ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: প্রধান আসামি বাবুর জবানবন্দি নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ

মো: আলা আমিন, জামালপুর :
  • আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৬৭ বার পঠিত

জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার প্রধান আসামি বহিস্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর রিমান্ড জবানবন্দি নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও বাদি পক্ষের আইনজীবী।

আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও আইনজীবীসহ সাংবাদিকরা। সেই সাথে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর ফের রিমান্ড ও তার ছেলে রিফাতকে গ্রেফতাদের দাবি জানান তারা।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ইউসূফ আলী বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান বাবুর স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির কথা বলা হয়েছিলো। কোর্ট প্রাঙ্গনে আমরাও ছিলাম। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের রুম থেকে আমাদের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে তিনি আমাদের জানান, আসামি বাবু নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। কিন্তু এটি ছিলো একটি মিথ্যাচার।

আমরা বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পরেছি এবং আমরা নিশ্চিত হয়েছি। বাবু হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আছেন এই মর্মে একটি শব্দও বলেন নি। তিনি তো জড়িত নই এবং তিনি বলেছেন তার ছেলে রিফাত সেদিন জামালপুরে ছিলো না, সে ১০ দিন আগে থেকেই ঢাকায় ছিলো। বাবু পুরোপুরি এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে অস্বীকার করেছে। তবুও তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের কাছে স্বীকারোক্তির কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি ভিন্ন ক্ষাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবং পরবর্তীকে বাবু চেয়ারম্যানকে দ্বিতীয়বার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদের চেষ্টাও তিনি করেন নি। এতেই প্রমানিত হয় সরাসরি তদন্ত কর্মকর্তা প্রধান আসামি বাবুকে বাচানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

অনশনে অংশ নিয়ে জামালপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিথ্যাচার করেছে। আমরা বাদি পক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে জানতে পারলাম৷ চেয়ারম্যান বাবু কোনো স্বীকারোক্তি দেয়নি। আমরা আবারও বাবু চেয়ারম্যানকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য দাবি জানাই। বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরাচ্ছে। কিন্তু সে গ্রেফতার হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা পুলিশকেই দিতে হবে। ঘটনার তিন মাস হয়ে গেলো কিন্তু মামলার কোনো অগ্রগতি নেই, টালবাহানা করছে। এক মাসের ভেতর চার্জসিট দেওয়ার কথা হয়েছিলো আমাদের সাথে। কিন্তু আমাদের কোনো কথা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী রাখেনি। আমরা জানি এই মামলায় দ্রুত বিচার হওয়ার কথা। কিন্তু আসামিরা একজনের পর একজন জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে।

নাদিম হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বকশিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বলেন, মামলাটি প্রথমে আমি আইও ছিলাম। পরে জেলা ডিবির ইনচার্জকে আইও করা হয়েছে। এখন আবার মামলাটি সিআইডির কাছে রয়েছে৷ গ্রেফতার বাবু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাবু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে আমরা জানি।

ট্যাগস :

সাংবাদিক নাদিম হত্যা: প্রধান আসামি বাবুর জবানবন্দি নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:৪৬:৩৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

জামালপুরে সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার প্রধান আসামি বহিস্কৃত চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর রিমান্ড জবানবন্দি নিয়ে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও বাদি পক্ষের আইনজীবী।

আজ বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল জামালপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে অনশনে বসে এ অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পরিবার ও আইনজীবীসহ সাংবাদিকরা। সেই সাথে প্রধান আসামি মাহমুদুল আলম বাবুর ফের রিমান্ড ও তার ছেলে রিফাতকে গ্রেফতাদের দাবি জানান তারা।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ইউসূফ আলী বলেন, সাংবাদিক নাদিম হত্যার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান বাবুর স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দির কথা বলা হয়েছিলো। কোর্ট প্রাঙ্গনে আমরাও ছিলাম। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট সাহেবের রুম থেকে আমাদের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বেরিয়ে এসে তিনি আমাদের জানান, আসামি বাবু নিজেকে জড়িয়ে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। কিন্তু এটি ছিলো একটি মিথ্যাচার।

আমরা বিশ্বস্তসূত্রে জানতে পরেছি এবং আমরা নিশ্চিত হয়েছি। বাবু হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত আছেন এই মর্মে একটি শব্দও বলেন নি। তিনি তো জড়িত নই এবং তিনি বলেছেন তার ছেলে রিফাত সেদিন জামালপুরে ছিলো না, সে ১০ দিন আগে থেকেই ঢাকায় ছিলো। বাবু পুরোপুরি এই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার বিষয়ে অস্বীকার করেছে। তবুও তদন্ত কর্মকর্তা আমাদের কাছে স্বীকারোক্তির কথা বলেছেন।

তিনি আরও বলেন, আমি মনে করি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলাটি ভিন্ন ক্ষাতে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এবং পরবর্তীকে বাবু চেয়ারম্যানকে দ্বিতীয়বার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞেসাবাদের চেষ্টাও তিনি করেন নি। এতেই প্রমানিত হয় সরাসরি তদন্ত কর্মকর্তা প্রধান আসামি বাবুকে বাচানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

অনশনে অংশ নিয়ে জামালপুর প্রেস ক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মিথ্যাচার করেছে। আমরা বাদি পক্ষে আইনজীবীর মাধ্যমে জানতে পারলাম৷ চেয়ারম্যান বাবু কোনো স্বীকারোক্তি দেয়নি। আমরা আবারও বাবু চেয়ারম্যানকে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি নেওয়ার জন্য দাবি জানাই। বাবু চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেরাচ্ছে। কিন্তু সে গ্রেফতার হচ্ছে না। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলা পুলিশকেই দিতে হবে। ঘটনার তিন মাস হয়ে গেলো কিন্তু মামলার কোনো অগ্রগতি নেই, টালবাহানা করছে। এক মাসের ভেতর চার্জসিট দেওয়ার কথা হয়েছিলো আমাদের সাথে। কিন্তু আমাদের কোনো কথা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী রাখেনি। আমরা জানি এই মামলায় দ্রুত বিচার হওয়ার কথা। কিন্তু আসামিরা একজনের পর একজন জামিনে বের হয়ে যাচ্ছে।

নাদিম হত্যা মামলার প্রথম তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বকশিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল রানা বলেন, মামলাটি প্রথমে আমি আইও ছিলাম। পরে জেলা ডিবির ইনচার্জকে আইও করা হয়েছে। এখন আবার মামলাটি সিআইডির কাছে রয়েছে৷ গ্রেফতার বাবু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, বাবু স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে আমরা জানি।