রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে বিশাল জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) মৃগী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।

মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ আবুল হোসেন জোয়াদ্দারের সভাপতিতে ও ইউনিয়ন আওয়ামী রীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম বাদশার সঞ্চালনায় জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম, অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থি ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য মো. রেজাউল হক (রেজা), বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজবাড়ী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম শফিকুল মোরশেদ আরুজ, বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, কালুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানমো. আলিউজ্জামান চৌধুরী (টিটো), কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আতিউর রহমান নবাব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুড়ো, জেলা পরিষদের সদস্য গোবিন্দ কুমার কুন্ডু, ইউসুফ হোসেন মোল্লা, কালুখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল ইসলাম খায়ের, মৃগী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৃগী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এম এম মতিন, পাংশা পৌরসভার মেয়র মো. ওয়াজেদ আলী মন্ডল, রাজবাড়ী জেলা আওয়মামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক এ্যাড. শফিকুল
ইসলাম শফিক সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

বিশাল এ জনসভায় জেলার কালুখালী, বালিয়াকান্দি ও পাংশা উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দুপুর ১২ টা থেকে মোটরসাইকেল শোডাউন নিয়ে দলে দলে যোগদান করেন।
বিশাল এ জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাজবাড়ী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও রাজবাড়ী-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জিল্লুল হাকিম বলেন, আমি নিরলশ ভাভে চেষ্টা করে যাচ্ছি, আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষ যেন ভালোথাকে।

যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন ভালো হয়। আপনারা যেন নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে বিদ্যুৎ পান। আপনারদের স্কুল, কলেজ ও রাস্তাঘাটের যেন উন্নয়ন হয়। ব্রীজ কালভাটের
যেন উন্নয়ন হয় এবং প্রতিটা ক্ষেত্রেই আপনাদের সহযোগীতা করার চেষ্টাকরেছি।

এমপি অনেকেই হয়েছে? আপনারা জানেন এবং দেখেছেন, কেউ কিন্তু নিজের আখেঁর গোছানো ছাড়া মানুষের ভালো রাখার জন্যে এলাকার উন্নয়নের
জন্যে কোন চেষ্টা করে নাই। আমি আমার সরকার প্রধানের কাছে আপনারদের দাবি- দাওয়া ও সমস্যগুলো তুলে ধরে সেগুলো আদায় করে নিয়ে এসে কাজ করেছি।
বাংলাদেশ সরকারের মানোনীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের যেন সম্মানের সাথে বেচে থাকতে পারে যে জন্য বয়স্ক মানুষের জন্য ভাতার ব্যবস্থা
করেছেন। বিধবা মানুষদের জন্য বিধবা ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।  প্রতিবন্দীদের  ভাতার ব্যবস্থা এবং চাকরির জন্য কোঠার ব্যবস্থা করেছেন। শিক্ষার্থীদের বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে নতুন বই ও শিক্ষাবৃত্তির ভাতার ব্যবস্থা করেছেন।

মাতৃকালিণ ভাতার ব্যবস্থা করেছেন। যে মানুষের কোন ঠিকানা নাই, মাথা গোজার ঠাই নাই সে মানুষের জন্য জমি সহ একটি করে ঘরের ব্যবস্থা করেছেন।
যারা দুই বেলা খাওয়ার সমর্থ নাই তাদের জন্য ১০ টাকা কেজি চাল কিনার ব্যবস্থা করেছেন। বিএনপির আমালে এসব কোন ভাতা আপনারা পেয়েছেন? পান নাই। অথচ
বিএনপির লোকজন চার দোকানে বসে বরো বরো কথা বলে। চার দোকানে বিএনপির কথা বলা বন্ধ করতে হবে। আপনার চার দোকান দখল করেন। আগামী দ্বাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত এই সরকার মানুষের ভালোর জন্যে যাকিছু করেছেযত উন্নয়ন করেছে সবকিছু তুলে ধরে মানুষের কাছে প্রচার করেন। চার দোকান
দখল করলে আগামী নির্বাচনে জিতা অনতত ৪০% হয়ে যাবে। ত্রুটি আছে আমাদের-শেখ হাসিনার কোন ত্রুটি নাই বলে জানান তিনি।