কেশবপুরে প্রতিবন্ধী মেয়েকে ধর্ষনের ঘটনায় ধর্ষককে আটক করেছে থানা পুলিশ। এব্যাপার ৫ মাসের অন্তস্বত্বা প্রতিবন্ধি বাদী হয়ে ধর্ষক ইমনকে আসামী করে কেশবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।

যার নং-৭ ইং-তাং-১৫/১০/২০২৩,১৭ বছর বয়সী এক প্রতিবন্ধি মেয়েকে ধর্ষণের সাথে জড়িত ইমন (২২) কে সােমবার ১৬ অক্টোবর থানা পুলিশ আটক করেন।
মামলা ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, উপজেলার ৩নং মজিদপুর ইউনিয়নের শিকারপুর গ্রামের রফিক সরদারের ছেলে ইমন সরদার (২২) গত মাস পূর্বে একই গ্রামের (তাদের বাড়ির পাশে) এক ভিক্ষুকের প্রতিবন্ধি কন্যাকে বিয়ের প্রলােভন দেখিয়ে তার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তােলে। এক পর্যায়ে সে প্রায়ই রাতে তাদের বাড়িতে যেয়ে ওই মেয়ের সাথে দৈহিক মেলা-মেশা করে আসছিলাে। এরই মধ্যে ওই প্রতিবন্ধি কন্যা ৫ মাসের অন্তস্বত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ইমনকে জানালে সে তাকে বিয়ে করবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে। এব্যাপারে মুখ না খুলতে তাদেরকে হুমকি দিয়েছে ধর্ষক ইমন। উপায় না পেয়ে মেয়ের পিতা, ইমনসহ তার পিতা রফিক সরদারকে তার মেয়েকে বিয়ে করে ঘরে তুলে নিতে অনুরােধ করলেও কর্ণপাত করেনি তারা। এরপর এলাকার ইউপি সদস্য মনিরুজ্জামান মনিকে বিষয়টি জানালে সে বিচারের আশ্বাস দিয়েও তাদেরকে ঘুরাতে থাকে। পরবর্তিতে ঘটনাটি সবার মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে।

অবশেষে গত ১৫ অক্টােবর এঘটনায় ধর্ষিতা (ওই প্রতিবন্ধি কন্যা) ইমনকে আসামী করে কেশবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করলে, থানা পুলিশ সােমবার সকালে ১৬ অক্টােবর অভিযান চালিয়ে ইমনকে তাদের বাড়ি থেকে আটক করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জুয়েল বলেন, প্রতিবন্ধি মেয়েকে বিয়ের প্রলোভোন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করার ফলে সে ৫ মাসের অন্তস্বত্বা হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে ধর্ষক ইমনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।