ঢাকা ০৮:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ভুয়া পুলিশ অফিসার সেজে, আসল পুলিশের সাথে প্রতারণা

রফিকুল ইসলাম রনজু-কুড়িগ্রাম:
  • আপডেট সময় : ০৮:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩ ১১১ বার পঠিত

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে, প্রতারণার অভিযোগে আতানুর রহমান নামের একজন ভুয়া পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আতানুর রহমান নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনে, আতানুর রহমান নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে থানার সার্বিক অবস্থা জানতে চায় এবং থানায় কতটি অভিযোগ সকাল থেকে দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য চায়। একপর্যায়ে অভিযোগকারীদের নাম এবং মোবাইল নাম্বার জানতে চাইলে দ্বায়িত্বরত থানার এএসআই সরল বিশ্বাসে সকল অভিযোগকারীর নাম এবং মোবাইল নাম্বার উক্ত পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তিকে দেন। একই দিন সন্ধ্যার দিকে একজন অভিযোগকারী নাগেশ্বরী থানার মুন্সির কাছে এসে বলে ওসি স্যার ফোন করেছিল খরচের টাকার জন্য। একবার ২ হাজার টাকা বিকাশ করলাম আবার টাকা চাচ্ছে।

পুলিশ আরও জানায়,বিষয়টি মুন্সির সন্দেহ হওয়ায় মুন্সি নাম্বার সংগ্রহ করে যে নাম্বার থেকে কল করা হয়েছিল সেই নম্বরে কল দিতে থাকে। অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেয় প্রতারক ব্যক্তি। একপর্যায়ে কল ব্যাক করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কন্ঠে মুন্সিকে বলে “এই মুন্সি বারবার কেটে দিচ্ছি তবু কল দিচ্ছেন কেন, রেখে দাও ” কন্ঠ শুনে মুন্সি ও বিপাকে পড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওসি থানায় আসলে মুন্সি জিজ্ঞেস করে স্যার আপনি আমার সঙ্গে কথা বললেন না? তখন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) না কথা তো বলিনি, বিষয়টি জানার পরে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি একটি অভিনব প্রতারণার ঘটনা বুঝতে পেরে ওই দিন রাতে থানায় সকল অভিযোগকারীর মোবাইল নাম্বারে কল দিতে বলেন। তিনজন অভিযোগকারী একই ঘটনার বর্ণনা দেন এবং একই ভাবে কল এবং একই বিকাশে টাকা দিয়েছেন মর্মে জানান। পরে মোবাইল নাম্বার এবং বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, প্রতারক চক্রটি অভিনব কৌশল অবলম্বন করে কয়েকজন সম্মানিত নাগরিকদের কাছথেকে বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা নিয়েছিলো। পরবর্তীতে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ প্রতারক চক্রটির মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, এই বিষয়ে তদন্ত ও অভিযান চলমান আছে এবং থাকবে ।

ভুয়া পুলিশ অফিসার সেজে, আসল পুলিশের সাথে প্রতারণা

আপডেট সময় : ০৮:১০:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলায় পুলিশ ও সাধারণ মানুষের সাথে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে, প্রতারণার অভিযোগে আতানুর রহমান নামের একজন ভুয়া পুলিশকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত আতানুর রহমান নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা।

পুলিশ জানায়, নাগেশ্বরী থানার ডিউটি অফিসারের সরকারি মোবাইল ফোনে, আতানুর রহমান নিজেকে পুলিশ অফিসার পরিচয় দিয়ে থানার সার্বিক অবস্থা জানতে চায় এবং থানায় কতটি অভিযোগ সকাল থেকে দায়ের হয়েছে সে বিষয়ে তথ্য চায়। একপর্যায়ে অভিযোগকারীদের নাম এবং মোবাইল নাম্বার জানতে চাইলে দ্বায়িত্বরত থানার এএসআই সরল বিশ্বাসে সকল অভিযোগকারীর নাম এবং মোবাইল নাম্বার উক্ত পুলিশ পরিচয়ধারী ব্যক্তিকে দেন। একই দিন সন্ধ্যার দিকে একজন অভিযোগকারী নাগেশ্বরী থানার মুন্সির কাছে এসে বলে ওসি স্যার ফোন করেছিল খরচের টাকার জন্য। একবার ২ হাজার টাকা বিকাশ করলাম আবার টাকা চাচ্ছে।

পুলিশ আরও জানায়,বিষয়টি মুন্সির সন্দেহ হওয়ায় মুন্সি নাম্বার সংগ্রহ করে যে নাম্বার থেকে কল করা হয়েছিল সেই নম্বরে কল দিতে থাকে। অপর প্রান্ত থেকে বারবার কল কেটে দেয় প্রতারক ব্যক্তি। একপর্যায়ে কল ব্যাক করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কন্ঠে মুন্সিকে বলে “এই মুন্সি বারবার কেটে দিচ্ছি তবু কল দিচ্ছেন কেন, রেখে দাও ” কন্ঠ শুনে মুন্সি ও বিপাকে পড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই ওসি থানায় আসলে মুন্সি জিজ্ঞেস করে স্যার আপনি আমার সঙ্গে কথা বললেন না? তখন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) না কথা তো বলিনি, বিষয়টি জানার পরে নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি একটি অভিনব প্রতারণার ঘটনা বুঝতে পেরে ওই দিন রাতে থানায় সকল অভিযোগকারীর মোবাইল নাম্বারে কল দিতে বলেন। তিনজন অভিযোগকারী একই ঘটনার বর্ণনা দেন এবং একই ভাবে কল এবং একই বিকাশে টাকা দিয়েছেন মর্মে জানান। পরে মোবাইল নাম্বার এবং বিকাশ নাম্বারের সূত্র ধরে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।

কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মোঃ রুহুল আমীন বলেন, প্রতারক চক্রটি অভিনব কৌশল অবলম্বন করে কয়েকজন সম্মানিত নাগরিকদের কাছথেকে বিকাশ এর মাধ্যমে টাকা নিয়েছিলো। পরবর্তীতে নাগেশ্বরী থানা পুলিশ প্রতারক চক্রটির মূলহোতাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। এর সাথে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা, এই বিষয়ে তদন্ত ও অভিযান চলমান আছে এবং থাকবে ।