ঢাকা ১০:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পত্রিকার প্রকাশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি দৈনিক রাজবাড়ী কন্ঠের প্রকাশকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান পাইকগাছায় দু’পক্ষের বিরোধ ঠেকাতে তৃতীয় পক্ষের ৩জন গুরুতর জখম রাজবাড়ীতে শিক্ষকদের লাঞ্চিতের প্রতিবাদে মানববন্ধন গোয়ালন্দ পাক দরবার শরিফ নিয়ে গুজব ছড়ানো সংবাদের প্রতিবাদ প্রথমবারের মতো সেনাসদর পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টা ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংসদ থেকে যত টাকা খোয়া গেছে আশুলিয়ায় ধর্ষকের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবীতে ভুক্তভোগী নারীর সংবাদ সম্মেলন দৌলতদিয়া- পাটুরিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলার ডুবির ঘটনায় ৭ জেলে নিখোঁজ 

আশুলিয়ায় পরিকল্পিত ভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ

প্রতিদিনের খবর ডেস্ক ::
  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩ ৯৪ বার পঠিত

 

সাভার (ঢাকা)প্রতিনিধি:

সাভারের আশুলিয়ায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে পানির সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে তাজিবুল ইসলাম মীর (৩০) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নোমান ছিদ্দিক।

এর আগে শনিবার (২৮ জানুয়ারী) বিকেল ৫টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ত্র মৃত্যু হয়।

নিহত তাজিবুল ইসলাম মীর আশুলিয়ার মধ্যজামগড়া (উত্তর মীর বাড়ী) এলাকার ওয়াহিদ মীরের ছেলে। সে একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছিলেন।

অভিযুক্তরা হলো- আশুলিয়ার জামগড়া মীরবাড়ী এলাকার তমিজ উদ্দীন মীরের ছেলে সুমন মীর (৩০) এবং আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার মৃত সামাদ খানের ছেলে হিরা মিয়া (৩০), নাসির উদ্দীনের ছেলে শামীম (৩০) ও ইদ্রিস আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২৮)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট ব্যবসা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় রাবিয়া স্কুল পাশের রাস্তা থেকে অভিযুক্ত সুমন মীর নিহত তাজিবুল ইসলামকে ডেকে ভাদাইল এলাকার সুমন মিয়ার অফিসে নিয়ে যায়। অফিসে তাদের সাথে কথার সময় তাজিবুল ইসলাম পানি খাইতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন মিয়া তাকে পানি দেন। পানি খাওয়ার সাথেই তাজিবুল অস্থিবোধ করিয়া চিৎকার দেয়। এমন সময় তাজিবুলের মামতো ভাই রনি ওই অফিসের সামনে দিয়ে যাইতে ছিল। তার চিৎকার শুনে অফিসে ডুকলে তাজিবুল রনি কে জানায় তারা পানির সাথে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়েছে। পরে সে অজ্ঞান হয়ে পরে। এ সময় অভিযুক্তরা দ্রুত অফিস থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। পরে রনির খবরের ভিত্তিতে তাজিবুলের পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে বাসায় নিয়ে আসে। পরে রাত ৩ টার দিকে বমি শুরু হলে তাকে দ্রুত নিয়ে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আরও বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ঘটনার ২১ দিন পর গতকাল বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত বাবা বাদী হয়ে গত ১৮ জানুয়ারী আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নোমান ছিদ্দিক বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সাথে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

 

ট্যাগস :

আশুলিয়ায় পরিকল্পিত ভাবে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:২৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৩

 

সাভার (ঢাকা)প্রতিনিধি:

সাভারের আশুলিয়ায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে পানির সাথে চেতনা নাশক মিশিয়ে তাজিবুল ইসলাম মীর (৩০) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার। এ ঘটনায় আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

রবিবার (২৯ জানুয়ারী) সকাল ১০টার দিকে নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নোমান ছিদ্দিক।

এর আগে শনিবার (২৮ জানুয়ারী) বিকেল ৫টার দিকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ত্র মৃত্যু হয়।

নিহত তাজিবুল ইসলাম মীর আশুলিয়ার মধ্যজামগড়া (উত্তর মীর বাড়ী) এলাকার ওয়াহিদ মীরের ছেলে। সে একজন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছিলেন।

অভিযুক্তরা হলো- আশুলিয়ার জামগড়া মীরবাড়ী এলাকার তমিজ উদ্দীন মীরের ছেলে সুমন মীর (৩০) এবং আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকার মৃত সামাদ খানের ছেলে হিরা মিয়া (৩০), নাসির উদ্দীনের ছেলে শামীম (৩০) ও ইদ্রিস আলীর ছেলে সুমন মিয়া (২৮)।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ইন্টারনেট ব্যবসা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় রাবিয়া স্কুল পাশের রাস্তা থেকে অভিযুক্ত সুমন মীর নিহত তাজিবুল ইসলামকে ডেকে ভাদাইল এলাকার সুমন মিয়ার অফিসে নিয়ে যায়। অফিসে তাদের সাথে কথার সময় তাজিবুল ইসলাম পানি খাইতে চাইলে অভিযুক্ত সুমন মিয়া তাকে পানি দেন। পানি খাওয়ার সাথেই তাজিবুল অস্থিবোধ করিয়া চিৎকার দেয়। এমন সময় তাজিবুলের মামতো ভাই রনি ওই অফিসের সামনে দিয়ে যাইতে ছিল। তার চিৎকার শুনে অফিসে ডুকলে তাজিবুল রনি কে জানায় তারা পানির সাথে তাকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়েছে। পরে সে অজ্ঞান হয়ে পরে। এ সময় অভিযুক্তরা দ্রুত অফিস থেকে বের হয়ে পালিয়ে যায়। পরে রনির খবরের ভিত্তিতে তাজিবুলের পরিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে বাসায় নিয়ে আসে। পরে রাত ৩ টার দিকে বমি শুরু হলে তাকে দ্রুত নিয়ে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থা আরও বেশি খারাপ হওয়ায় তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ঘটনার ২১ দিন পর গতকাল বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় নিহত বাবা বাদী হয়ে গত ১৮ জানুয়ারী আশুলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নোমান ছিদ্দিক বলেন, নিহতের মরদেহ হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে বিস্তারিত জানানো যাবে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সেই সাথে অভিযুক্তদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।