেলা সমাজসেবা অফিসের একজন নাইট গার্ড।

জেলা সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আশির দশকে দেশের ১৭টি জেলায় ২৩টি উপকারাগার নির্মাণ করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর মধ্যে একটি হলো কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার অরক্ষিত এই উপকারাগারটি। কারাগারটি বর্তমানে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই উপকারাগারটিতে রয়েছে একটি প্রবেশপথ, দু’টি কয়েদি রাখার হলরুম, দু’টি সাক্ষাৎকার কক্ষ, একটি স্টোর রুম, দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি অফিস রুম আর তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি কোয়ার্টার। রয়েছে বেশ কয়েকটি টয়লেটও।

উপকারাগারটি নানা জটিলতায় আজও চালু হয়নি। তবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০ বছরের চুক্তিতে বরাদ্দ দিয়েছে।

খোকসা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, উপকারাগারটি কিশোর শোধনাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকার বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ।

কুষ্টিয়ার জেল সুপার আব্দুল বারেক জানান, কিশোর অপরাধ দমনে এই উপকারাগটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীনে দেয়া হয়েছে।

৪২ বছরেও কয়েদির দেখা মেলেনি খোকসা উপকারাগারে

আপডেট সময় : ০১:১১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উপকারাগার গত ৪২ বছরেও কয়েদির দেখা পায়নি। উপকারাগারটি কয়েদিদের জন্য নির্মাণ করা হলেও সেখানে এখন বসবাস করছে হাঁস-মুরগি আর গরু-ছাগল। তবে কারগারটিকে কিশোর অপরাধ দমনে কিশোর শোধানাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্রে রূপান্তিত করার গুঞ্জন থাকলেও কোনো কার্যক্রম চোখে পড়েনি অদ্যাবধি।

প্রায় ২ দশমিক ১২ একর জমির উপর আশির দশকে অত্যন্ত সুরম্য প্রাচীর বেষ্টিত কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় এ উপকারাগারটি নির্মাণ করা হয়। বর্তমানে কারাগারটি নিয়ন্ত্রণ করে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়। সেখানে সমাজসেবা কার্যালয়ের একজন স্টাফ স্বপরিবারে বসবাস করেন। তবে স্থানীয়দের দাবি, কারাগারটি যথাযথ ব্যবহার করা হোক।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেয়াল থেকে খসে পড়ছে ইট-সিমেন্ট। প্রবেশপথের যেখানে কারারক্ষী থাকার কথা, সেখানে দেখা মেলে দুইটি ছাগল। মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই বাম দিকে চোখে পড়ে মহিলা কয়েদির ওয়ার্ড; সেটিও ইট আর বাটামে ভরপুর। ভবনটির একটু সামনে গেলেই পুরুষ ওয়ার্ড। সেখানে রয়েছে কয়েকটি গরু আর গোবর। পাশেই রয়েছে মুরগি পালনের ছোট একটি কক্ষ। হাঁস, মুরগি, গরু আর ছাগল পালনের খামার হিসেবেই বর্তমানে কারাগারটি ব্যবহার করছে জেলা সমাজসেবা অফিসের একজন নাইট গার্ড।

জেলা সমাজসেবা অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আশির দশকে দেশের ১৭টি জেলায় ২৩টি উপকারাগার নির্মাণ করেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মরহুম হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। এর মধ্যে একটি হলো কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার অরক্ষিত এই উপকারাগারটি। কারাগারটি বর্তমানে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের খোকসা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থিত। এই উপকারাগারটিতে রয়েছে একটি প্রবেশপথ, দু’টি কয়েদি রাখার হলরুম, দু’টি সাক্ষাৎকার কক্ষ, একটি স্টোর রুম, দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি অফিস রুম আর তিন কক্ষবিশিষ্ট একটি কোয়ার্টার। রয়েছে বেশ কয়েকটি টয়লেটও।

উপকারাগারটি নানা জটিলতায় আজও চালু হয়নি। তবে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক সমাজসেবা মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩০ বছরের চুক্তিতে বরাদ্দ দিয়েছে।

খোকসা উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা হাসানুজ্জামান জানান, উপকারাগারটি কিশোর শোধনাগার বা উন্নয়ন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বিভাগীয় কার্যালয়ের মাধ্যমে সরকার বরাবর প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে ।

কুষ্টিয়ার জেল সুপার আব্দুল বারেক জানান, কিশোর অপরাধ দমনে এই উপকারাগটি কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্রে রূপান্তরিত করে সমাজসেবা কার্যালয়ের অধীনে দেয়া হয়েছে।