ঢাকা ০২:৫৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

পাংশায় পূর্ব শত্রুতার সমাধানে করতে গিয়ে চেয়ারম্যানের সামনে গুলি বর্ষণ

বিশেষ প্রতিনিধি।
  • আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩ ১২১ বার পঠিত

রাজবাড়ীর পাংশায় পূর্ব শত্রুতার মিমাংসা করতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সামনে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ হয়নি বলে জানায় পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জান যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাবাড়ী গ্রামের চাদুর ছেলে সজল(২৫) ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুঁইজোর গ্রামের রাজার ছেলে সিহাব (৩২)এর মধ্যে মারামারি হয়। গত রোববার ইউনিয়নের পুঁইজোর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসার কথা হয়। সোমবার সকালে মিমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সজল একটি অস্ত্র দিয়ে সিহাবকে লক্ষ করে দুইটি গুলি করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত সাবাইকে ধরতে বললে সজল পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে ইউপি চেয়ারম্যান।

এ ঘটানায় সরেজমিনে গিয়ে সজল ও সিহাব কেউকেই পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায় ইউনিয়ন পরিষদে গুলা-গুলি হওয়ার পর থেকে কাউকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, একটি মেয়েলি বিষয় নিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধানের জন্য দুই পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়। সেখানেও দুই পক্ষের মধ্যে গালা-গালি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে সজল একটি অস্ত্র দিয়ে লক্ষ করে দুইটি গুলি করে।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দুলাল শেখ বলেন, পূর্বের মারামারির বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানের গুলি করার ঘটনা ঘটে। তেনা দিয়ে মোড়ানো একটি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে সজল। দুইটি ফায়ার করেছে একটিও ফোটে নাই, শুধু ধোয়া বের হয়েছে। পরে সবাই সজলকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস বলেন, পূর্বের একটি মারামারির ঘটনার সমাধানের জন্য দুই পক্ষ আমার কাছে ইউনিয়ন পরিষদে আসে। আমি পরিষদের কাজে একটু ব্যস্ত থাকায় তার পরিষদের হলরুমে বসতে বালি। পরে বাহিরে চেচামেচি শুনে রুম থেকে বেরিয়ে দেখি দুই পক্ষের মধ্যে হাতা-হাতি মারামারি শুরু হয়েছে। এক পর্যায়ে সজল, সিহাবকে লক্ষ্য করে দুইটা গুলি করে পালিয়ে যায়। তবে ফোটে নাই, শুধু ধোয়া বের হয়েছে। বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ আসে। এ সময় সজলের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল, মোটরসাকেলের সাথে থাকা একটি ব্যাগে পাওয়া একটি হাতুর ও একটি হামাড় পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়।

পাংশা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেল থানায় এসে রাথা হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।

পাংশায় পূর্ব শত্রুতার সমাধানে করতে গিয়ে চেয়ারম্যানের সামনে গুলি বর্ষণ

আপডেট সময় : ১০:৫৩:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৩

রাজবাড়ীর পাংশায় পূর্ব শত্রুতার মিমাংসা করতে গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের সামনে গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদে চত্বরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ হয়নি বলে জানায় পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জান যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গোলাবাড়ী গ্রামের চাদুর ছেলে সজল(২৫) ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পুঁইজোর গ্রামের রাজার ছেলে সিহাব (৩২)এর মধ্যে মারামারি হয়। গত রোববার ইউনিয়নের পুঁইজোর বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের ইউপি সদস্যের সমন্বয়ে ইউনিয়ন পরিষদে মিমাংসার কথা হয়। সোমবার সকালে মিমাংসার জন্য ইউনিয়ন পরিষদে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সজল একটি অস্ত্র দিয়ে সিহাবকে লক্ষ করে দুইটি গুলি করে। এ সময় ইউপি চেয়ারম্যান উপস্থিত সাবাইকে ধরতে বললে সজল পালিয়ে যায়। পরে বিষয়টি থানা পুলিশকে অবগত করে ইউপি চেয়ারম্যান।

এ ঘটানায় সরেজমিনে গিয়ে সজল ও সিহাব কেউকেই পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায় ইউনিয়ন পরিষদে গুলা-গুলি হওয়ার পর থেকে কাউকে এলাকায় দেখা যাচ্ছে না।

৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বলেন, একটি মেয়েলি বিষয় নিয়ে নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে সমাধানের জন্য দুই পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদে হাজির হয়। সেখানেও দুই পক্ষের মধ্যে গালা-গালি ও হাতাহাতি হয়। এক পর্যায়ে সজল একটি অস্ত্র দিয়ে লক্ষ করে দুইটি গুলি করে।

৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. দুলাল শেখ বলেন, পূর্বের মারামারির বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানের কাছে গিয়েছিলাম। সেখানের গুলি করার ঘটনা ঘটে। তেনা দিয়ে মোড়ানো একটি অস্ত্র দিয়ে গুলি করে সজল। দুইটি ফায়ার করেছে একটিও ফোটে নাই, শুধু ধোয়া বের হয়েছে। পরে সবাই সজলকে ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে পাট্টা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রব মুনা বিশ্বাস বলেন, পূর্বের একটি মারামারির ঘটনার সমাধানের জন্য দুই পক্ষ আমার কাছে ইউনিয়ন পরিষদে আসে। আমি পরিষদের কাজে একটু ব্যস্ত থাকায় তার পরিষদের হলরুমে বসতে বালি। পরে বাহিরে চেচামেচি শুনে রুম থেকে বেরিয়ে দেখি দুই পক্ষের মধ্যে হাতা-হাতি মারামারি শুরু হয়েছে। এক পর্যায়ে সজল, সিহাবকে লক্ষ্য করে দুইটা গুলি করে পালিয়ে যায়। তবে ফোটে নাই, শুধু ধোয়া বের হয়েছে। বিষয়টি থানায় অবগত করলে পুলিশ আসে। এ সময় সজলের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেল, মোটরসাকেলের সাথে থাকা একটি ব্যাগে পাওয়া একটি হাতুর ও একটি হামাড় পুলিশ হেফাজতে দেওয়া হয়।

পাংশা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) সেলিম হোসেন বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সেখান থেকে একটি মোটরসাইকেল থানায় এসে রাথা হয়েছে।

রাজবাড়ী জেলা পুলিশের সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) সুমন কুমার সাহা বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।