ঢাকা ১০:৩৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে ইবি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ লক্ষ্মীপুরে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাঘাট সংস্কার সাতক্ষীরা উপকূলে বিশ্ব জলবায়ু ধর্মঘট কর্মসূচী পালিত বালিয়াকান্দিতে এ্যাসেডের উদ্যোগে বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচী পালিত ভোলা প্রেসক্লাবে গনমাধ্যম কর্মীদের সাথে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি মত বিনিময়  আত্রাইয়ে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানে ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ নাগেশ্বরী উপজেলা বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের কমিটি গঠন পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম

নিষেধাজ্ঞা সত্বেও সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে থ্রী-হুইলার

মাসুদুর রহমান রুবেল- ঢাকা:
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩ ২০৭ বার পঠিত

থ্রি-হুইলার যানবাহন যার মধ্যে রয়েছে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা, মাহিন্দ্র কিংবা ইজিবাইক । যা মহাসড়াকে চলাচলে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এমন নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া থ্রি-হুইলার। এতে করে প্রতিদিনই মহাসড়াকে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বড় বড় দূর্ঘটনার খবর মাঝে মধ্যেই পাওয়ায় গেলেও ছোট ছোট ঘটনার খবর বেশিরভাগ থাকে অজানা। প্রশাসনের ঢিলেঢালা নজরদারির কারণে অবাধে বেড়েছে এসব অবৈধ যান বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঢাকার আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা, বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর এবং নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা যায় এই থ্রি-হুইলাকে। সড়কের এমন চিত্র কিন্তু শুধু আজকের নয়, প্রতিদিনের। এতে করে একদিকে যেমন যান-জটের দুর্ভোগ, অন্যদিকে বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনা।

ঢাকার আশুলিয়া একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষের বসবাস এই আশুলিয়ায়। যাদের বেশিরভাগ হচ্ছে পোশাক শ্রমিক। অন্য পেশার মানুষও কিন্তু কম নয়। এর মধ্যে অনেকেই মহাসড়কে চলাচলরত অবৈধ থ্রি-হুইলার চালানোকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। আবার কিছু ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক কিশোর। অল্প বয়সী এই ধরনের চালক নিজেকে মনে করেন পাইলট। অটোরিকশার অধিকাংশ চালকই বড় বড় যানবাহনকে সাইট দিতে চাই না।

ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্বাধীনভাবে চলাচল করা এই থ্রি-হুইলার চালকদের নেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ। লাইসেন্সের তো প্রশ্নই ওঠে না। এমন কয়েকজন চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা মহাসড়কের চলাচলের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপরে জানেন। অনেকে একটু বাড়তি ভাড়ার লোভে মহাসড়কে আসেন। অনেকে আবার যাত্রীর চাপের মুখে আসতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে সোহেল রানা নামের এক থ্রি-হুইলার চালক বলেন, আমি জানি হাইওয়েতে গাড়ী চালানো নিষেধ। তবে রাতের বেলায় গাড়ী ধরে না,তাই এসেছি। তবে আগে বেশি ধরতো, এখন পুলিশে গাড়ী কম ধরে। ব্যাটারী চালিত এক ভ্যান চালক বলেন, আমি জানি মহাসড়কে গাড়ী চালানো নিষেধ, কিন্তু ভাড়া পেয়েছি তাই এসেছি। তবে আমি তেমন আসিনা।

অন্যদিকে র্দীঘদিন যাবৎ মহাসড়কে অবৈধ এই অটোরিকশা বা ভ্যান সড়কে চলারচলের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন বিভিন্ন রিকশা-ভ্যান শ্রমিক সংগঠন।এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের প্রধান দাবী হচ্ছে মেইন রাস্তার পাশ দিয়ে আলাদা লেন চালু করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে আমাদের রাস্তায় কোনো বাধা দেওয়া চলবে না। তৃতীয় দাবি হচ্ছে আমাদের গাড়ীর লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিকশায় চলাচল করা বাদশা মিয়া জানান, কাছে কোথাও যেতে হলে আসলে রিকশা ব্যবহার করি। কিন্তু মহাসড়কে তারা যেভাবে গাড়ী টানে তাতে আসলে ঝুকি রয়েই যায়। কিন্তু কি করবো স্বল্প দুরত্বের জন্য আসলে বাসে উঠতে ইচ্ছে করে না। তাই আসলে রিকশায় উঠতে হয়।

প্রতিনিয়ত রিকশায় চলাচল করা মাফুজা রহমান নামের এক যাত্রী জানান, অটোরিকশা চড়লে অনেকটা ভয়ে থাকতে হয়। কারন একজন অটোরিকশা চালক কিন্তু প্রশিক্ষন প্রাপ্ত না। গাড়িটা কত গতিতে চললে পিছনের গাড়ির কোন সমস্যা হবে না এটা তারা জানেই না বললেই চলে। একটা বড় গাড়ী ৪০ থেকে ৬০ মাইলেজ বেগে আসতেছে ঠিক তখন যদি ১০থেকে ২০ মাইলেজ গতির একটা অটোরিকশা হুট করেই বড় গাড়িটার সামনে দাড়াই গেলো তখন ঔ গাড়ীটার কি অবস্থা। আবার অনেক সময় একটু জ্যাম দেখলেই ফুটপাতে তুলে দেয়। রাস্তা ভাংগা আছে নাকি তার দিকে খেয়াল না করেই ভোঁ টান মারে এরা। সব মিলে রিকশায় উঠলে মনে ভয় নিয়ে উঠতে হয়।

মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলের ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবুল হাসান বলেন, বর্তমানে জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের রেকারিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যার ফলে মহাসড়কে অটোরিকশা বা থ্রি-হুইলারের চলাচল বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আমাদের ই-প্রসিকিউশন ব্যবস্থা এখনো চালু আছে। বর্তমানে শুধু মাত্র ই-প্রসিকিউশনের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি।

ট্যাগস :

নিষেধাজ্ঞা সত্বেও সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে থ্রী-হুইলার

আপডেট সময় : ১০:৪১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৩

থ্রি-হুইলার যানবাহন যার মধ্যে রয়েছে ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা, মাহিন্দ্র কিংবা ইজিবাইক । যা মহাসড়াকে চলাচলে রয়েছে নিষেধাজ্ঞা। কিন্তু এমন নিষেধাজ্ঞাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মহাসড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বেপরোয়া থ্রি-হুইলার। এতে করে প্রতিদিনই মহাসড়াকে ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। বড় বড় দূর্ঘটনার খবর মাঝে মধ্যেই পাওয়ায় গেলেও ছোট ছোট ঘটনার খবর বেশিরভাগ থাকে অজানা। প্রশাসনের ঢিলেঢালা নজরদারির কারণে অবাধে বেড়েছে এসব অবৈধ যান বলে মনে করছেন সচেতন মহল।

সোমবার (২৮ আগস্ট) সকালে ঢাকার আশুলিয়ার ঢাকা-আরিচা, বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর এবং নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কে নির্বিঘ্নে চলাচল করতে দেখা যায় এই থ্রি-হুইলাকে। সড়কের এমন চিত্র কিন্তু শুধু আজকের নয়, প্রতিদিনের। এতে করে একদিকে যেমন যান-জটের দুর্ভোগ, অন্যদিকে বেপরোয়া চলাচলে বাড়ছে দুর্ঘটনা।

ঢাকার আশুলিয়া একটি শিল্পাঞ্চল এলাকা। যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের সাধারণ মানুষের বসবাস এই আশুলিয়ায়। যাদের বেশিরভাগ হচ্ছে পোশাক শ্রমিক। অন্য পেশার মানুষও কিন্তু কম নয়। এর মধ্যে অনেকেই মহাসড়কে চলাচলরত অবৈধ থ্রি-হুইলার চালানোকে পেশা হিসেবে নিয়েছেন। আবার কিছু ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক কিশোর। অল্প বয়সী এই ধরনের চালক নিজেকে মনে করেন পাইলট। অটোরিকশার অধিকাংশ চালকই বড় বড় যানবাহনকে সাইট দিতে চাই না।

ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্বাধীনভাবে চলাচল করা এই থ্রি-হুইলার চালকদের নেই প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ। লাইসেন্সের তো প্রশ্নই ওঠে না। এমন কয়েকজন চালকের সাথে কথা বলে জানা যায়,তারা মহাসড়কের চলাচলের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপরে জানেন। অনেকে একটু বাড়তি ভাড়ার লোভে মহাসড়কে আসেন। অনেকে আবার যাত্রীর চাপের মুখে আসতে বাধ্য হন।

এ বিষয়ে সোহেল রানা নামের এক থ্রি-হুইলার চালক বলেন, আমি জানি হাইওয়েতে গাড়ী চালানো নিষেধ। তবে রাতের বেলায় গাড়ী ধরে না,তাই এসেছি। তবে আগে বেশি ধরতো, এখন পুলিশে গাড়ী কম ধরে। ব্যাটারী চালিত এক ভ্যান চালক বলেন, আমি জানি মহাসড়কে গাড়ী চালানো নিষেধ, কিন্তু ভাড়া পেয়েছি তাই এসেছি। তবে আমি তেমন আসিনা।

অন্যদিকে র্দীঘদিন যাবৎ মহাসড়কে অবৈধ এই অটোরিকশা বা ভ্যান সড়কে চলারচলের দাবিতে বিক্ষোভ করে আসছেন বিভিন্ন রিকশা-ভ্যান শ্রমিক সংগঠন।এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানা রিক্সা-ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মজিদ বলেন, আমাদের প্রধান দাবী হচ্ছে মেইন রাস্তার পাশ দিয়ে আলাদা লেন চালু করতে হবে। দ্বিতীয় দাবি হচ্ছে আমাদের রাস্তায় কোনো বাধা দেওয়া চলবে না। তৃতীয় দাবি হচ্ছে আমাদের গাড়ীর লাইসেন্স প্রদান করতে হবে।

জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রিকশায় চলাচল করা বাদশা মিয়া জানান, কাছে কোথাও যেতে হলে আসলে রিকশা ব্যবহার করি। কিন্তু মহাসড়কে তারা যেভাবে গাড়ী টানে তাতে আসলে ঝুকি রয়েই যায়। কিন্তু কি করবো স্বল্প দুরত্বের জন্য আসলে বাসে উঠতে ইচ্ছে করে না। তাই আসলে রিকশায় উঠতে হয়।

প্রতিনিয়ত রিকশায় চলাচল করা মাফুজা রহমান নামের এক যাত্রী জানান, অটোরিকশা চড়লে অনেকটা ভয়ে থাকতে হয়। কারন একজন অটোরিকশা চালক কিন্তু প্রশিক্ষন প্রাপ্ত না। গাড়িটা কত গতিতে চললে পিছনের গাড়ির কোন সমস্যা হবে না এটা তারা জানেই না বললেই চলে। একটা বড় গাড়ী ৪০ থেকে ৬০ মাইলেজ বেগে আসতেছে ঠিক তখন যদি ১০থেকে ২০ মাইলেজ গতির একটা অটোরিকশা হুট করেই বড় গাড়িটার সামনে দাড়াই গেলো তখন ঔ গাড়ীটার কি অবস্থা। আবার অনেক সময় একটু জ্যাম দেখলেই ফুটপাতে তুলে দেয়। রাস্তা ভাংগা আছে নাকি তার দিকে খেয়াল না করেই ভোঁ টান মারে এরা। সব মিলে রিকশায় উঠলে মনে ভয় নিয়ে উঠতে হয়।

মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলের ব্যাপারে সাভার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আবুল হাসান বলেন, বর্তমানে জেলা ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের রেকারিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যার ফলে মহাসড়কে অটোরিকশা বা থ্রি-হুইলারের চলাচল বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে আমাদের ই-প্রসিকিউশন ব্যবস্থা এখনো চালু আছে। বর্তমানে শুধু মাত্র ই-প্রসিকিউশনের মাধ্যমে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছি।