ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

কেশবপুরে দাখিল পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ে দু মাদ্রাসার শিক্ষক -কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হচ্ছে

আজিজুর রহমান-কেশবপুর(যশোর):
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১০৫ বার পঠিত

এ বছর দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ১০ শতাংশের কম হওয়ায় যশোরের কেশবপুরে দু’টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

ফল বিপর্যয়ের কারণে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সারাদেশে এই তালিকায় রয়েছে ২৯ টি মাদ্রাসা।

কেশবপুরের দু’টি হচ্ছে, কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসা। এই দু’টি মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম পরীক্ষার্থী পাস করেছে।

যার‘ফল বিপর্যয়’বলে মনে করছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ত্রিমোহনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৮.৩৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে। এছাড়া, শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসা থেকে পাস করে ৯.০৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী।

এ ধরনের ফলাফলের কারণে ইতিমধ্যে এই দু’টি মাদ্রাসার সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে,‘২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষায় ত্রিমোহনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পাস করে মাত্র ৮.৩৩ শতাংশ। যা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৫.৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। আপনার প্রতিষ্ঠানের এহেন কর্মকাণ্ড মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

এমতাবস্থায় দাখিল পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীগণের এমপিও সাময়িক স্থগিত/স্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’এই পত্রের স্মারক নম্বর ৫৭.২৫.০০০০.০০২.০১০.০০১.২০-৮২৬। তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩। একই ধরনের পত্র দেয়া হয়েছে শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসার সুপারকেও।

এই মাদ্রাসা থেকে এ বছর ১১ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পাস করে ৯.০৯ শতাংশ।
কারণ দর্শানো পত্রের অনুলিপি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা শিক্ষা অফিসার ও কেশবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদান করা হয়েছে।

ট্যাগস :

কেশবপুরে দাখিল পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ে দু মাদ্রাসার শিক্ষক -কর্মচারীদের বেতন বন্ধ হচ্ছে

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:৩২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

এ বছর দাখিল পরীক্ষায় পাসের হার ১০ শতাংশের কম হওয়ায় যশোরের কেশবপুরে দু’টি মাদ্রাসার শিক্ষকদের বেতন বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর।

ফল বিপর্যয়ের কারণে এই উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ। সারাদেশে এই তালিকায় রয়েছে ২৯ টি মাদ্রাসা।

কেশবপুরের দু’টি হচ্ছে, কেশবপুর উপজেলার ত্রিমোহিনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা ও শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসা। এই দু’টি মাদ্রাসা থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ১০ শতাংশের কম পরীক্ষার্থী পাস করেছে।

যার‘ফল বিপর্যয়’বলে মনে করছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তর থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী, এ বছর দাখিল পরীক্ষায় ত্রিমোহনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ৮.৩৩ শতাংশ পরীক্ষার্থী পাস করে। এছাড়া, শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসা থেকে পাস করে ৯.০৯ শতাংশ পরীক্ষার্থী।

এ ধরনের ফলাফলের কারণে ইতিমধ্যে এই দু’টি মাদ্রাসার সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানো নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে,‘২০২৩ সালের দাখিল পরীক্ষায় ত্রিমোহনী দারুল ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ১২ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পাস করে মাত্র ৮.৩৩ শতাংশ। যা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (মাদ্রাসা) জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮ (২৩ নভেম্বর ২০২০ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ৫.৪ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি। আপনার প্রতিষ্ঠানের এহেন কর্মকাণ্ড মাদ্রাসা অধিদপ্তরের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে।

এমতাবস্থায় দাখিল পরীক্ষায় ফলাফল বিপর্যয়ের কারণে আপনার প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক-কর্মচারীগণের এমপিও সাময়িক স্থগিত/স্থায়ীভাবে বন্ধের সিদ্ধান্ত কেন গ্রহণ করা হবে না সে মর্মে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর জবাব প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।’এই পত্রের স্মারক নম্বর ৫৭.২৫.০০০০.০০২.০১০.০০১.২০-৮২৬। তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩। একই ধরনের পত্র দেয়া হয়েছে শ্রীফলা কালিয়ারহী দাখিল মাদ্রাসার সুপারকেও।

এই মাদ্রাসা থেকে এ বছর ১১ জন পরীক্ষার্থী দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এদের মধ্যে পাস করে ৯.০৯ শতাংশ।
কারণ দর্শানো পত্রের অনুলিপি কেশবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা শিক্ষা অফিসার ও কেশবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে প্রদান করা হয়েছে।